
ছোটাছুটির জীবনে শারীরিক ক্লান্তি যতটা, তার থেকেও বেশি মানসিক চাপ। এই দুয়ের জাঁতাকলে পড়েই নানানটা রোগ। সেই সঙ্গে দুর্ভোগ। আজ হাত-পা-পিঠে ব্যথা, তো কাল গভীর মানসিক অবসাদ। কিসে যে রেহাই মিলবে সেটাই বোঝা যায় না! অফিসে একটানা কম্পিউটারে বসে কাজ (knee Pain)। চেয়ার ছাড়লেই গোটা মেরুদণ্ড বেয়ে যেন বিদ্যুতের ঝলক খেয়ে যায়। বাসের সিঁড়িতে পা টা ফেলতে গেলেই টনটনিয়ে ওঠে ব্যথা।
হাঁটুর ব্যথা (knee Pain) এখন প্রতিটি ঘরের সমস্যা। ব্লাড প্রেশার, ডায়াবেটিসের মতোই এই রোগও জাঁকিয়ে বসেছে বাঙালি পরিবারে। মধ্য চল্লিশেও অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন হাঁটুর ব্যথায়। হাঁটুর ব্যথা আসলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অস্টিওআর্থ্রাইটিস। বয়স বাড়লে হাঁটুর হিঞ্জ জয়েণ্টের কার্টিলেজের ক্ষয় হয় আর তলার হাড়ও ক্ষয়ে যায়। এতে অনেকের হাঁটু ফুলেও যায়।
গড়পড়তা জিমে গেলে ট্রেডমিলে হাঁটা বা দৌড়ের নিদান দেন ট্রেনাররা। এতে হাঁটুর ব্যথা আরও বাড়ে। ঘরেই কিছু সহজ ব্যায়াম করলে ব্যথায় আরাম মিলতে পারে।
হাঁটুর ব্যথা (knee Pain) খুব ভোগালে কী কী ব্যায়াম করবেন?
সাইড সুয়িং- প্রথমে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে ডান পা যতটা সম্ভব সামনের দিকে নিন। তারপর ডানদিকে উঁচু করে তুলুন। একইভাবে বাঁ পায়েও একই ব্যায়াম করুন। ১০বার করে করতে হবে। ২ পা মিলিয়ে ২০ বার।
পায়ে বোতল নিয়ে তোলা-নামানো: দু’পায়ের হাঁটুর অংশে (knee Pain) ব্যান্ডটা লাগিয়ে পা ফাঁক করে দাঁড়ান। এ বার এক পায়ে ভর রেখে দু’লিটারের বোতলটা মাথার উপরে তুলুন আর নামান। ডান-বাঁ দু’পায়ে ৬ বার করে মোট ১২ বার।
সিটেড রটেড- একটা চেয়ারে সোজা হয়ে বসুন। তারপর, বাঁ পা ঠিক রেখে ডান পা-টা ক্রস স্টাইলে সামনে আনুন। তবে, দুই পায়ের হাঁটু যেন একসঙ্গে লেগে থাকে। ১২ ইঞ্চি দূরত্ব রেখে এক পা থেকে অন্য পা সামনে নিন। একইভাবে বাঁ পায়েও এই ব্যায়াম করুন।
সিটেড জ্যাক: ব্যথা থাকুক বা না থাকুক সবাই করতে পারেন। একটা টুলে বসে একই সঙ্গে দু’পা ফাঁক করুন আর দু’হাতে এক লিটারের জল ভর্তি বোতল মাথার উপর তুলুন। মোট ২০ বার। ক্যালোরি ঝরে এতে।
হাফ স্কোয়াট: এই ব্যায়াম করতে হবে দাঁড়িয়ে। হাত দু’টি সামনের দিকে তুলে রাখুন, চাইলে মুঠোও করতে পারেন। এ বার অল্প বসার চেষ্টা করুন। তবে পুরোপুরি নয়, অর্ধেক বসার ভঙ্গি পর্যন্ত রেখেই উঠে পড়ুন। এ ভাবে অন্তত ১০টি সেট করতে হবে।