
অফিসে একটানা কম্পিউটারে বসে কাজ। চেয়ার ছাড়লেই গোটা মেরুদণ্ড বেয়ে যেন বিদ্যুতের ঝলক খেয়ে যায়। উঠতে-বসতে হাঁটুতে অসহ্য যন্ত্রণা (Joint Pain)। মনে হয় কে যেন বেতের ঘা বসিয়ে দিয়েছে। দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলে পায়ের পাতাও ফুলেফেঁপে একসার, চলতে গেলেই যেন কারেন্ট লাগে। বাতের ব্যথা বা গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা এখন ঘরে ঘরে। শীতের সময়টাতে ব্যথা-বেদনা আরও বেশি চাগাড় দেয়। তাই এই সময় শরীরের বিশেষ যত্ন নেওয়া দরকার।
বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা বলছেন, মুঠো মুঠো ওষুধে নয়, ব্যথা-যন্ত্রণা থেকে রেহাই মিলবে ঘরোয়া উপায়তেই। রোজের জীবনযাপনে কিছু অনিয়মের কারণেই গাঁটে-গাঁটে ব্য়থা (Joint Pain) বাড়ে। খাবারদাবারে অনিয়ম, শরীরচর্চার অভাব, তাছাড়া ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে কাজ এমন নানা কারণ আছে এর পেছনে। শীতকাল এলেই যেন ব্যথা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। তাই সুস্থ ভাবে চলাফেরা করতে খাবারদাবারে আনতে হবে বদল।
কোন কোন খাবার খেলে ব্যথা থেকে রেহাই মিলবে
রান্নার স্বাদে পরিবর্তন আনা ছাড়াও, রসুন (Garlic) শরীরের ব্যথা-যন্ত্রণাও দূরে রাখে। কারণ রসুনে রয়েছে অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, যা শরীরের পেশি সবল রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে গাঁটের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে রসুনের।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে আদা (Ginger) হল এই সকল সমস্যার ক্ষেত্রে একদম বিশেষ কার্যকরী। আসলে আদা জয়েন্টের ব্যথা থেকে শুরু করে পেশির ব্যথা দূর করতে পারে।
হাঁটুর ব্যথা সারাতে বেছে নিতে পারেন বেরিজাতীয় কিছু ফল। ক্র্যানবেরি, স্ট্রবেরি, ব্লুবেরির মতো ফলে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে অনেক বেশি পরিমাণে। রোজের ডায়েটে এই ফলগুলি রাখলে হাঁটুর ব্যথা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
বাদাম (Nuts) খেতে সুস্বাদু। এই খাবারে রয়েছে অনেকটা পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এই ফ্যাটি অ্যাসিড হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারে। এছাড়া বাদামের আরও অনেক গুণ রয়েছে। তাই বাদাম রোজকার খাদ্য তালিকায় অবশ্যই রাখুন।
অলিভ তেল ওমেগা ৩-র উৎস। এই তেলে রয়েছে ‘ওলিয়োক্যানথাল’ নামক উপাদান, যা হাঁটুর পেশি সচল রাখতে সাহায্য করে। হাঁটুর ব্যথা বা গাঁটে-গাঁটে ব্যথায় ভুগলে কয়েক দিন অলিভ অয়েলে খাবার তৈরি করে খেতে পারেন। উপকার পাবেন।