
Uric Acid-Giloy: ইউরিক অ্যাসিডে বাদ পড়েছে সব প্রিয় খাবার, রোগ সারাতে আয়ুর্বেদের এই টোটকাই সেরা
গুড হেলথ ডেস্ক
ইউরিক অ্যাসিড মানেই জীবন থেকে পছন্দের সব খাবার বাদ পড়ে যাওয়া। ভোজনপ্রিয় বাঙালির ঘরে ঘরে এখন প্রেসার, সুগার, ইউরিক অ্যাসিডের রোগী। এটা খাওয়া যাবে না, ওটা খাওয়া যাবে না। পাঁঠার মাংস থেকে নিরীহ মুসুর ডাল, সাধের সব খাবারই বাদ পড়ে গেছে তালিকা থেকে। বিধিনিষেধের তালিকাটাও লম্বা। কাজেই সারাজীবন ওষুধ খেয়ে কৃচ্ছ্রসাধন করার দরকার নেই। বরং ভরসা থাক আয়ুর্বেদে (Uric Acid-Giloy)।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আয়ুর্বেদেই এমন টোটকা আছে যা ইউরিক অ্য়াসিড পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। এটি নিয়ম করে খেলে ইউরিক অ্য়াসিড (Uric Acid-Giloy) তো বাড়বেই না, আরও হাজারো রোগ শরীর থেকে গায়েব হবে।
কেন হয় ইউরিক অ্যাসিড?
খাবারে থাকা পিউরিন, প্রোটিন ডিগ্রেডেশনের ফলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের (Uric Acid-Giloy) মাত্রা বেড়ে যায়। রক্তের ইউরিক অ্যাসিড তখন কিডনির মাধ্যমে ফিল্টার্ড হয়ে প্রস্রাবের সঙ্গে বের হয়। অ্যাসিড খুব বেড়ে গেল তা গাঁটে গাঁটে জমা হয় ও যন্ত্রণা হয়। যখন কারও শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায় তখন গাউটের সমস্যা শুরু হয়।
Fennel Seeds: মৌরি খেলে ওজন কমে? আরও অনেক ম্যাজিক গুণ আছে
কোন টোটকায় বসে থাকবে?
গুলঞ্চ ইউরিক অ্য়াসিড কমাতে বিশেষভাবে উপযোগী। সংস্কৃতে একে ‘অমৃত’ বলা হয়। এর অসাধারণ গুণে সমৃদ্ধ আয়ুর্বেদ। গুলঞ্চের পাতা ও কান্ড মূলত আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় ব্যবহার হয়। জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালশিয়াম, টাইটানিয়াম, ক্রমিয়াম, আয়রন, কোবাল্ট, নিকেল, কপার, ব্রমিন, ষ্ট্রোনশিয়াম, পটাশিয়ামের মতো সব খনিজই মজুত এতে। গুলঞ্চের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টিডোট, অ্যান্টি-হাইপারগ্লাইসেমিক, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টি-অ্যালার্জিক উপাদান একে মহৌষধে পরিণত করেছে।
গুলঞ্চ গাছের পাতা ও ডাল নিয়ে সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সেগুলো জল শুকনো করে গুঁড়িয়ে নিয়ে সেদ্ধ করুন। এক গ্লাস পরিমাণ জলে সেদ্ধ হতে দিন। মিশ্রণ ঘন হয়ে এলে ছেঁকে নিয়ে খেয়ে ফেলুন। সেদ্ধ করতে না চাইলে গুলঞ্চ গাছের পাতা ও ডালের রসও খেতে পারেন. অথবা গুঁড়ো করে নিয়ে খেতে পারেন।
গাউটের সমস্যা, বাতের ব্যথাও উপশম করে গুলঞ্চ। মহিলাদের ক্ষেত্রে গুলঞ্চ দারুণ উপকারী। বিশেষ করে মেনোপজের পর। অস্টিওপোরোসিস অর্থাৎ হাড়ের ক্ষয় রুখতেও কার্যকরী এই পাতা।