
৫০% প্যাসিভ স্মোকারের ফুসফুসের ক্যানসার হতে পারে, ধূমপান না করলেও বিপদ বাড়ছে
গুড হেলথ ডেস্ক
ধূমপান না করলেও হতে পারে ফুসফুসের ক্যানসার!
সিগারেট খান না। সুখটানে রুচিও নেই (Passive smoking)। তবুও আপনি তামাকজনিত দূষণে ফুসফুসের ক্য়ানসারে (Lung Cancer) আক্রান্ত হতে পারেন।
অবাক হলেও এটা সত্যি। বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীদের গবেষণা এমনটাই বলছে। যখন মানুষ নিজে ধূমপান করেন, তখন তামাকের ধোঁয়া ঢোকে শরীরে। কিন্তু যখন পাশের কোনও মানুষ ধূমপান (Lung Cancer) করেন তখন অজান্তেই সেই ধোঁয়া ঢুকে যায় পার্শ্ববর্তী মানুষের দেহেও। এতে শুধু তামাকের ধোঁয়া নয়, থাকে আরও প্রায় ৭০০০ রকমের বিষাক্ত পদার্থ, যেগুলি বাড়িয়ে দিতে পারে ক্যানসার তৈরির আশঙ্কা। কাজেই পরোক্ষ ধূমপানও যথেষ্টই ক্ষতিকর (Passive smoking)।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, আশপাশে কেউ ধূমপান করলে যখন সেই বিষাক্ত ধোঁয়া শ্বাসের সঙ্গে শরীরে ঢোকে, তখন তার সঙ্গে আরও কিছু বিষাক্ত পদার্থও শ্বাসের সঙ্গে ঢুকে ফুসফুসে (Lung Cancer) গিয়ে জমা হয়। এই বিষাক্ত পদার্থগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিকর আর্সেনিক, অ্যাসবেস্টাস ও ইউরেনিয়াম। ফুসফুসে দীর্ঘদিন ধরে এইসব পদার্থ জমা হতে হতে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। ফুসফুসের কোষগুলোর রাসায়নিক বদল হতে থাকে। মিউটেশন বা এই রাসায়নিক বদল এত দ্রুত হয় যে ধীরে ধীরে কোষগুলি বিষাক্ত হয়ে ক্যানসার কোষ তৈরি করে। এই ক্যানসার কোষগুলোর বিভাজনও শুরু হয়। ফলে গোটা ফুসফুসে ক্যানসার ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে।
দেখা গেছে, মহিলা ও পুরুষ মিলিয়ে যাঁরা সবচেয়ে বেশি ধূমপানে আসক্ত তাঁদের মধ্যে নানারকম ক্যানসারের (Cancer) প্রকোপ ধরা পড়েছে। ফুসফুস ক্যানসার থেকে ব্রেস্ট ক্যানসার, প্রস্টেট ক্যানসার, মুখ ও গলার ক্যানসার এর মধ্যে বেশি। আবার যাঁরা ধূমপান করেন না কিন্তু প্য়াসিভ স্মোকিংয়ের শিকার, তাঁদের মধ্যেও এইসব ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি। মহিলাদের মধ্যে যাঁদের বিআমআই ইনডেক্স বেশি এবং ওবেসিটি রয়েছে, টাইপ ২ ডায়াবেটিস বা হাইপারটেনশন রয়েছে তাঁদের মধ্যেই ক্যানসারের (Cancer) প্রকোপ বেশি দেখা গেছে। আবার পুরুষদের মধ্যে যাঁদের ব্লাড প্রেশার, হাইপারটেনশন, উচ্চ কোলেস্টেরল, সুগার, প্রস্টেটের সমস্যা রয়েছে তাঁদের মধ্যে ক্যানসারের প্রকোপ বেশি। কোমর্বিডিটি থাকলে এবং সেকেন্ড-হ্যান্ড স্মোকিংয়ের শিকার হলে মারণ রোগ ধীরে ধীরে বাসা বাঁধতে থাকে শরীরে।
প্যাসিভ স্মোকিং থেকে হাঁপানি হতে পারে বাচ্চাদের। গর্ভবতী মহিলার সামনে যদি বাড়ির অন্য সদস্যেরা লাগাতার ধূমপান করতে থাকেন, তা হলেও বাচ্চার সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকী, অন্য ঘরে সিগারেটের ধোঁয়া টানলেও হবু মায়ের শারীরিক সমস্যা হতে পারে। পরোক্ষ ধূমপান বাড়িয়ে দেয় সাইনাস, গলা কিংবা পেটের ক্যানসারের আশঙ্কাও। শিশুদের ক্ষেত্রে বেড়ে যায় লিম্ফোমা, লিউকিমিয়া ও মস্তিষ্কের ক্যানসারের ঝুঁকি।