ভ্যাজাইনাল ব্লিডিং, সাদা স্রাবে দুর্গন্ধই জানান দেবে জরায়ুমুখের ক্যানসার হচ্ছে কিনা

গুড হেলথ ডেস্ক

জরায়ুমুখের ক্যানসার বা সার্ভিকাল ক্যানসার (Cervical cancer) নিয়ে সচেতনতা চলছে নানা দিকেই। ভারতীয় মহিলাদের সব থেকে বেশি এই ক্যানসারই হয়। জরায়ুর একেবারে নীচের অংশকে বলে জরায়ুর মুখ বা ‘সার্ভিক্স অব দ্য ইউটেরাস’। এখানেই ক্যানসার হয়। একেই সার্ভিকাল ক্যানসার বলে। জরায়ুমুখের ক্যানসার হচ্ছে কিনা তার কিছু সাধারণ উপসর্গ আছে। অনেক সময়েই মেয়েরা সেটা বুঝতে পারেন না। ডাক্তারবাবুরা বলছেন, এই লক্ষণ সবচেয়ে আগে ধরা পড়ে। সেটা খেয়াল করেই সতর্ক হতে হবে।

জরায়ুমুখের ক্যানসার চেনার সবচেয়ে বড় লক্ষণ

অস্বাভাবিক রকমের ভ্যাজাইনাল ব্লিডিং হলে সতর্ক হতে হবে। মাসে এক বার পিরিয়ডের সময়ে ব্লিডিং স্বাভাবিক। কিন্তু দু’টি পিরিয়ডের মাঝে এক বার ব্লিডিং হলে সতর্ক হতে হবে।

মেয়েদের অত্যধিক সাদা স্রাবও একটি অন্যতম লক্ষণ। অস্বাভাবিক সাদা স্রাব, থকথকে সাদা এবং দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব হলে সতর্ক হতে হবে। ডাক্তারবাবুরা বলছেন, সাদা স্রাবের দুর্গন্ধ কিন্তু জরায়ুমুখ ক্যানসারের একটি বড় ইঙ্গিত। মেয়েদের এটা খেয়াল করতেই হবে। এমন উপসর্গ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।

জরুয়ুমুখ ক্যানসার যদি বাড়তে থাকে শরীরে, তবে আরও একটি কথা মনে রাখতে হবে। সাদা স্রাবের সময়ে সাধারণত এমন ক্ষেত্রে তলপেটে বেশ ব্যথা হয়। দুর্গন্ধ এবং ব্যথা, দু’টি জিনিস ইঙ্গিত দিতে পারে শরীরের ভিতরে ক্যানসার বাড়ছে।

পিরিয়ডের দিনগুলিতে প্রস্রাবের সময় ব্যথা হলেও সতর্ক হতে হবে।

cervical cancer

কেন জরায়ুমুখে ক্য়ানসার (Cervical cancer) হয়?

হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) (Human papillomavirus infection)-এর সংক্রমণে এই ক্যানসার হয়। জরায়ুর নীচের অংশ যোনির সঙ্গে যুক্ত, সংক্রমণ হয় এখানেই (Cervical Cancer)। তবে এই ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করা ছাড়াও সারভাইকাল ক্যানসারের আর একটি প্রধান কারণ অসুরক্ষিত যৌন সম্পর্ক। সাধারণত ভারতে ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সিরাই এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। বয়স ৬০ পেরলেও এটি হতে পারে, তবে সংখ্যা তুলনামূলক কম (Cervical cancer)।

এইচপিভি ভাইরাস শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ভেঙে তছনছ করে দেয়। বহুদিন অবধি টিকে থাকতে পারে এই ভাইরাস। জরায়ুর কোষের অস্বাভাবিক বিভাজন ঘটিয়ে ক্যানসার তৈরি করতে পারে (HPV Vaccine)। দীর্ঘ সময় ধরে অসুরক্ষিত যৌন সম্পর্কে বা একাধিক সম্পর্কে থাকলে জরায়ু-মুখের কোষগুলি পরিরর্তিত হতে থাকে। এই পরিবর্তনই ক্যানসারকে ডেকে আনে। অনেকক্ষেত্রেই যোনিতে সংক্রমণ হলে, লজ্জা ও অস্বস্তির কারণে রোগ এড়িয়ে যান মহিলারা। ডাক্তারের কাছে যেতে দেরি হয়। ফলে চিকিৎসাও দেরিতে শুরু হয়। ক্যানসার তার অন্তিম পর্যায়ে পৌঁছে যায়। তাই সচেতনতা সবচেয়ে আগে দরকার।

বয়সের মার্জিন কমছে, বাড়ছে মৃত্যুহার! এদেশে মেয়েদের ক্যানসারে ঝুঁকি অনেক বেশি