
কোনও লক্ষণ বোঝা যাচ্ছে না। এদিকে ভেতরে ভেতরে ছড়িয়ে পড়ছে মারণ রোগ। ক্যানসারের ডায়াগনসিস অনেকসময়েই এত দেরিতে হয় যে রোগীকে বাঁচানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। কিন্তু অভিজ্ঞ অনকোলজিস্টরাই বলেন, এখন ক্যানসারের (Breast Cancer) ট্রিটমেন্ট এতটাই উন্নত হয়েছে যে গোড়ায় রোগ ধরা পড়লে এবং সঠিক চিকিৎসা হলে রোগীকে বাঁচানো গেলেও যেতে পারে। তার জন্য দরকার সচেতনতা ও সতর্কতা। মহিলারা নিজেরাই পরীক্ষা করে বুঝতে পারবেন স্তনে (Breast Cancer) কোনও অস্বাভাবিকতা হচ্ছে কিনা, ভেতরে টিউমার তৈরি হচ্ছে কিনা। এটা বোঝার জন্য যে কৌশল দরকার তা শেখাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভারতীয় মহিলাদের মধ্যে স্তন ক্যানসার দিনে দিনে বাড়ছে। স্তন ক্যানসার (Breast Cancer) সম্পর্কে অজ্ঞতা, স্তন নিয়ে স্পর্শকাতর হওয়া, লজ্জা পাওয়া এবং ‘সেল্ফ এগজামিনেশন’ বা নিজেই নিজের স্তন কী ভাবে পরীক্ষা করা যায়, সে সম্পর্কে ধারণা না-থাকার জন্য এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এমনও দেখা গেছে, প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ ধরা পড়লেও কয়েক মাসের মধ্যে সেটা বেড়ে গিয়ে স্টেজ-ফোরে পৌঁছে যাচ্ছে। উন্নত মানের কেমোথেরাপিও রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। এক বার রোগ সেরে যাওয়ার কয়েক বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বার ক্যানসারের কবলে পড়েছেন এমন উদাহরণ অজস্র। কাজেই শুরুতেই যদি রোগ ধরা যায় তাহলে তাকে প্রতিরোধ করার উপায়টাও সহজ হয়ে যায়।
বিশেষজ্ঞরা খুব সহজ কতগুলি উপায় বাতলে দিচ্ছেন স্তন পরীক্ষা (self breast exemination) করার। স্নানের পর বাথরুমের আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে সহজেই এই পরীক্ষাগুলি করতে পারবেন।
১) আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে স্তনের দিকে সোজা তাকিয়ে দেখুন, তার আকারে কোনওরকম অস্বাভাবিকতা চোখে পড়ছে কী?
২) দু’ হাত মাথার উপর তুলে দেখুন কোনও পরিবর্তন চোখে পড়ছে কিনা।
৩) কোমরে হাত রেখে দাঁড়ান আয়নার সামনে। দেখুন স্তনের গঠনে কোনও পরিবর্তন আসছে কিনা।
৪) চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ুন, দুটো হাত ছড়িয়ে দিন দু’পাশে। ডান হাত দিয়ে বাম স্তন ও বাঁ হাত দিয়ে ডান স্তন পরীক্ষা করুন। আঙুলগুলি রাখুন কাছাকাছি, এবার হাতের তালু দিয়ে পুরো স্তনের আনাচকানাচ খুঁজুন।
৫) স্তনের পাঁচটি ভাগ আছে, আপার ইনার, লোয়ার ইনার, আপার আউটার, লোয়ার আউটার আর সেন্ট্রাল। পুরোটা খতিয়ে দেখুন। অস্বাভাবিকতা দেখলেই ডাক্তার দেখান।
৬) স্তনবৃন্ত থেকে কোনও ক্ষরণ হলেও সাবধান হতে হবে।
৭) প্রতি মাসে একবার এইভাবে চেকআপ করুন।