
বাচ্চা কি খুব ছোট থেকেই চশমা পরে? স্কুলে ভর্তি হওয়ার পরে চশমা নিতে হয়েছে? সারা বছর পড়াশোনার চাপ, মোবাইল বা টিভির স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে (Child Eye Care), অন্ধকারে বই পড়া বা ছবি আঁকার চেষ্টা করলে চোখের পাওয়ার বাড়বে ছোট থেকেই। খুব কম বয়সেই বেশি পাওয়ারের চশমা দেখা যায় অনেক শিশুর চোখেই।
শিশুর চোখের কোনও সমস্যা (Child Eye Care) যদি না থাকে তারপরেও দেখেন স্কুলে গিয়ে ব্ল্যাকবোর্ডের লেখা দেখতে অসুবিধা হচ্ছে, তাহলে সতর্ক হতে হবে বাবা-মায়েদের। অনেক সময় বাচ্চা বলে যে দূরের লেখা পড়তে সমস্যা হচ্ছে, বা খুব কাছ থেকেও বইয়ের ছোট ছোট লেখা দেখতে অসুবিধা হচ্ছে। পড়াশোনা না করার বাহানা ভেবে বাবা-মায়েরা এড়িয়ে যান। ফলে পাওয়ার বাড়তে বাড়তে পরে গিয়ে সমস্য়া দেখা দেয়। আবার যে বাচ্চার চশমা রয়েছে তারও চোখের যত্ন নেওয়া উচিত ছোট থেকেই। না হলে, পরে গিয়ে চোখের সমস্যা বাড়তে পারে।
আপনার সন্তানের চোখের যত্ন নিন, কী করবেন বাবা-মায়েরা?
১) সারাক্ষণ মোবাইলে গেম খেলতে দেবেন না। এখনকার বাচ্চাদের এটা খুবই বদভ্যাস।
২) টিভি, কম্পিউটার, মোবাইল বা ভিডিও গেমের স্ক্রিনে বেশি ক্ষণ তাকিয়ে থাকতে দেবেন না বাচ্চাকে। এতে ক্ষতিকারণ রশ্মি থেকে চোখ বাঁচবে।
৩) বাচ্চার বই পড়ার অভ্যাস থাকলে খেয়াল রাখবেন যেন কম আলোতে বই না পড়ে। এতে চোখের ওপর চাপ বাড়ে।
৪) সূর্যের চড়া আলো চোখের জন্য ক্ষতিকারক। সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি চোখের অনেক ক্ষতি করে। এ থেকে চোখের কর্নিয়ার নানা অসুখ, ক্যাটারাক্ট বা ছানি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই খুব রোদে শিশুকে নিয়ে বেরলে টুপি বা ছাতা ও সানগ্লাস ব্যবহার করুন।
৫) ছ’মাস বয়সে বাচ্চাকে প্রথম চোখের ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। তারপর বাচ্চা যখন স্কুলে ভর্তি হবে, তখন একবার চোখ দেখিয়ে নিন। বাচ্চার ছ-বছর বয়স হওয়ার আগে আর একবার চোখ দেখানো দরকার। এরপর থেকে প্রতি দু’বছর অন্তর চোখ দেখান।
৬) চোখ ভাল রাখতে চিকিৎসকরা বেশ কিছু ব্যায়ামেরও পরামর্শ দেন (Child Eye Care)। সে সবে অবশ্যই নজর রাখুন। বাচ্চা চশমা পরে থাকছে কিনা খেয়াল রাখুন।
৭) বাচ্চার দূরের জিনিস দেখতে অসুবিধে হচ্ছে কি না জানতে চান। স্কুলে গিয়ে ব্ল্যাকবোর্ডে লেখা দেখতে অসুবিধা হয় কিনা জিজ্ঞেস করে নিন। অসুবিধা দেখা দিলে চোখ দেখিয়ে নেওয়া জরুরি। বাচ্চার যদি খুব ঘন ঘন মাথা ব্যথা হয়, সেটিও কিন্তু চোখ খারাপের উপসর্গ হতে পারে।
৮) বিটা ক্যারোটিন আছে এমন খাবার— বিট-গাজর, রাঙা আলু ইত্যাদি শিশুকে খাওয়াতে পারেন। ছোট মাছ খুব উপকারি। প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাক-সব্জি খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে বাচ্চাকে বাদাম খাওয়ান। এতে প্রচুর ভিটামিন ই রয়েছে। এটি চোখের জন্য খুবই ভাল
৯) ‘প্রিম্যাচিওর বেবি’-দের ক্ষেত্রে চোখের সমস্যা দেখা দিতে পারে, তাই ডাক্তার দেখিয়ে নেওয়া দরকার।