বাচ্চাদের ডিমে অ্যালার্জি, দূর করার উপায় কী কী

গুডহেল্থ ডেস্ক: ডিম যেন নয়নের মণি! অন্তত ডিমপ্রিয় বাঙালির কাছে মুশকিল আসানের আরেক নাম ‘ডিম’। পাঁচ মিনিটে তৈরি সিদ্ধ ডিম অত্যন্ত সুষম খাদ্য। অনেক বাবা মা বাচ্চাকে ডিম খাওয়াতে পারলে সন্তুষ্টি অনুভব করেন। তবে সব বাচ্চা ডিম ঠিকঠাক খেতে পারে না। এর কারণ হল ডিমে অ্যালার্জি।

ডিমে অ্যালার্জি খুব সাধারণ সমস্যা। বাচ্চাদের মধ্যেই এই সমস্যা সবচেয়ে প্রকট। ফলে অনেক বাচ্চারাই ডিমের মতো অতি পুষ্টিকর ভিটামিন ও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবারের থেকে বঞ্চিত থেকে যায়, যা শিশুর শারীরিক বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ডিমে অ্যালার্জির প্রধান কারণ হল, বাচ্চাদের শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অতি সক্রিয়তা। এছাড়াও পারিবারিক ইতিহাসে ডিমে অ্যালার্জি থাকলে বাচ্চাদের মধ্যেও তার প্রবণতা দেখা যায়।

কীভাবে বুঝবেন ডিম অ্যালার্জি আছে?

বাচ্চার যদি ডিমে অ্যালার্জি থাকে, তাহলে ডিম খাওয়ার কিছু মিনিট বা কিছু ঘন্টা পরে বিভিন্ন লক্ষণ , যেমন- মুখ ও ঠোঁটের পাশে চুলকুনি, চামড়া লাল হয়ে যাওয়া, ছোট ছোট ফুসকুড়ির সমস্যা, বমি, হজমে সমস্যা ইত্যাদি হলেই বুঝতে হবে বাচ্চার ডিমে অ্যালার্জি রয়েছে।

সমাধান কী?

ডিমে অ্যালার্জি সাধারণত বয়সের সাথে সাথে কমে যায়। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, বাচ্চাদের বেকড ডিম (ডিম যুক্ত কেক) খাওয়ালে প্রায় ৯০% ক্ষেত্রেই খাওয়ার পরও ওরা সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে। এই ভাবে ৬ মাস রোজ ডিম যুক্ত কেক খাওয়ানোর পরে দেখা যায় সেই শিশুরা শুধু ডিম খাওয়ার পরেও সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে। এর কারণ হল, অধিক তাপমাত্রায় ডিম বেক করলে ডিমের মধ্যে যে অ্যালার্জেন সৃষ্টি হয়, তা অ্যালার্জি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তাই বাচ্চার ডিমে অ্যালার্জি কাটাতে ওদের আগে ডিম দেওয়া কেক খাওয়ানো শুরু করুন।