
Diaper Rash: ডায়াপার থেকে র্যাশ হচ্ছে আপনার ছোট্ট সোনার? কী করবেন কী করবেন না
গুড হেলথ ডেস্ক
বাচ্চাকে ডায়াপার পরিয়ে রেখে নিশ্চিন্ত থাকেন বাবা-মায়েরা। কিন্তু দীর্ঘ সময় টানা ডায়াপার পরে থাকলে শিশুর ত্বকের কতটা ক্ষতি হয় সে ব্যাপারে জানা নেই অনেকেরই। অনেক মা-বাবাই প্রায় তিন বছর বয়স পর্যন্ত সন্তানকে ডায়াপার পরিয়ে রাখেন। কিন্তু এটি ব্যবহারের সময়, নিয়ম ও পদ্ধতি না জানার কারণে শিশুর অস্বস্তি তো হয়ই, তা ছাড়া তার ত্বকও জ্বালা করে। খুব কষ্ট পায় আপনার ছোট্ট সোনা।
কতক্ষণ বাচ্চাকে ডায়াপার পরাবেন, বেশি সময় পরানো থাকলে কী কী সমস্যা হয় ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
কী কী করবেন
ডয়াপার পরাতেই হবে এমন ভাবনা যেন না থাকে।
কাছাকাছি কোথাও গেলে ডায়াপার পরাবার দরকার নেই।
নেহাত খুব সমস্যা না থাকলে ডাপারা ছাড়াই রাখুন শিশুকে, বাচ্চারা এতেই ভাল থাকে।
ডায়াপার কেনার আগে অবশ্যই ভাল করে দেখে নিন এর কাপড়, কথা বলে নিন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে।
নরম সুতির কাপড়ের ডায়াপার কিনবেন।
Mental Health: মন ভাল নেই? ডিপ্রেশন? কোথাও ঘুরে আসুন
বাইরে বেরোনোর সময় ডায়াপার পরালে, কিছু সময় অন্তর তা পরীক্ষা করুন।
ভিজে গেলে সঙ্গে সঙ্গে ডায়াপার বদলে দিন।
কী কী করবেন না
সুতির কাপড় ছাড়া অন্য কাপড়ের ডায়াপার পরাবেন না। অন্য ধরনের কাপড়ে ঘসা লেগে শিশুর ত্বক লালচে হয়ে যায়।
রাতভর শিশুকে ডায়াপার পরাবেন না। এতে শিশুর স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়।
১২-১৪ ঘণ্টা ডায়াপার পরিয়ে রাখেন অনেক অভিভাবকই, এতে বাচ্চার কুঁচকির দু’পাশে ঘষা লেগে র্যাশ, অ্যালার্জি হয়। ত্বক লালচে হয়ে ফুলে যায়, জ্বালা করে বাচ্চার।
কোনও দূরের জার্নিতে বাচ্চাকে বেশি সময় ডায়াপার পরিয়ে রাখলে তা ভিজে গিয়ে সংক্রমণ হতে পারে।
বাচ্চা মল-মূত্র ত্যাগ করলে সেই অবস্থায় ডায়াপার পরিয়ে রাখলে ত্বকে সংক্রমণ হতে পারে।
জন্মের ৩ সপ্তাহ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে ন্যাপকিন র্যাশের সমস্যা বেশি দেখা যায়, এই সময় ডায়াপার পরাবেন কিনা বা পরালে কী ধরনের ডায়াপার কিনবেন, কতক্ষণ পরাবেন তা ডাক্তারের থেকে জেনে নেবেন।
বাচ্চার ত্বকে র্যাশ হলে কী করবেন
অনেকে বাচ্চাকে অ্যান্টিসেপ্টিক লোশন দিয়ে স্নান করান, বা শিশুর শরীরে র্যাশ হলেও অ্যান্টিসেপ্টিক লাগিয়ে দেন। যে কোনও অ্যান্টিসেপ্টিক লোশন ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।
জিঙ্ক অক্সাইড, টাইটেনিয়াম ডাই-অক্সাইড, ওয়াটার রিপেলেন্ট ডাইমেন্টিকোন ইত্যাদি জাতীয় লোশন লাগাতে পারেন। আবহাওয়া অনুযায়ী ওয়েনমেন্ট লাগানো দরকার, তাই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েই কাজ করুন।
বাচ্চাকে রোজ ভাল করে স্নান করাবেন, মেঘলা দিন বা ঠান্ডাভাব রয়েছে দেখে বাদ দেবেন না। বাচ্চার থাই, কুঁচকি, উরু সবকটা ভাঁজ ভাল করে পরিষ্কার করে দিন।
অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল মাখানো যেতে পারে।