
বাচ্চা একজিমাতে কষ্ট পাচ্ছে? লাল র্যাশের জ্বালা-চুলকানি কমাতে নতুন ওষুধ আসছে
গুড হেলথ ডেস্ক
বাচ্চারা নানারকম অ্যালার্জির সমস্যায় ভোগে। একজিমা শিশুদের মধ্যে সাধারণ ব্যাপার। একে বলে অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস (Child Eczema)। জন্মের পরে অনেক শিশুই ত্বকের সংক্রমণে ভোগে। ত্বকে চুলকানি, জ্বালা, শুষ্ক হয়ে যাওয়া, এমনকী লালচে র্যাশের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। একজিমা হলে বাচ্চারা খুব কষ্ট পায়। ত্বকে মারাত্মক প্রদাহ শুরু হয়। সেক্ষেত্রে বারে বারে স্টেরয়েড বা অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়াও স্বাস্থ্যকর নয়। সে জন্যই বাচ্চাদের একজিমা সারাতে নতুন ওষুধ নিয়ে আসছেন গবেষকরা।
রিজেনারেশন ফার্মাসিউটিক্যালস ও স্যানোফাই যৌথভাবে ওষুধ তৈরি করেছে যার নাম ডুপিলুমাব (Dupilumab)। ৬ মাস থেকে ৫ বছর অবধি বাচ্চাদের দেওয়া যাবে এই ওষুধ। তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়াল চলছে। সিভিয়ার একজিমার ক্ষেত্রেও এই ওষুধ কার্যকরী হবে বলে দাবি গবেষকদের।
কেন হয় একজিমা (eczema)?
এই সমস্যার নির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি। অনেক চিকিৎসক মনে করেন জিনগত এবং পরিবেশগত কারণের জন্যই এই অসুখ হয়। বাবা-মায়ের কারও এই সমস্যা থাকলে, সন্তানেরও হতে পারে। তাছাড়া ধুলো, পোকামাকড়, পোষ্য, ফুলের রেণুর অ্যালার্জেন থেকেও সমস্যা বাড়তে পারে। বিভিন্ন ব্যাকটিরিয়া, ভাইরাস এবং ছত্রাক থেকে সংক্রমণ ছড়ায়। অতিরিক্ত গরম বা অতিরিক্ত ঠান্ডা, বেশি আর্দ্রতা বা আর্দ্রতার অভাব, বেশি ঘাম হলেও ত্বকের সংক্রমণ হতে পারে।
৬ বছরের নীচে ১৯ শতাংশ বাচ্চার একজিমার (Child Eczema) সমস্যা হয়।
লক্ষণ কী কী?
লাল বা বাদামি খসখসে, ঘন এবং আঁশের মতো ত্বক।
লালচে র্যাশে ভরে যায় সারা শরীর।
বাচ্চাদের (Child Eczema) মুখে ও মাথার ত্বকে র্যাশ দেখা যায়। কনুই ও হাঁটুর পেছনে ফুসকুড়ি, লালচে ছোপ, দগদগে র্যাশ হতে দেখা যায়।
কীভাবে বাচ্চার যত্ন নেবেন?
বারবার স্নান না করালেও অবশ্যই ভাল ভাবে ঠান্ডা জলে কাপড় ভিজিয়ে গা মুছিয়ে দিন শিশুদের (Child Eczema)। দিনে একবার খুব ভাল ভাবে স্নান করান।
জামাকাপড় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরাতে হবে। বিছানার চাদর, বালিশ যেন পরিষ্কার থাকে।
অনেক সময়ে পোষ্যের লোম থেকেও অ্যালার্জির হয় বাচ্চাদের। সেদিকে সাবধান থাকতে হবে অভিভাবকদের।
ঘন ঘন ত্বকে ফুসকুড়ি, চুলকানি হলে বা হাঁচি-কাশি-জ্বর হলে ডাক্তার দেখিয়ে নিতে হবে।
নিমের তেল ও নারকেল তেল সমমাত্রায় মিশিয়ে সপ্তাহে অনন্ত তিনবার ত্বকে লাগাতে পারেন।