বাচ্চাদের পুষ্টি যথাযথ হচ্ছে তো? সঠিক ডায়েট প্ল্যান দরকার ছোট থেকেই

গুডহেলথ ডেস্ক: আজকাল অনেক বয়স জনিত অসুখ যেমন- ডায়াবেটিস, রক্তচাপের সমস্যা, বিভিন্ন অর্থোপেডিক সমস্যা শুধু বয়স্কদের মধ্যেই না, অল্পবয়সীদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে। এই সব রোগের মূল কারণ হল সঠিক খাদ্যাভ্যাস না মেনে চলা (Nutrition)। এখনকার সময় মূলত বাজার জুড়ে প্যাকেটজাত খাবার এবং ফাস্টফুডের রমরমা। ফলে অল্প বয়স থেকেই এই ধরনের খাদ্যাভ্যাস ডেকে আনছে নানা বিপদ।

ছোটবেলা থেকেই ফাস্টফুড ও নানা প্যাকেটজাত খাবার খাওয়ার ফলে বেশিরভাগ শিশু পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টি পায় না। আর পুষ্টির অভাবে শিশুর মানসিক ও শারীরিক বিকাশও ঠিকমতো হয় না। এর সঙ্গে শরীরেও দেখা দিতে থাকে হাজারটা রোগ।

Eating Healthy When You Have Young Children / Nutrition / Healthy Eating

ছোট থেকেই শিশু যাতে সঠিক পুষ্টি পায় তা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব বাবা-মায়ের। শৈশব থেকেই শিশুর সঠিক পরিমাণ খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। সঠিক খাবার যেমন শরীর গড়তে পারে, তেমনই অপরিমিত, অস্বাস্থ্যকর খাবার তা ভাঙতেও পারে। শরীরের বিকাশ, পরিচর্যা, পুষ্টির জন্য দরকার পুষ্টিকর ডায়েট। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য দরকার পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য। খাদ্যাভ্যাসের ওপরেই নির্ভর করে শিশুর বেড়ে ওঠা।

Indian Kids are Different, their Nutritional Needs are Different |  Nutripedia

শিশুর বয়স অনুযায়ী কতটা পুষ্টি দরকার, তা অনেক সময় বুঝতে পারা যায় না। তা ছাড়া, আমাদের অনেক ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। যেমন- শিশুকে বেশি করে খাওয়ালেই সুস্থ থাকবে এমনটা নয়। আসলে বেশি খাওয়া বা কম খাওয়া নয়। দরকার পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টিকর খাবার।

একজন প্রাপ্তবয়স্কের প্রতি কেজি ওজনের জন্য দরকার হয় ১ গ্রাম প্রোটিন। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে এই প্রোটিনের পরিমাণ একটু বেশি। শিশুদের প্রতি কেজি ওজনের জন্য দরকার হয় ১.২ গ্রাম প্রোটিন। অর্থাৎ শিশুর যদি ৫ কেজি ওজন হয়, তাহলে তার প্রতিদিন দরকার প্রায় ৬ গ্রাম করে প্রোটিন।

Parents, 8 fool-proof ways to make your kids stay away from junk food | The  Times of India

বাড়ন্ত বয়সে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন জাতীয় খাবার খেলে শরীরের গঠন এবং বৃদ্ধি ভাল হয়। পরবর্তীকালে শরীর স্বাস্থ্যকর থাকে এবং কোনও রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। তাই একটি শিশুর শরীরে পুষ্টির চাহিদা মেটাতে কী জাতীয় খাবার কতটা পরিমাণে দরকার তা খেয়াল রাখতে হবে তার বাবা-মাকে। প্রয়োজনে পেডিয়াট্রিক নিউট্রিশন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন তাঁরা।