
কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হবে না, সেরো-সার্ভে করে দাবি হু-এইমসের
দ্য ওয়াল ব্যুরো: করোনা তৃতীয় ঢেউ এলে শিশুরা বেশি সংক্রমিত হবে কিনা সেটাই এখন চিন্তার ব্যাপার। দেশজুড়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানীরা এই বিষয়টি নিয়েই মাথা ঘামাচ্ছেন। শিশুদের কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কতটা, সে নিয়ে নানা পরীক্ষানিরীক্ষাও চলছে। বৃহস্পতিবার দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এইমস)-এর তরফে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে বলা হয়, দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ এলে শিশু ও কমবয়সীদের সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি কম। সেরো-সার্ভের রিপোর্টে এমনটাই দেখা গেছে। একই দাবি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থারও।
সেরো-সার্ভে করে রক্তে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি ও পরিমাণ দেখা হয়। দিল্লির এইমস জানাচ্ছে, পাঁচ রাজ্যে শিশু ও কমবয়সীদের অ্যান্টিবডি টেস্ট করা হয়েছে। এলাইজা কিট দিয়ে অ্যান্টিবডি পরীক্ষা হয়েছে। অন্তত ১০ হাজার নমুনা সংগ্রহ করে তাতে অ্যান্টিবডির পরিমাণ পরীক্ষা করা হচ্ছে। এখনও অবধি ৪৫০৯ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, যার মধ্যে ৭০০ জনের বয়স ১৮ বছরের নীচে ও ৩৮০৯ জনের বয়স ১৮ বছর। ১৫ মার্চ থেকে ১০ জুন অবধি এই পরীক্ষা করা হয়েছে।
সেরো সার্ভের রিপোর্ট দেখে এইমস জানাচ্ছে, ১৮ বছর ও তার নীচে বাচ্চাদের সেরোপজিটিভিটি রেট বেশি। এর মানে হল রক্তে অ্যান্টিবডির পরিমাণ বেশি। কাজেই শিশুদের কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম।
কোভিডের তৃতীয় ঢেউ আসার আগেই শিশু ও কমবয়সীদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোর ভয় বেশিমাত্রায় চেপে বসেছে। শিশুরাই হাই-রিস্ক গ্রুপে আছে এমন খবর ছড়াচ্ছে চারদিকে। কিন্তু এতটাও উদ্বেগের কারণ নেই বলেই বার বার দাবি করা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা এখনও এমন কোনও তথ্য প্রমাণ দেখাতে পারেননি যাতে এই সম্ভাবনা জোরদার হয়। শিশুদের শরীরে করোনা সংক্রমণ তেমন বড় প্রভাব ফেলবে না। বড়জোড় জ্বর, সর্দি-কাশি, পেটে ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখা গেলেও তা চিকিৎসায় দ্রুত সেরে যাবে।
দিল্লির এইমস জানাচ্ছে, করোনা সংক্রমণের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে যে শিশুদের তাদের ৬০-৭০ শতাংশের মধ্যেই কোমর্বিডিটি ছিল। যে শিশুদের জটিল রোগ দেখা গেছে তাঁদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই কম ছিল। অনেকের আবার অন্যান্য অসুখও ছিল। ক্যানসার থেরাপি চলছিল এমন শিশুরাও কোভিড আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।