
বাচ্চাকে সঠিক তেল মাখাচ্ছেন তো? বিভ্রান্ত নয়, সচেতন হোন
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সেই পুরাকাল থেকে চলে আসছে ছোট্ট বাচ্চাকে তেল মালিশের রেওয়াজ। স্নানের সময় রোদে টানটান করে শুইয়ে এখনও নবজাতকের পা থেকে মাথা যত্ন নিয়ে তেল মালিশ করে দেন মা, দিদি, ঠাকুমারা। এই মালিশে থাকে আদর, ভালবাসার স্পর্শ।
আগেকার দিনে মালিশের তেল হিসেবে ছিল শুধু সর্ষে আর নারকোলের তেল। তবে এখন আর সেই দিন নেই। বাজার জুড়ে নানা রকম মালিশের তেল। আমলা, অলিভ, টি ট্রি, ল্যাভেন্ডার, আমন্ড, সূর্যমুখী, ব্রাহ্মী, ভৃঙ্গরাজ, নিম– কী নেই সেই তেলের তালিকায়!
তবে বাচ্চাকে মালিশ করার উপযোগী হবে কোন তেলটি, সেই নিয়ে বিভ্রান্ত থাকেন অধিকাংশ মায়েরাই। চিকিৎসকরাও বলছেন, বাচ্চাকে কোন তেল কেন মাখানো হচ্ছে, সে বিষয়ে ওয়াকিবহাল থাকা উচিত।
তবে যে তেলই হোক না কেন, শিশুদের চামড়া নরম। তাই অতিরিক্ত জোরে বা শক্ত হাতে মালিশ করলে ওদের কোমল ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আঘাত লেগে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। বাইরের জীবাণুও ওদের ত্বকের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে। তাই মালিশের আগে হাত ভাল করে সাবান জলে ধুয়ে নেওয়া উচিত।
সর্ষের তেল
আয়ুর্বেদিক অয়েনমেন্ট তৈরিতে সর্ষের তেলের জুড়ি মেলা ভার। তবে এই তেলে অনেক শিশুর ত্বকে জ্বালা হয়। আসলে সর্ষের তেলে বেশ কিছু রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, যা শিশুর ত্বককে ইরিটেট করে। এই তেল ব্যবহারে কন্ট্যাক্ট ডার্মাইটিসের সম্ভাবনা বাড়ে। তাই বাচ্চাকে তেল মালিশের জন্য এই তেল ব্যবহার না করাই ভাল।
নারকোল তেল
ত্বক-বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুর মালিশের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত নারকোল তেল। নারকোলের মধ্যে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড অ্যান্টি ফাঙ্গাল ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান শিশুর ত্বককে সুরক্ষা দেয়।
অলিভ অয়েল
কাঁচা সবুজ জলপাই থেকে তৈরি তেল অর্থাৎ অলিভ অয়েলেও ভাল পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে, তাই এই তেলও শিশুর মালিশের উপযোগী।
টি ট্রি অয়েল
টি ট্রি তেল অর্থাৎ চা গাছের নির্যাস থেকে তৈরি তেল খুব ভাল অ্যান্টিসেপ্টিক। এই তেল মালিশেও শিশুর ত্বকে ক্ষতি হয় না।
আমলা তেল
আমলা তেল শিশুর ত্বকের জন্য খুব ভাল। এতে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড ক্ষতিকর ডার্মাটোফাইটাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
আমন্ড অয়েল
তেল মালিশে আমন্ড অয়েলের বিপুল জনপ্রিয়তা রয়েছে। তবে বাদাম তেল সব ত্বকে সহ্য হয় না। শিশুর ত্বকও এই তেল ব্যবহারে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। তাই বাচ্চাকে তেল মালিশে এই তেল না ব্যবহার করাই ভাল।