ডায়াবেটিস মানেই সব বাদ নয়! এইসব খেতে পারবেন অনায়াসেই

গুড হেলথ ডেস্ক

ডায়াবেটিস বা মধুমেহর রোগী এখন ঘরে ঘরে। রক্তে শর্করার পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকলে, তাকে হাই ব্লাড সুগার বা ডায়াবেটিস রূপে চিহ্নিত করা হয়। এটা এমন একটা অসুখ, যা ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে স্বাভাবিক জীবনযাপনের ছন্দ বিঘ্নিত হয়। ডায়াবেটিস যে শুধু নিজে একটা অসুখ, তা নয়। এই রোগ আরও অন্যান্য জটিল রোগকে আহ্বান করে নিয়ে আসে। ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণ করতে সবচেয়ে বড় অস্ত্র হল শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবনযাপন আর ডায়েট।

সুগারের রোগী হলে কী খাওয়া যায় আর কী যায় না, সেই নিয়ে প্রচুর দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকে। ঠিক সেই কারণে ডায়াবেটিস হলে কোন কোন খাবার খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে, তার একটা সংক্ষিপ্ত স্বচ্ছ ধারণা নীচে দেওয়া হল।

diabetes diet

● খোসা সহ দানাশস্য- যেমন আটার রুটি, ডালিয়া, ভাত, ডাল রাখতে হবে রোজকার ডায়েটে। অনেকেরই ধারণা রয়েছে, ডায়াবেটিস হলে বুঝি ভাত খাওয়া যায় না। তবে এই ধারণা যুক্তিযুক্ত নয়। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলেও ভাত খাওয়া যায়। আটার রুটিতে যেমন প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, তেমন ভাতে হয়তো অতটা ফাইবার নেই। কিন্তু ভাতটাকে যদি একটু বেশি সবজি দিয়ে খাওয়া যায়, তা হলেই শরীর পরিমিত ফাইবার পাবে। অর্থাৎ‍ ফাইবারের ঘাটতি পূরণ করবে সবজি। তবে ডায়াবেটিসে যে কোনও খাবারই পরিমাপ বুঝে খাওয়াটা জরুরি। ভাতও অবশ্যই পরিমিত হতে হবে।

diabetes

● সবুজ শাকসবজি ও ফল- যথেষ্ট পরিমাণ সবজি যেমন পালং, মেথি, নটে ইত্যাদি শাক ও টাটকা মরশুমি ফল যেমন আপেল, পেয়ারা, নাশপাতি, জামরুল, মুসাম্বি, বাতাবিলেবু, কমলালেবু, পাকা পেঁপে, তরমুজ ইত্যাদি রাখতেই হবে ডায়াবেটিসের ডায়েটে। সবজি ও ফলমূলে বিভিন্ন রকম ভিটামিন ও মিনারেলের সঙ্গে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা শরীরের জন্য খুবই দরকারি। সবুজ শাকসবজি রক্তে গ্লুকোজ ও লিপিডের পরিমাণও কম রাখতে সাহায্য করে। শাকপাতা খেলে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অর্থাৎ রক্তে শর্করার পরিমাণ হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

● লো ফ্যাট দুধ- হাই ব্লাড সুগার থাকলে কম পরিমাণ ফ্যাট থাকা দুগ্ধজাত খাবার বা লো ফ্যাট দুধ যেমন দই, ছানা, বাটার মিল্ক ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে।

Type 2 Diabetes

● টাটকা ছোট মাছ- চারাপোনা, বাটা বা ১ কেজির চেয়ে কম ওজনের মাছ খাওয়া যেতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদেরও প্রোটিন খাওয়া প্রয়োজন। প্রোটিনের চাহিদা সহজেই পূরণ করতে পারে স্বাস্থ্যকর ছোট মাছ।

● ডিম- সুগার থাকলেও ডিম খাওয়া যায়। রক্তে যদি কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি না থাকে, তা হলে সপ্তাহে ৩-৪টে ডিম তো অনায়াসে খাওয়া যেতে পারে।

● সুগার ফ্রি মিষ্টি- ডায়াবেটিস রোগী মাত্রেই মিষ্টি থেকে একেবারে বঞ্চিত করে রাখা ঠিক নয়। পরিমিত পরিমাণে সুগার ফ্রি দিয়ে ঘরে তৈরি মিষ্টি বা পায়েস খাওয়া যেতেই পারে, তবে নিয়মিত নয়। সঙ্গে এটাও খেয়াল রাখতে হবে, খাবারে যেন কখনই সুগার ফ্রি-র পরিমাণ খুব বেশি না হয়।