
বর্তমান সময়ে যে সমস্ত অসুখের জগতজোড়া কুখ্যাতি, তাদের মধ্যে অন্যতম হল ডায়াবেটিস (Diabetes)। অনেকে একে বলেন ‘লাইফস্টাইল ডিজিজ’। অর্থাৎ আমাদের জীবনযাপনের ভুলের কারণে যে সব অসুখ হয়, ডায়াবেটিস তাদের মধ্যেই পড়ে। যদিও সব ডায়াবেটিস (Diabetes) হওয়ার জন্যই আমরা দায়ী নই। সত্যি কথা বলতে ডায়াবেটিস শুধু একা একটা রোগ নয়, এ আরও পাঁচটা অসুখকে আমন্ত্রণ করে আনে। তাই ডায়াবেটিস থেকে বেঁচে চলাই মঙ্গল।
কী করে বুঝবেন, আপনি ডায়াবেটিসে (Diabetes) আক্রান্ত কিনা!
ডায়াবেটিস আছে কিনা, তা বোঝা কিন্তু বেশ মুশকিলের। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডায়াবেটিক রোগীদের (বিশেষত টাইপ ২ ডায়াবেটিস) কোনও উপসর্গই থাকে না। অন্যান্য শারীরিক অসুখ বা জটিলতার মধ্যে রক্তে শর্করার আধিক্য প্রকাশ পায়। ধরুন, কারও হার্ট অ্যাটাক করল, আর তখনই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানা গেল, রোগীর ডায়াবেটিস রয়েছে। তার আগে হয়তো রোগী নিজেও জানতেন না। এই জন্য ডায়াবেটিস আছে কিনা, সে বিষয়ে সময় থাকতেই নিশ্চিতভাবে জানাটা খুব দরকার। রুটিন চেকআপ যেমন রক্তচাপ, ব্লাড সুগার, ইউরিন টেস্ট, ইসিজি ইত্যাদি করে নিজের শরীরের খুঁটিনাটি বিষয়ে আপডেটেড থাকলে ডায়াবেটিসের উপস্থিতি দ্রুত ধরা যায়। এতে ডায়াবেটিসের কারণে অন্যান্য যেসব শারীরিক জটিলতা হতে পারে, তা চিকিৎসার মাধ্যমে সহজেই প্রতিরোধ করা যায়।
Dark Chocolate: হার্ট ভাল রাখে ডার্ক চকোলেট? কতটা খেলে কমবে হৃদরোগের ঝুঁকি
ওষুধ খেলেই কি সেরে যায়?
ডায়াবেটিসে যেসব ওষুধ রোগীকে দেওয়া হয়, তার উদ্দেশ্যই হল ডায়াবেটিসের কারণে আরও যে সব শারীরিক জটিলতা হয়, সেগুলো প্রতিরোধ করা। আসলে সুগার কমানোর ওষুধ শুধু সুগার কমায় না, সঙ্গে কিডনি, হার্টের সুরক্ষার দিকেও নজর রাখে।
ডায়াবেটিস হলেই ভাত-রুটি বন্ধ?
ডায়াবেটিস হলে সুনির্দিষ্ট ডায়েট ফলো করা উচিত, কিন্তু ভাত রুটি সব দুম করা বন্ধ করে দেওয়া এক্কেবারে ঠিক নয়। শরীরে ভাত রুটির মতো একটুও কার্বোহাইড্রেট না গেলে শরীর ঠিকমতো চলতে পারে না। তাই ওগুলোরও প্রয়োজন। আসলে রক্তে শর্করা বাড়লে কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, প্রোটিন সবই পরিমিত মাত্রায় খাওয়া প্রয়োজন। ডায়াবেটিস (Diabetes) হলে সুষম খাবার খাওয়াই বাঞ্চনীয়। জিরো কার্বোহাইড্রেট ফুড নয়।
ডায়াবেটিসে সুস্থ থাকতে একটু কসরত করতেই হবে
প্রতিদিন অল্প হলেও ফিজিক্যাল এক্সাসাইজ করতে হবে। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো সচল রাখতে হবে। একটু হাঁটা, ওয়ার্ক আউট, জিম এসব কিন্তু ডায়াবেটিক রোগীকে চাঙ্গা রাখতে পারে। ওজন যাতে না বাড়ে, সে খেয়ালও রাখতে হবে।