
ঘুম থেকে উঠেই শক্ত হয়ে যাচ্ছে কাঁধ? হাত তুলতে সমস্যা? কাঁধ ঘোরাতে গেলেও যেন চাবুকের মতো ব্যথা কষাচ্ছে। এটা ফিক ব্যথার সমস্যা নয় (Frozen Shoulder)। কাঁধ স্টিফ হয়ে যাওয়া অন্য অসুখের লক্ষণ হতে পারে। ডাক্তারি ভাষায় একে বলে ‘অ্যাডেসিভ ক্যাপসুলাইটিস’। সাধারণত ফ্রোজেন শোল্ডার নামেই আমরা বেশি চিনি।
কেন হয় ফ্রোজেন শোল্ডার (Frozen Shoulder)?
এই রোগে কাঁধের বল ও সকেটসন্ধি আক্রান্ত হয়। চল্লিশের পর থেকে ফ্রোডেন শোল্ডারের ঝুঁকি বাড়ে। যে অস্থিসন্ধি দ্বারা বাহু ও কাঁধ সংযুক্ত থাকে সেই অস্থিসন্ধিতে অবস্থিত হাড়, লিগামেন্ট ও টেনডনগুলি ক্যাপসুলের মতো এক প্রকার টিস্যু দ্বারা আবৃত থাকে। এই ক্যাপসুল ফুলে গেলে বা প্রদাহ হলে সেখানকার পেশি স্টিফ হয়ে যায়। তখন ফ্রোজেন শোল্ডারের সমস্যা দেখা দেয়।
ফ্রোজেন শোল্ডার হলে প্রথম প্রথম কাঁধ, হাত ঘোরাতে সমস্যা নয়। ধীরে ধীরে ব্যথা বাড়ে। সঠিক সময় ট্রিটমেন্ট হলে আবার পেশি নমনীয় হয়ে গিয়ে কাঁধ ও হাতের সংযোগস্থলের এলাকা স্বাভাবিক হয়ে যায়।
ফ্রোজেন শোল্ডার ডায়াবেটিসের লক্ষণ!
ডায়াবিটিস, থাইরয়েড ও হার্টের সমস্যায় ভোগা রোগীদের ক্ষেত্রেও অনেকটাই বেশি এই রোগের ঝুঁকি। পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের এই রোগে (Frozen Shoulder) আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।
এই রোগটির প্রধান লক্ষণ হল ব্যথা। ব্যথা ধীরে ধীরে শুরু হয় এবং কয়েক সপ্তাহ বা মাস ধরে তা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। প্রথমে নিয়মিত কাঁধের চারপাশে অল্পস্বল্প ব্যথা হয়। পরের দিকে ব্যথার তীব্রতা বাড়তে থাকে এবং ব্যথা ঘাড়ে, পিঠে, কনুই-এর দিকে ছড়িয়ে পড়ে। নিয়মিত ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে থাকে।
সমাধান কীসে?
ব্যায়ামই হল এই রোগের প্রধান চিকিৎসা। নিয়মিত ব্যায়াম ও ফিজিওথেরাপি করালে কাঁধের কাঁধের পেশির নমনীয়তা বাড়ে। এর সাথে ওষুধ, মালিশ, সেঁক ইত্যাদিও ব্যবহার করা হয়। ইঞ্জেকশন দিয়েও থেরাপি করা হয় তবে রোগ বাড়াবাড়ি পর্যায়ে গেলে।