
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত প্রিয়াঙ্কার স্বামী নিক জোনাস! শরীরে কী কী অসুবিধা হচ্ছে জানালেন নিজেই
গুড হেলথ ডেস্ক
ডায়াবেটিস (World Diabetes Day) হয়েছে নিক জোনাসের?
নিজের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে তেমনটাই জানিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার স্বামী পপ তারকা নিক জোনাস (Nick Jonas)। নিক বলছেন, টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। প্রথম প্রথম কিছু উপসর্গ খেয়াল করেছিলেন নিজেই। পরে টেস্ট করাতে রোগ ধরা পড়ে।
কী কী সমস্যা হচ্ছিল নিক জোনাসের?
নিক বলছেন চার রকম লক্ষণ দেখে তিনি নিজেই সতর্ক হয়েছিলেন–
১) বার বার গলা শুকিয়ে যাচ্ছিল।
২) ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ।
৩) হঠাৎ করে অনেকটা ওজন কমে গিয়েছিল।
৪) সারাক্ষণ ক্লান্তি, ঝিমুনি, বিরক্তিভাব থাকত তাঁর।
ডায়াবেটিস (World Diabetes Day) এমন একটি শারীরিক অবস্থা যেখানে রক্তের শর্করা তৈরি ও কোষে গ্লুকোজ জারিত হয়ে এনার্জি তৈরির স্বাভাবিক প্রক্রিয়াটি বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গিয়ে নানা জটিলতা তৈরি হয়। শরীরে ইনসুলিন নামের হরমোনের ঘাটতি হলে, ইনসুলিনের কাজের ক্ষমতা কমে গেলে বা উভয়ের মিলিত প্রভাবে রক্তে যদি শর্করার পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায় তখন তাকে ডায়াবেটিস (Diabetes) বলে। সেক্ষেত্রে বাইরে থেকে ইনসুলিন নেওয়ার দরকার পড়ে।
ডায়াবেটিস দু’রকমের টাইপ-১ ডায়াবেটিস ও টাইপ-২ ডায়াবেটিস। নিক জোনাস টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত।
অ্যান্টিজেন এবং অ্যান্টিবডির কাজের ফলে খুব ছোটোতেই ভাইরাসজনিত কিংবা অন্য কোনও কারণে প্যানক্রিয়াসের বিটা সেলগুলি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। তার ফলে ইনসুলিনের ঘাটতি হয়। ইনসুলিনের ঘাটতি হয়ে গেলে কোষের মধ্যে গ্লুকোজ প্রবেশ করতে পারে না। গ্লুকোজ প্রবেশ করতে না পারলে এনার্জি তৈরি হবে না। টাইপ ১ ডায়াবিটিসকে (World Diabetes Day) অটোইমিউন রোগ বলা হয়। অগ্ন্যাশয়ে অবস্থিত ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষগুলি ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে যাওয়ার ফলে শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়, সে অবস্থাকে টাইপ-১ ডায়াবিটিস বলা হয়।
ডায়াবেটিস নির্ণয়ের ক্ষেত্রে তিনটি মেডিক্যাল টেস্ট রয়েছে। ফাস্টিং ব্লাড সুগার, পিপি ব্লাড সুগার (ভাত খেয়ে কিংবা এক গ্লাস জলে ৭৫ গ্রাম গ্লুকোজ গুলে খেয়ে তার দু’ঘণ্টা পর) এবং অনেক ক্ষেত্রে রক্তের হিমোগ্লোবিনের মধ্যে গ্লুকোজটা আটকে থাকে সেটা দেখার জন্য এইচবিএওয়ানসি টেস্ট করা হয়। যেটা থেকে তিন মাসের রিডিং পাওয়া যায়। ফাস্টিং ব্লাড সুগার যদি ১২৬ মিলিগ্রামের পার্সেন্টের বেশি হয়, পিপি ব্লাড সুগার যদি ২০০ মিলিগ্রাম পার্সেন্টের বেশি হয় এবং এইচবিএওয়ানসি যদি ৬.৫% এর অধিক হয় সে ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হয়।