
কাটাছেঁড়া ছাড়াই শ্বাসনালির টিউমার বের করছেন ডাক্তাররা, পথ দেখাচ্ছে থেরাপিউটিক ব্রঙ্কোস্কোপি
গুড হেলথ ডেস্ক
শ্বাসনালিতে দীর্ঘসময় ধরেই টিউমার বাসা বাঁধছিল। বুঝতে পারেননি রোগী। শ্বাস নিতে কষ্ট, গলায় কফ জমে যাওয়া, শ্লেষ্মার সঙ্গে রক্ত বেরিয়ে আসত মাঝে মাঝেই। প্রচণ্ড কাশিতে বুকে ব্যথা হয়ে যেত। প্রথমে ডাক্তাররা ভেবেছিলেন যক্ষ্মা, পরে ধরা পড়ে টিউমার। শ্বাসনালি থেকে টিউমার বের করতে গেলে বুকে অস্ত্রোপচার করে সেটা বের করতে হত। তাতে রোগীর ঝুঁকি বাড়ত। সেক্ষেত্রে ডাক্তাররা এখন থেরাপিউটিক ব্রঙ্কোস্কোপির (Therapeutic bronchoscopy ) সাহায্য নিচ্ছেন। অস্ত্রোপচার ছাড়াই এই পদ্ধতিতে টিউমার বের করে আনা সম্ভব।
শ্বাসনালির টিউমার শুধু নয়, যদি শ্বাসনালিতে কিছু আটকে যায় তাহলেও সেটা বের করে আনার জন্য ব্রঙ্কোস্কোপি করছেন ডাক্তারবাবুরা। কলকাতার হাসপাতালগুলিতেও এখন ব্রঙ্কোস্কোপি (Therapeutic bronchoscopy ) করা হচ্ছে। তাছাড়া ধাতব কিছু শ্বাসনালিতে আটকে গেলেও সেক্ষেত্রে উপায় থেরাপিউটিক ব্রঙ্কোস্কোপিই। ডাক্তারবাবুরা বলছেন, এক জন রোগীর পক্ষে কাটাছেঁড়া ছাড়া নিরাময়ের এই পদ্ধতিতে যেমন শারীরিক ধকল কম হবে, তেমনই সাশ্রয় হবে খরচে। রোগীর কষ্ট দ্রুত কমবে।
ব্রঙ্কোস্কোপি কী?
ব্রঙ্কোস্কোপি হল এমন একটা পদ্ধতি যেখানে একটি সরু ও ধাতব নল সোজা শ্বাস নেওয়ার পথে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এই নলকে বলে ব্রঙ্কোস্কোপ। এই ব্রঙ্কোস্কোপ ঢুকিয়ে ডাক্তাররা গলা, ল্যারিংক্স বা স্বরনালী, ট্রাকিয়া বা শ্বাসনালীর পরীক্ষা করে থাকেন। শ্বাসনালী কোনও ‘ফরেন পার্টিকল’ আটকে গেলে বা সংক্রমণ হলে, এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা করেন ডাক্তাররা। অনেক সময় বুকের এক্স-রে বা চেস্ট এক্স-রে তে সবটা ধরা পড়ে না। তখন ব্রঙ্কোস্কোপির সাহায্য নেওয়া হয়। এই পদ্ধতিতে শ্বাসনালী বা ফুসফুসে ব্লকেজ থাকলে সেটাও ছাড়ানো যায়। আবার বায়োপসির জন্য কোষ বা মিউকাসের নমুনাও সংগ্রহ করা যায়।
কীভাবে করা হয় ব্রঙ্কোস্কোপি?
ব্রঙ্কোস্কোপি দুই ধরনের হয়—ফ্লেক্সিবল ব্রঙ্কোস্কোপি ও রিজিড ব্রঙ্কোস্কোপি। ফ্লেক্সিবল ব্রঙ্কোস্কোপিতে একটি সরু, লম্বা নল বা টিউব শ্বাসনালীতে ঢুকিয়ে পরীক্ষা করা হয়। এই ধরনের ব্রঙ্কোস্কোপিতে অ্যানাস্থেসিয়া দেওয়ার দরকার পড়ে না। আর রিজিড ব্রঙ্কোস্কোপিতে ফাঁপা ধাতব নল বা টিউব ঢোকানো হয় শ্বাস-প্রশ্বাসের পথে। এই ক্ষেত্রে অ্যানাস্থেসিয়া দেওয়ার দরকার পড়ে।
থেরাপিউটিক ব্রঙ্কোস্কোপি (Therapeutic bronchoscopy ) পদ্ধতিকে ইলেক্ট্রোকটারি স্নেয়ার পদ্ধতিও বলা হয়। এই প্রক্রিয়ায় টিউমার বের করে আনা সম্ভব।
পিরিয়ডের আগে খিটখিটে মেজাজ, তলপেটে অসহ্য যন্ত্রণা, প্রি-মেনস্ট্রুয়াল সিনড্রোমে ভুগছে কমবয়সিরাই