নাছোড় রোগ ঘুরে ফিরে আসে, ভোগান্তিও বেশি, ত্বকের এই অসুখকে হেলাফেলা নয়

গুড হেলথ ডেস্ক

ত্বকের এই অসুখ একেবারে নাছোড়বান্দা। ঘুরে ফিরে আসে, সহজে সারতে চায় না। একবার এই রোগ ধরলে দীর্ঘসময় কষ্ট পেতে হয় রোগীকে। করোনাকালে ত্বকের (psoriasis ) এই অসুখের বাড়বাড়ন্ত হয়েছিল। বিশেষত পায়ের গোড়ালি, আঙুলে জ্বালাপোড়া ক্ষত, ঘা হতে দেখা গেছে অনেক রোগীরই। ত্বকের এই অসুখের নাম সোরিয়াসিস। বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষ এই ত্বকের সমস্যা নিয়ে জেরবার। আজ বিশ্ব সোরিয়াসিস দিবসে তাই সচেতনতা বাড়াতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

Psoriasis

সোরিয়াসিস (psoriasis ) কী?

সোরিয়াসিস (psoriasis ) থাকলে গ্রীষ্ম-বর্ষা-শীত নির্বিশেষে বছরভরই ত্বকের ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হয়। এটি হল অটোইমিউন ত্বকের অসুখ যা ডেকে আনে টি-লিম্ফোসাইট। হাত, পা, মুখ, হাতের কনুই, পায়ের পাতা, ঠোঁট, গলা ও পিঠে লালচে-খয়েরি র‍্যাশ দেখা যায়। খসখসে হয়ে যায় চামড়া। চুলকানি শুরু হয়। আঁশের মতো শুষ্ক হয়ে যায়।

Psoriasis

কেন হয় সোরিয়াসিস?

আমাদের ত্বকের প্রধানত দু’টি স্তর, এপিডার্মিস বা বহিঃত্বক আর ডার্মিস বা অন্তঃত্বক। এপিডার্মিস অংশের একদম ওপরের অংশে কেরাটিন নামের মৃত কোষ থাকে। এই কোষ নির্দিষ্ট সময় অন্তর খসে যায় ও সেই জায়গায় নীচের স্তরে থাকা সজীব কোষ ওপরে উঠে আসে। সময় হলে আবার তারা খসে যায়। আজীবন চক্রাকারে এই পদ্ধতি চলতে থাকে। ডাক্তারি ভাষায় একে বলে,এপিডার্মিস টার্নওভার। যদি এই প্রক্রিয়ায় জটিলতা তৈরি হয় এবং মৃত কোষ জমতে শুরু করে তখন ত্বক খসখসে হয়ে আঁশের মতো শুষ্ক হয়ে যায়। নীচের স্তরের সজীব কোষ আর ওপরে উঠে আসতে পারে না। সারাক্ষণ ত্বকে চুলকানি হতে থাকে, লালচে গোলাপি র‍্যাশ দেখা দেয়। শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে ছাল ওঠতে শুরু করে। মারাত্মক ইনফেকশন হয়ে ঘা হয়ে যায়। ত্বকের এই অবস্থার নামই সোরিয়াসিস।

Psoriasis:

চিকিৎসা কী?

সোরিয়াসিস (psoriasis ) কেন হয়, তার কারণ এখনও অস্পষ্ট। সাধারণত মনে করা হয়, কিছু জিনগত এবং পরিবেশগত কারণে এই রোগ হতে পারে।শীতে ত্বক দ্রুত শুকিয়ে যায় বলে এই সমস্যা বাড়ে। নিয়মিত ত্বকের যত্ন প্রয়োজন। ত্বক পরিষ্কার তো রাখতেই হবে, সঙ্গে ইমোলিয়েন্ট জাতীয় লোশন ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন ডার্মাটোলজিস্টরা।

সোরিয়াসিসে ফটোথেরাপি-সহ অনেক আধুনিক চিকিত্‍সা প্রচলিত আছে। এতে ত্বক ফটোসেনসেটাইজড করে আলট্রাভায়োলেট রশ্মি দেয়া হয়। এই রোগের চিকিত্‍সার নিয়ে এখনও অনেক গবেষণা চলছে।