
চশমা ছেড়ে লেন্স পরছেন? ব্যবহার করার সঠিক নিয়ম না জানলে চোখের ক্ষতি
মহিলারা চশমার পরিবর্তে কনট্যাক্ট লেন্স পরতেই বেশি পছন্দ করছেন। তবে একটানা অনেক ক্ষণ কনট্যাক্ট লেন্স পরে থাকলে চোখের নানা সমস্যা দেখা যায়। মাইওপিয়া, হাইপারমেট্রোপিয়া বা অ্যাস্টিগসাটিজমের মতো চোখের সমস্যাগুলি অত্যন্ত সাধারণ। বিজ্ঞানসম্মত কারণেই, এই সব সমস্যাকে বাড়তে না দেওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায়— চশমা বা কন্ট্যাক্ট লেন্স। কিন্তু লেন্স ব্যবহারেরও কিছু নিয়ম আছে।
লেন্স খারাপ নয়। কিন্তু সারাদিন আমরা চোখে যে লেন্স পরে থাকছি তার কতটা যত্ন নেওয়া হয় সেটাই হল আসল কথা। আরও কতগুলো বিষয় আছে, যেমন দিনে কতক্ষণ লেন্স পরেন, ঘুমনোর সময়েও কি লেন্স চোখেই থাকে, লেন্স পরা অবস্থাতে বারে বারে চোখ কচলানো বা চোখে হাত দেওয়ার অভ্যাস আছে কি, লেন্স খোলার পরে তাকে ঠিকমতো সলিউশনে রাখা হয় কিনা সেটাও বড় ব্যাপার। চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বিষয়গুলো যদি গুরুত্ব দিয়ে না দেখা হয়, তাহলে লেন্স হয়ে যেতে পারে সংক্রামক। ব্যাকটেরিয়ার ইনফেকশন ছড়াতে পারে চোখে। এবং তার থেকেই হতে পারে জটিল চোখের রোগ।
লেন্স পরার সময় কী কী বিষয়ে খেয়াল রাখবেন?
লেন্সে যেন চোখের মেকআপ লেগে না যায় সেটা দেখতে হবে। লেন্স পরে মেকআপ করলে অনেক সময় লেন্সে কাজল বা মাস্কারা লেগে গেলে চোখে প্রাথমিক জ্বালাভাব তো হবেই, এমন কী ইনফেকশনও হয়ে যেতে পারে।
বেশিক্ষণ লেন্স পরলে চোখের জল শুকিয়ে যায়, কর্নিয়ার ক্ষতি হতে পারে। ৮ ঘণ্টার বেশি একটানা লেন্স কখনওই পরবেন না। লেন্স বাছার সময় দেখে নেবেন সেই লেন্স কত সময় ধরে পরে থাকা যায়।
লেন্স পড়ার আগে ও পরে হাত ভাল করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে ভুলবেন না। তোয়ালেতে হাত মুছবেন না, বরং কোনও মসলিন কাপড়ে বা সুতির রুমালে হাত মুছে তবেই লেন্সে হাত দেবেন।
রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই কনট্যাক্ট লেন্স খুলে রাখবেন। লেন্স পরে ঘুমিয়ে পড়লে চোখে ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে।
প্রতি তিন মাস অন্তর লেন্স বদলাতে হবে। পরার পরে নিয়ম করে লেন্স সলিউসনে ভিজিয়ে রাখতে হবে।
রঙিন লেন্স দেখতে আকর্ষণীয় সেই বিষয় কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু নিয়মিত পরার জন্য রঙিন লেন্স ব্যবহার না করাই ভাল।
ভাল ব্র্যান্ডের লেন্স ব্যবহার করুন। সন্তার রহিন লেন্স পরলে চোখে সংক্রমণ হতে বাধ্য।
কনট্যাক্ট লেন্স থেকে চোখ লাল হয়ে যাওয়া, চোখ দিয়ে জল পরা বা চোখে সংক্রমণের ৮০-৯০ শতাংশ হয় ব্যাকটেরিয়ার কারণে। লেন্সের সঠিক যত্ন না নিলে তার ওপর ব্যাকটেরিয়ার প্রোটিন জমে যেতে পারে। রেটিনার সংস্পর্শে এলে যা মারাত্মক ব্যাপার হয়ে উঠতে পারে। স্ট্যাফাইলোকক্কাস অরিয়াস, সিউডোমোনাস অ্যারুজিনোসা ইত্যাদি ব্যাকটেরিয়া কনট্যাক্ট লেন্সে জন্মাতে পারে এবং চোখে সংক্রমণ ছড়াতে পারে।