ওয়ার্ক ফ্রম হোমে বেড়েছে স্ক্রিনটাইম, চোখের কী ক্ষতি হচ্ছে

গুডহেলথ ডেস্ক: প্রায় দেড় বছর ধরে চলছে করোনাকাল। আরও কতদিন চলবে, জানা নেই। এই দীর্ঘ সময়ে অনেকেই স্কুল, কলেজ বা অফিসমুখো হননি। ওয়ার্ক ফ্রম হোমের জমানায় অফিস হচ্ছে বাড়ি থেকেই। উন্নতি প্রযুক্তির এমনই কামাল! ফলে দিনের অনেকটা সময় ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ট্যাব বা মোবাইলে চোখ রেখে দিন কাটছে। এই ডিভাইসগুলোই এখন ওয়ার্কস্টেশন। যাঁরা কাজ করছেন না, তাঁরাও এই সামাজিক দূরত্বের দিনে মত্ত গ্যাজেটেই। কায়িক পরিশ্রম কমেছে। ফলে চোখে নেই ঘুম। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ওয়েব সিরিজ, অনলাইন গেম, মিটিং, ভিডিও চ্যাট বা সোশ্যাল দুনিয়ায় মজে আট থেকে আশি।

তবে এসবেরই মাঝে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চোখের সমস্যা। চক্ষু চিকিৎসকরা বলছেন, চোখের পাওয়ার হঠাৎ বেড়ে যাওয়া, মাথাব্যথা, চোখে যন্ত্রণা, চোখ দিয়ে জল পড়ার মতো নানান সমস্যা নিয়ে রোগীরা আসছেন। এই রোগীদের সংখ্যা করোনা পূর্ববর্তী সময়ের থেকে বেশ কিছুটা বেড়েছে। চোখের সমস্যা অবহেলা করা একেবারেই উচিত নয়। উপেক্ষা করে ফেলে রাখলে আরও বৃহত্তর দৃষ্টিজনিত অসুবিধা দেখা দিতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সময়ে চোখের ভালটাও দেখতে হবে। চোখের আরামের জন্য মানতে হবে কয়েকটি সহজ নিয়ম-

১) কাজ করার সময় এক ভাবে কখনই ল্যাপটপ বা ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকা উচিত নয়। মাঝে মাঝে অন্য দিকেও তাকাতে হয়, যাতে চোখও একটু আরাম পায়। কাজের ফাঁকে ফাঁকে চোখ কে আরাম দিতে একটু জানলার বাইরে তাকান। ছাদ থাকলে ঘুরে আসুন। দূরে তাকান।

২) কম্পিউটার, ল্যাপটপ-এর সামনে কাজ করার সময় নির্গত অতিবেগুনি রশ্মি থেকে নিজের চোখকে রক্ষা করার জন্য ব্লু কোটিং-যুক্ত চশমা পরুন। এতে চোখের ক্ষতি অনেক কম হয়।

৩) ল্যাপটপ, কম্পিউটার স্ক্রিন থেকে সঠিক দূরত্ব (২২-২৪ ইঞ্চি) রেখে কাজ করুন। খুব কাছে এনে দেখবেন না।

৪) কাজ করার সময় চোখ শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চোখের ড্রপ ব্যবহার করুন।

৫) কাজের ফাঁকে ফাঁকে মাঝে মাঝেই চোখে জলের ঝাপটা দিয়ে হালকা করে ধুয়ে নিন, এর ফলে চোখে অনেকটা আরাম হয়।

৬) স্ক্রিন থেকে চোখ সরিয়ে কাজে বিরতি দিলে আবার মোবাইল নিয়ে বসে পড়বেন না। তার বদলে শরীরের ক্লান্তি মেটাতে কিছুক্ষন চোখ বন্ধ করে বিশ্রাম নিন।

৭) পর্যাপ্ত ঘুমের চেষ্টা করুন।