
হঠাৎ করে বিছের কামড়! ফার্স্ট এইড হিসেবে কী করণীয় জেনে নিন, চিনে নিন খারাপ উপসর্গগুলিও
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গরম এবং শুষ্ক আবহাওয়ায় বিছের প্রাদুর্ভাব দেখা যায় খুব। বাড়ির যে কোনও কোণাতেই থাকতে পারে এটি। বিছের কামড়ের ভয় পান না এমন মানুষের সংখ্যাও খুব কম। তবে সব প্রজাতির বিছেই যে ভয়ানক, এটা ভাবার কোনও কারণ নেই। সারা বিশ্বে ১৫০০টি প্রজাতির বিছে থাকলেও, তার মধ্যে ৩০টি প্রজাতির বিছের কামড়ে সাংঘাতিক ক্ষতি হতে পারে। এমনকি মৃত্যুর মুখেও পড়তে পারেন যে কেউ।
বিছের বিষ সবথেকে ক্ষতি করে শিশুদের। বয়স্করা সামলে নিলেও, শিশুরা অনেক সময় ব্যথা সহ্য করতে পারে না। কখনও প্রচন্ড জ্বালা অনুভব করে। আবার কখনও শারীরিক নানা সমস্যা দেখা দেয়। একটি সমীক্ষায় জানা যাচ্ছে সারা বিশ্বে প্রতি বছর ১৫ লক্ষ মানুষ বিছের কামড়ে আক্রান্ত হন।
বিছে কেন কামড়ায়
ঘর-বাড়ির ঘিঞ্জি জায়গায় বিছে বসবাস করতে পারে। তাছাড়া জনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে বেশি দেখা যায় বিছে। হঠাৎ আক্রমণ করলে, বা বিরক্ত করলে, আত্মরক্ষার তাগিদে ওরা হুল ফুটিয়ে দেয়। সেকারণে আঘাত না করে, স্বাভাবিকভাবে দূরে সরিয়ে দেওয়া শ্রেয়। বিশেষ করে রাতের দিকে বিছের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়। যদিও যেকোনও সময়ই বিছে কামড়াতে পারে। সেকারণে কোথাও বিছের বাসা থাকলে, সেখানে সাবধানে চলাচল করা প্রয়োজন।
বিছে কামড়ালে বুঝবেন কী করে
বিছের প্রজাতির উপর নির্ভর করে যন্ত্রণা কতটা হবে। কিছু সময় কামড়ানোর পরে হালকা ব্যথা করার পর ঠিক হয়ে যায়। কয়েকটি বিশেষ প্রজাতির বিছে কামড়ালে, স্নায়ুতন্ত্রের উপর প্রভাব পড়ে। কখনও আবার শ্বাসকষ্টেরও সমস্যা দেখা দেয়। যে উপসর্গগুলো দেখা দিলে বুঝবেন যে বিষাক্ত বিছে কামড়েছে –
১. সারা শরীরে কোনও সাড় না পেলে।
২. শ্বাসকষ্টের সমস্যা হলে।
৩. খাবার গিলতে সমস্যা হলে।
৪. জিভ ফুলে উঠলে।
৫. কথা জড়িয়ে গেলে।
৬. ক্লান্তিভাব এলে।
৭. চোখে ঝাপসা দেখলে।
৮. সারা শরীরের পেশিতে যন্ত্রণা করলে।
৯. চোখের সমস্যা দেখা দিলে।
প্রাথমিক চিকিৎসা
১. যেখানে কামড়েছে, প্রথমেই জায়গাটা ভাল করে পরিষ্কার করতে হবে।
২. ব্যথা-ফোলার ওপরে বরফ আলতো করে চেপে ধরে রাখতে পারেন।
৩. যন্ত্রণা কমাতে অ্যাসপিরিন, অ্যাসিটামিনোফেন জাতীয় ওষুধও খেতে পারেন।
৪. বিছের বিষ বেশি ছড়িয়ে পড়লে, ২৪ ঘণ্টা খেয়াল রাখতে হবে, নতুন কোনও উপসর্গ দেখা দিচ্ছে কিনা।
৫. ২৪ ঘণ্টা পরেও খুব বেশি যন্ত্রণা করলে বা উপরে বলা কোনও উপসর্গগু দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
৬. ‘ট্যাপ টেস্ট’-এর মাধ্যমে ডাক্তাররা পরীক্ষা করে দেখে দিতে পারবেন কতটা বিষ শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে।
৭. কখনও কখনও ৪৮ ঘণ্টার পর উপসর্গগুলো আর দেখা যায় না। তার পরেও সাবধানে থাকতে বলেন ডাক্তাররা।