
বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করবে কলা! প্রতিদিন কী কী উপায়ে খেতে পারেন, জেনে নিন
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সাইজ জিরো জমানায় স্বাস্থ্য সচেতন প্রায় সকলেই। শরীর সুস্থ রাখার পাশাপাশি, একটু হালকা হওয়ার কিংবা ফিগার মেন্টেন করার দিকেও অনেকে ঝোঁকেন। বহু মানুষের ধারণা হয়তো কলা খেলে মোটা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা উল্টো কথা বলছেন।
কলার মধ্যে রয়েছে মিনারেলস, ভিটামিন। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, সঙ্গে ফ্যাটও কম থাকে। সেকারণেই শারীরিক কসরতের পর, বা ওয়ার্ক আউটের পর এনার্জি ফিরে পেতে কলা খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
ওজন কমাতে কীভাবে সাহায্য করে
আসলে কলার মধ্যে কার্ব এবং ক্যালোরির হার বেশি। সেকারণেই অনেকে কলা খেতে ভয় পান। একটা সাধারণ মাপের কলার মধ্যে ১০৫ ক্যালোরি এবং ২৭ গ্রাম কার্বস থাকে। তাছাড়া এর মধ্যে প্রোটিনের পরিমাণ কম থাকে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কলা খেলে সেভাবে ওজন বাড়বে না। বরং না খেলে এর পুষ্টিগুণ থেকে বঞ্চিত হবে শরীর। সেকারণেই প্রতিদিন নানাভাবে কলা খাওয়ার রেসিপি জানালেন তাঁরা।
সকালে কলা-ওটমিল
রোগা-মোটার চিন্তা না থাকলেও, যাঁরা সার্বিকভাবে সুস্থ থাকতে চান, তাঁদেরকেও ব্রেকফাস্ট স্কিপ করতে বারণ করছেন বিশেষজ্ঞরা। কথায় বলে ‘ব্রেকফাস্ট লাইক আ কিং’! সেকারণেই সারা দিনের মধ্যে সকালে সবথেকে বেশি পরিমাণ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন তাঁরা।
কলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও পটাশিয়াম। সকালবেলায় ওটমিল, চিয়া সিডস, ডালিয়ার সঙ্গে কলা ছোট ছোট করে কেটে, মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে সারাদিনের কাজ করার এনার্জি যেমন পাবেন, তেমনই সহজেই চট করে খিদে পাবে না।
কলা-নাট বাটার
কলার মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম। যা প্রচন্ড শারীরিক কসরতের পর পেশির ব্যথা, ক্র্যাম্প দূর করতে সাহায্য করে। অন্যদিকে এই ফলের মধ্যে রয়েছে গ্লুকোজ। সেকারণে ওয়ার্ক আউটের পর এনার্জি ফিরে পেতে কলা খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। তাছাড়া এর মধ্যে প্রোটিনের পরিমাণ কম থাকে। সেকারণে ওয়ার্ক আউটের পর কলার সঙ্গে নাট বাটার মিশিয়ে খেলে প্রোটিনের ঘাটতি দূর হবে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।
কলার স্মুদি
সমীক্ষা বলছে, কলার মধ্যে স্টার্চ থাকে, যা শরীরের মেটাবলিজম বুস্ট করে। এর মধ্যে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকায়, শরীরের কোষে কোষে পুষ্টি ঠিকমতো পৌঁছাতেও সাহায্য করে। সেকারণে ওয়ার্ক আউটের পর কলার স্মুদি বানিয়ে খেতে পারেন। স্বাদ বাড়ানোর জন্য তার মধ্যে অল্প মধু, বাদাম মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি থাকবে। খিদেও পাবে না।