Belly Fat: ভুঁড়ি দূরীকরণে খাবার সঙ্গে আড়ি! কভি নেহি, জেনে নিন ৫টি পয়েন্ট

গুডহেল্থ ডেস্ক: ভুঁড়ি (Belly Fat) নাকি বাঙালির ভূষণ! স্বাস্থ্যের দিক থেকে কিন্তু মোটেও নয়। যাঁরা কুছ পরোয়া নেই বলে ব্যাপারটা উড়িয়ে দিতে পারেন, তাঁদের ক্ষেত্রে বিষয়টা আলাদা। কিন্তু যাঁদের চেহারায় কলঙ্কের মতো ভুঁড়ির অবস্থান, অথবা যাঁদের অসুস্থতার কারণ এই ভুঁড়ি, তাঁদের কিন্তু প্রয়াস থাকেই একে কমিয়ে ফেলার।

কত কী ই না করেন কেউ কেউ! জিমে যান, সারাদিন ডায়েটের তত্ত্বতালাশ করেন, এমনকি ডিপ্রেশনে ভুগে বাঁচার আনন্দটাকেই মাটি করেন। আসলে ভুঁড়ি বাড়ে দৈনন্দিন জীবনযাপনের দোষে। সেগুলো একটু পরিমার্জন করলেই কিন্তু ভুঁড়িটা নিয়ন্ত্রণ আসতে পারে। জেনে নিন পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট।

খেতে ভালবাসলে ক্ষতি নেই!

অনেকেই ভাবেন খেতে ভালবাসলেই বুঝি একটা ছোট্ট আদরের ভুঁড়ি (Belly Fat) জন্মানোটা বাধ্যতামূলক। প্রকৃতপক্ষে এমনটা নয়। খাওয়ার সঙ্গে ভুঁড়ির সম্পর্ক নিশ্চয় আছে। কিন্তু আপনি যদি পেট পুরে আজেবাজে না খেয়ে শুধু ভালটুকুই খান, তাহলে আর ভুঁড়ি হবে না। ভাত, রুটি, সবজি, তরি-তরকারি প্রাণ ভরে খান। তবে ফ্যাট, ট্রান্স-ফ্যাটের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখুন। রোজ রোজ তেলেভাজা, মশলাদার খাবার খেলে ফ্যাটটা আর হজম হবে না, সে আপনার পেটেই চর্বি হয়ে জমবে। এতে দেখা দেবে হেপাটোএন্ডিক্যানাল ইমব্যালেন্স। ফলে দেদার ভুঁড়ি বাড়বে।

না খেয়েও ভুঁড়ির (Belly Fat) লাভ নেই!

ভুঁড়ি কমাতে আপনি হয়তো দুম করে খাওয়া বন্ধ করে দিলেন। নয়তো সারাদিনে যৎসামান্য খেয়েই চালিয়ে নিচ্ছেন। এমনটা হলে কিন্তু আখেরে ক্ষতিই। আপনার শরীর তার প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান পাবে না। এতে অসুস্থ হয়ে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা। তার চেয়ে বরং খাবার খান। পরিমাণ মতোই খান। একেবারে নয়, অল্প অল্প করে বারে বারে খান। এক, দু’বেলার খাওয়া বন্ধ করে দেওয়ার মতো ভুল করবেন না। হিতে বিপরীত হবে।

শরীরটাকে একটু নাড়া দিন!

সারাদিন ঘরে বা অফিসে বসেই কাজ হলে অনেকের চলাফেরার তেমন প্রয়োজন পড়ে না। অনেকে তো আবার কাউচ্ পটাটোর মতোই এক জায়গায় স্থবির হয়ে থাকতে ভালবাসেন। এভাবে চললে কিন্তু ভুঁড়িকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। বরং সারাদিনে একটু সময় করে শরীরটাকে নাড়ান। কিছু না করতে পারলে শুধু একটু হাঁটুন। আর সাইক্লিং, সাঁতার বা ব্যায়াম করার মতো অবসর পেলে তো অতি উত্তম।

প্রচুর জল খান

বেশি করে জল খেলে কিন্তু শরীরের অনেক উপকার। টক্সিন দূর হয়, হজম ভাল হয়, সুন্দর ঘুম হয়, ত্বক ভাল থাকে, আরও কত কী! বলে শেষ করা যাবে না। সঙ্গে বেশি বেশি জল খেলে কিন্তু ভুঁড়িও কমে। আমেরিকার ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যালের একদল গবেষক গবেষণা করে জানিয়েছেন, জল খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের এক্সপেনডিচার রেট অনেক বেড়ে যায়, যা শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

দুশ্চিন্তা একদম নয়!

ভুঁড়ি নিয়ে বেশি ভাবাটা কিন্তু মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়। অতিরিক্ত চিন্তার ফলেও কোমরের চারপাশে বা পেটে মেদ জমতে পারে। তাই ভুঁড়ি কমাতে অবশ্যই চিন্তামুক্ত জীবনযাপন করতে হবে। স্ট্রেস একদম নেবেন না। ভুঁড়ি নিয়ে বাড়াবাড়ি রকমের ভাবনা ছেড়ে আনন্দ উৎফুল্লে বাঁচুন। দেখবেন, ভুঁড়ি ঠিক কমে গেছে।

Summer Diet: এই গরমে সুস্থ থাকুন, ডায়েটে কী কী রাখবেন