Drowsiness: সারাদিন ক্লান্ত লাগছে? সব সময় ঘুম পাচ্ছে? এনার্জি বাড়ান এভাবে

গুড হেলথ ডেস্ক

Drowsiness

সকালে ঘুম ভাঙা থেকে শুরু করে রাত্রে ঘুমোতে যাওয়া পর্যন্ত সবসময় যেন আমরা ছুটে চলেছি। একটুও বিরাম নেই। আগে মানুষের অফিসের কাজ অফিসেই তালা বন্ধ হয়ে যেত অফিস ছুটির পর। কিন্তু এখন আর সেই দিন নেই। ড্রয়িং রুমে টিভি দেখতে দেখতেও আসতে পারে অফিসের ফোন। জরুরি মিটিং বেডরুমে বসেই সারতে হতে পারে রাত্রি ১২টায়। সত্যি বলতে ব্যস্ততা এখন আগের চেয়ে বেড়েছে বহুগুণে। সারাক্ষণ এভাবে ছুটতে ছুটতে কখনও আমরা ভীষণ হাঁফিয়ে উঠি। একটু ছুটির জন্য মন যেন আঁকপাঁক করে। কিন্তু ছুটি তো অত সুলভ বস্তুটি নয়। তাই কাজ করে যেতে হয় মুখ বুজে। তবে বিমর্ষ হয়ে একমুখ ক্লান্তি ভরে কাজ করলে জীবনের গুণমান নিঃসন্দেহে নষ্ট হয়।

আসলে ব্যস্ত এই জীবনধারায় আজকাল আমরা নিজেদের জন্যই আর সময় পাই না। অতিরিক্ত পরিশ্রম, কাজের চাপ, মানসিক চাপ, টেনশন এবং প্রয়োজনের থেকে কম বিশ্রামের জন্য সারাদিনই ক্লান্ত বোধ করি অনেকেই। এইরকম অবস্থা টানা চলতে থাকলে ক্লান্তিভাব কাটিয়ে গা ঝাড়া দিয়ে ওঠাও বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। পাশাপাশি কাজে মনসংযোগেও ঘাটতি পড়ে। প্রকৃত পক্ষে, সবসময় যে শারীরিক কারণেই ক্লান্তি লাগবে, এমনটা তো নয়। অত্যাধিক মানসিক চাপের ফলেও আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়তে পারি। কাজের মাঝেই নিজেকে ভাল রাখার কিছু টিপস আছে, যেগুলো মেনে চললে ক্লান্তিকেও আপনি টেক্কা দিতে পারবেন।

Drowsiness

১. টেনে ঘুম দিন– আমাদের দৈনন্দিন জীবনে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য ঘুম অত্যন্ত জরুরী। ঘুমের সময়ের থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ কতটা ভাল করে ঘুম হচ্ছে। প্রতিদিন নিয়ম করে ৭-৯ ঘণ্টা একটানা ঘুমালে শরীরে যাবতীয় ক্লান্তির সমস্যা দূর হয়। সকালে উঠেও মেজাজ থাকে একদম ফুরফুরে। রাতে ভালো ভাবে ঘুমের জন্য শুতে যাওয়ার প্রায় আধ ঘন্টা আগে মোবাইল, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, টিভি-র স্ক্রিনের থেকে দূরে থাকা উচিত। ঘুম যাতে ভাল হয়, সেই সব দিকে ফোকাস বাড়ান। দেখবেন, এতে করে কাজেও আপনার ফোকাস বাড়বে। ভুল করেও রাত জেগে কাজ করে ঘুমের দফারফা করবেন না। জল, হাওয়া, খাবারের মতো ঘুমটাও জরুরি চাহিদা, একে অবজ্ঞা করলে আখেরে আপনার ক্ষতিই।

Drowsiness

২. ভাল খান – ভাল খাওয়া মানে দামি রেস্টুরেন্টে ঢুকে মন্ডা-মিঠাই-মাংস নয়। সুষম পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য সঠিক ডায়েট খুব দরকার। অনেকেই সকালে অফিস যাওয়ার তাড়নায় কোনও ক্রমে যা হোক খাবার মুখে গুঁজে চলে যান, তারপর সারাদিনই বাইরের খাবারের ওপর নির্ভর করে দিন কেটে যায়। এমনটা কিন্তু মোটেও ঠিক নয়। ভাল থাকতে পেট ভরে ব্রেকফাস্ট মাস্ট। সঙ্গে বাড়িতে তৈরি ভাত, রুটি, ডালেই বেশি নজর দিন। তেলেভাজা ডালপুরি, চিপস আর মোগলাই রোজ রোজ একদম নয়।

Food

৩. শরীরচর্চা করুন – শারীরিক ক্লান্তি কমানোর জন্য প্রতিদিন ১০ থেকে ২০ মিনিট শরীর চর্চার অভ্যাস করুন। নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাস আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে, স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। সঙ্গে শরীরের অতিরিক্ত ক্লান্তিও দূর করে।

Exercise

৪. অতিরিক্ত চা-কফি একদম নয়– অনেকেই সারাদিনের ক্লান্তি কাটানোর জন্য বারবার চা, কফি খাওয়ার অভ্যাস করে ফেলেন। আসলে চা কফির মধ্যে থাকা ক্যাফিন কিছুক্ষনের জন্য আমাদের শরীরের ক্লান্তি দূর করলেও এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী নয়। বরং এতে ঘুমের ওপর প্রভাব পড়ে। তাই অতিরিক্ত ক্লান্তির সমস্যা থেকে বাঁচতে দিনে বারবার চা কফি খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন।

৫. ঘুরতে যান -একঘেয়েমি আর অত্যাধিক মানসিক চাপের জন্য জীবন সম্পর্কে ক্লান্তি বোধ বাড়তে পারে। মাঝেমাঝে এই একঘেয়েমি কাটানোর জন্য একটু ব্রেক প্রয়োজন। নিজের জন্য সময় বের করে একা বা প্রিয়জনের সঙ্গে মাঝে মাঝে ঘুরে আসার অভ্যাস করুন। ভাল থাকবেন।