ইন্টারনেট দেখে যোগা শিখে স্লিম হচ্ছেন? লাভের বদলে ক্ষতিও হতে পারে নানারকম

গুড হেল্থ ডেস্ক: ‘Hey google, tell me…’ –এখন প্রতি পদক্ষেপে আমাদের বন্ধু ইন্টারনেট। চা বানানো থেকে গার্ডেনিং, বই পড়া থেকে কেনা-বেচা, এমনকি ডাক্তারি থেকে ড্রাইভিং– যে কোনও জিজ্ঞাস্যতে আমরা এখন ওয়ান ট্যাপে উত্তর খুঁজি। যে কোনও বিষয়ে এক্সপার্ট ওপিনিয়ন আমাদের কাছে দ্বিতীয় বিকল্প। তার আগে  প্রথম স্থান আলো করে আছে মুঠো ফোনের গুগল সার্চ।

উৎসবের মরসুমে সকলেই চান স্লিম-ট্রিম হয়ে উঠতে। আর সেই খোঁজেই ইন্টারনেট ব্যবহার করে ওয়ান ট্যাপে হাজার একটা পরামর্শকে পথিকৃৎ করে যাত্রা শুরু করেন। কিন্তু জানেন কি, এভাবে লাভের থেকে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি!

বই পড়ে বা ইন্টারনেট দেখে কি চিকিৎসক হওয়া যায়?‌ উত্তরটা এক কথায় ‘না’। যোগাশিক্ষাও কিন্তু ডাক্তারির থেকে কম কিছু নয়। অ্যানাটমি, ফিজিওলজি ডায়াটিক্স প্রভৃতি বিষয়ে সমজ্ঞান, ব্যবহারিক ও তত্ত্বগত শিক্ষা না থাকলে ঠিকমতো শেখা সম্ভব নয়। এখন অনেক মানুষই ইউটিউব দেখে যোগব্যায়াম করেন। তবে ব্যক্তিবিশেষের শারীরিক গঠন, সমস্যা বা শারীরিক সক্রিয়তা ভিন্ন হয়। তাই একজনের জন্য যে যোগব্যায়াম প্রযোজ্য, অপরের জন্য তা নাও হতে পারে।

কিন্তু বই বা ইন্টারনেটে সবসময় এই বিষয়গুলোর উল্লেখ থাকে না। কাজেই চিকিৎসক যেমন অসুখের ধরন বুঝে তবেই ওষুধ দেন, তেমনই সঠিক যোগা শিক্ষক প্রয়োজন বুঝে সঠিক ব্যায়াম শেখান, যা ইন্টারনেট দেখে সম্ভব নয়।

মেদ কমাতে অনেকেই হয়তো ২-৪টে ব্যায়াম নেট থেকে শিখে নিলেন, স্লিম হতেও শুরু করলেন। কিন্তু হঠাৎ পেশি টান শুরু হল, অথবা যোগা করতে গিয়ে শরীরের কোনও সন্ধিস্থলে ব্যথা হতে শুরু করল। আবার এমনটাও হতে পারে, আগে যে শারীরিক সমস্যা আপনার ছিল না, তেমন কোনও সমস্যা বাড়তে লাগল। শুধু তাই নয়, যে কাঙ্ক্ষিত ফলের জন্য যোগা বা ব্যায়াম করা, হতে পারে ভুল প্রয়োগে তা সম্পূর্ণ বিপরীত ফল দিতে শুরু করল। তাই যোগা করতে হলে কোনও বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিয়ে করাই ভাল।

পড়ুন দ্য ওয়ালের সাহিত্য পত্রিকা ‘সুখপাঠ’