
মেদ ঝরাতে প্লাঙ্কের চেয়ে ভাল ব্যায়াম আর নেই। ফিটনেস বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নানা ধরনের প্ল্যাঙ্ক করা যায়, তার মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর হচ্ছে সাইড প্ল্যাঙ্ক ( Side Plank)। দিনভর কাজের চাপ, খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম, ভুল ডায়েট, শরীরচর্চার সময় কমে যাওয়ার কারণে মেদও জমছে পরতে পরতে। ফিটনেস উধাও হচ্ছে দিনে দিনে। অথচ রোজ কিছুটা সময় দিলেই একদিকে যেমন মেদ কমবে, তেমনি অন্যদিকে পেশির শক্তিও বাড়বে। চেহারা হবে একদম নির্মেদ, টানটান।
কীভাবে করবেন সাইড প্ল্যাঙ্ক ( Side Plank)?
প্রথম দিকে হাতের মুঠো আর কনুই মাটিতে রেখে প্ল্যাঙ্ক করুন। অভ্যাস হয়ে গেলে স্রেফ হাত আর পায়ের পাতাটা মাটিতে রেখে বাকি শরীরটা তুলে ফেলুন মাটি থেকে। সাইড প্ল্যাঙ্ক করার সময় এক হাত আর এক পা মাটিতে রাখবেন। অন্য হাত তুলে দিন উপরে, একটি পায়ের উপর অন্যটি থাকবে।
একদিন করলেই যে এই ব্যায়াম পারফেক্ট হবে তা নয়। সময় লাগবে। প্রশিক্ষিত ট্রেনারের থেকে সাইড প্ল্যাঙ্কের পজিশন ভাল করে জেনে নেবেন। মিনিটখানেক প্ল্যাঙ্ক ধরে রাখার পর পা ও হাত বদলাতে হবে।
পেশির শক্তি যত বাড়বে প্ল্যাঙ্ক তত ভালভাবে করতে পারবেন। যদি দেখেন, প্রতিবারে এক মিনিটের জন্য প্ল্যাঙ্ক ( Side Plank) ধরে রাখতে পারছেন, তাহলে বুঝবেন আপনি প্রথম ধাপ পেরিয়ে গিয়েছেন। শক্তি বাড়লে আরও বেশিক্ষণ এই পজিশন ধরে রাখা সম্ভব।
পেট ও কোমরের কোর মাসলকে শক্তিশালী করে তুলতে প্ল্যাঙ্কের তুলনা নেই। আর সাইড প্ল্যাঙ্কের উপকারিতা অনেক। পেশি টানটান হয়, মেদ জমে থাকতে পারে না। টোনড শরীর পেতে এই ধরনের প্ল্যাঙ্কের খুবই কার্যকর।
প্রথম কয়েক দিন ১০ সেকেন্ড করে প্ল্যাঙ্ক ধরে থাকুন। শরীরে সয়ে এলে তা বাড়িয়ে ২০ সেকেন্ড করুন। ধীরে ধীরে এ ভাবে সময় বাড়ান। এক মিনিট টানা এমন প্ল্যাঙ্ক ধরে রাখতে পারলে বুঝবেন, শরীর প্ল্যাঙ্কের জন্য যেমন তৈরি হয়েছে, তেমনই মেদও কমছে ধীরে ধীরে। ওজন নিলেই দিনকয়েকের তফাত বুঝবেন।
সাইড প্ল্যাঙ্ক করার কিছু নিয়ম আছে। খেয়াল রাখবেন প্ল্যাঙ্কের সময় শরীর যেন ভূমিতলের সঙ্গে সমান্তরাল ভাবে থাকে। ভুলবশত কোমর উঁচু হয়ে থাকলে সেখানে বাড়তি চাপ পড়বে। তাই কোনও ফিটনেস ট্রেনারের থেকে ভাল করে বুঝে নিয়ে তবেই করুন।