
বেরিয়াট্রিক সার্জারি কীভাবে করা হয়? মেদ ঝরিয়ে ‘স্লিম অ্যান্ড ফিট’ থাকতে চাইলে কোন কোন পদ্ধতি কার্যকরী
চৈতালী চক্রবর্তী
ওবেসিটি বা অতিস্থূলতা এখনকার প্রজন্মের মাথাব্যথার কারণ। অনিয়মিত ডায়েট, শরীরচর্চায় আলস্য, হুড়হুড়িয়ে ওজন বাড়াচ্ছে। রক্তে লাগামছাড়া ট্রাইগ্লিসারাইড। সেই সঙ্গেই মাথাচাড়া দিচ্ছে নানানটা অসুখবিসুখ। মেদ ঝরিয়ে সুস্থ ও চনমনে থাকাটাই দস্তুর। বিশ্বজুড়েই সেই প্রয়াস চলছে। আর সেই থেকেই উঠে এসেছে বেরিয়াট্রিক সার্জারি নামটা। রূপোলি জগতের তারকারা কমবেশি বেরিয়াট্রিক সার্জারি করাচ্ছেন এমন খবর কানে আসে প্রায়ই। সার্জারি মানেই হল অস্ত্রোপচার, আর অস্ত্রোপচার করে কীভাবে সহজে ওজন কমানো যায় সে নিয়ে সকলেরই কৌতুহল রয়েছে। বেরিয়াট্রিক সার্জারি আদতে কী? কীভাবে ওজন কমায়? কতটা সুরক্ষিত? এইসব নিয়েই সহজ করে ব্যাখ্যা করেছেন অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হসপিটালের কনসালট্যান্ট বেরিয়াট্রিক, ল্যাপারোস্কোপিক, রোবোটিক, জেনারেল সার্জন ডক্টর দেবাশিস রায়।
বেরিয়াট্রিক সার্জারি কী?
ডায়েট ও শরীরচর্চা করেও যখন ওজন কমানো যায় না, তখন অনেকেই বেরিয়াট্রিক সার্জারি করে অতিরিক্ত ফ্যাট কমিয়ে ফেলেন। বেরিয়াট্রিক সার্জারি হল এমন এক পদ্ধতি যেখানে পাকস্থলীর কিছু অংশ কেটে তার খাদ্য ধারণ ক্ষমতাকে কমিয়ে ফেলা হয়। সহজ করে বললেন, আমরা যে খাবার খাই তা স্টমাক বা পাকস্থলীতে গিয়ে জমা হয়। এখন কতটা খাবার আমরা খাচ্ছি এবং তার থেকে কতটা শক্তি বা এনার্জি তৈরি হচ্ছে তার একটা নির্দিষ্ট অনুপাত থাকে। যদি এর হেরফের হয়, ক্যালোরির মাত্রা বেড়ে যায় তখন সেটা মেদ তৈরি করে। আর পাকস্থলীর ধারণ ক্ষমতা অনেকটাই বেশি, যত বেশি ক্যালোরি ঢুকবে পাকস্থলী একেবারে বড় হয়ে উঠবে। মেদ বাড়বে, তার থেকে নানা রোগ হবে। এই যে অতিরিক্ত ক্যালোরি শরীরে ঢুকছে এবং শরীরও তা শুষে নিচ্ছে, সেই প্রক্রিয়াটা বন্ধ করার জন্যই একরকম অস্ত্রোপচার করা হয়। পাকস্থলীর আকার প্রায় ২০ শতাংশ ছেঁটে ফেলে তার ধারণ ক্ষমতাকে কমিয়ে ফেলা হয়। একেই বলে বেরিয়াট্রিক সার্জারি।
বিএমআই মেপেছেন? মরবিড ওবেসিটি ধরে গেলে বিপদ
খুব মোটা চেহারা বা মরবিড ওবেসিটি থাকলে বেরিয়াট্রিক সার্জারি করা হয়। অনেক সময় দেখা যায় ডায়েট বা শরীরচর্চাতেও স্থূলত্ব কমছে না। আর নানা রোগ ধরে যাচ্ছে বাড়তি ওজনের কারণে। অল্প হাঁটলেই হাঁফ ধরে যাচ্ছে। তখন বিএমআই মেপে নেওয়া জরুরি। আপনি কতটা মোটা তার হিসেব পেতে গেলে আগে বিআমআই মেপে নিতে হবে।
বিএমআই অর্থাৎ বডি মাস ইনডেক্স। এই বিএমআই মাপা হয় কিলোগ্রামে ওজনকে উচ্চতার (মিটারে) স্কোয়ার দিয়ে ভাগ করে। এর মান ২৫ পর্যন্ত হওয়া মানে স্বাভাবিক। ২৫ থেকে ২৯ বেশি ওজন, ৩০ বা তার বেশি মানে ওবিস এবং বিএমআই ৩৫ এর থেকে বেশি মানে মরবিড ওবিস। ৪০ ছাড়িয়ে গেলে বিপজ্জনক। তখন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কী কারণে ফ্যাট বাড়ছে সেটা দেখতে হবে। মরবিড ওবেসিটির অনেক রোগীই বেরিয়াট্রিক সার্জারি করিয়ে সুফল পেয়েছেন।
শুধু স্থূলত্ব নয়, বেরিয়াট্রিক সার্জারিতে জব্দ হাইপারটেনশন-ডায়াবেটিস-কোলেস্টেরল
বেরিয়াট্রিক সার্জারিকে এখন মেটাবলিক সার্জারি বলা হয়। এর কারণ হল স্থূলত্ব শুধু নয়, মেটাবলিক সিনড্রোম বশে আনতেও এই অস্ত্রোপচারের সাহায্য নিচ্ছেন ডাক্তাররা। কীভাবে সেটা বলি। স্থূলত্ব একা আসে না। সঙ্গে করে আরও নানা রোগ নিয়ে আসে। গবেষণা বলছে, ৪৪ শতাংশ ডায়াবেটিস, ২৩ শতাংশ ইস্কিমিক হার্ট ডিজিজ, ৭ থেকে ১৪ শতাংশ ক্যানসারের কারণ হল অতিরিক্ত ওজন। ওবেসিটির কারণে হাইপারটেনশন, আচমকা হার্ট অ্যাটাক-স্ট্রোক, সাডেন কার্ডিয়াক ডেথ, অস্টিও আর্থ্রাইটিস সহ নানা অসুখে ভুগতে হয়। তাই স্থূলত্ব যদি কমিয়ে ফেলা যায় তাহলে আনুষঙ্গিক অন্যান্য রোগও কমতে শুরু করে।
বিশেষ করে দেখা গেছে, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড বেড়ে যাওয়া, ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়া সব মিলিয়ে যে রোগের জন্ম দিচ্ছে তাই হল মেটাবলিক সিনড্রোম। আর রোগের ফল গিয়ে পড়ছে হার্টের ওপরে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমছে, দ্রুত ক্ষয় হচ্ছে হার্টের। ঝুঁকি বাড়ছে হৃদরোগের। স্থূলত্ব কমালে এই রিস্ক ফ্যাক্টরগুলোও কমবে। আবার দেখা গেছে, টাইপ-২ ডায়াবেটিস আছে যাঁদের, স্লিপ অ্যাপনিয়ায় ভুগছেন এমন রোগী, নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার কমাতেও বেরিয়াট্রিক সার্জারি করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য একটাই, পাকস্থলীতে অতিরিক্ত ক্যালোরি ঢোকানোর রাস্তাটা বন্ধ করে দেওয়া। মেদ না ঝরালে কার্ডিওভাস্কুলার রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে।
বেরিয়াট্রিকে রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ প্রায় ৬০% কমে যায়, হাইপারটেনশন কমে ৬০%, ডায়াবেটিস কমে প্রায় ৮০%।
কী কী ভাবে করা হয় বেরিয়াট্রিক সার্জারি?
বেরিয়াট্রিক সার্জারি মূলত দু’ভাবে করা হয়— গ্যাসট্রিক রেসট্রিকটিভ সার্জারি এবং ম্যালঅ্যাবসর্পটিভ বেরিয়াট্রিক সার্জারি।
গ্যাসট্রিক রেসট্রিকটিভ সার্জারি (Gastric Restrictive Surgery)—রেসট্রিকটিভ মানে হল রেসট্রিকশন, অর্থাৎ নিয়ন্ত্রণে রাখা। অর্থাৎ পাকস্থলীর আকার কমিয়ে দিয়ে তার খাবার ধারণ ক্ষমতাকে একটা সীমার মধ্যে নিয়ে চলে আসা। এটা দুভাবে হতে পারে—পাকস্থলীকে দুটো ভাগে ভাগ করে দেওয়া হয়, যার মধ্যে একটা ভাগ হয় অতি ক্ষুদ্র, ২.৫ আউন্স মতো ওজন নিতে পারবে।
দ্বিতীয় পদ্ধতিতে পাকস্থলীর ৮০ শতাংশ মতো বাদ দিয়ে দেওয়া হয়, ফলে আকার কমে যায়, ধারণ ক্ষমতাও কমে যায়। তখন বেশি খাওয়া যায় না। সার্জারির আগে পাকস্থলীর যা ধারণ ক্ষমতা থাকে পরে সেটা এক চতুর্থাংশে এসে ঠেকে। তখন একটু খেলেই পেট ভর্তি হয়ে যায়, বেশি খাওয়া যায় না।
রেসট্রিকটিভ সার্জারি দু’ভাবে করা হয়—
স্টমাক ব্যান্ডিং—একে বলে ‘ল্যাপারোস্কোপিক অ্যাডজাস্টেবল গ্যাসট্রিক ব্যান্ডিং’। পাকস্থলীকে একটা ব্যান্ড দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়। অনেকটা বেল্টের মতো। এই ব্যান্ডটা এমনভাবে পরানো হয় যাতে পাকস্থলীর একটা অংশ থাকে খুব ছোট, যেটা ব্যান্ডের ওপরে থাকে, আর বাদবাকি অংশটা ব্যান্ডের নীচে ঝোলে। পাকস্থলীকে দেখতে হয় অনেকটা ‘আওয়ার গ্লাস’-এর মতো। দুটো ভাগের মধ্যে সরু চ্যানেল করা থাকে। ব্যান্ডের ওপরে থাকা অংশটা এতটাই ছোট হয় যে তাতে সামান্য খাবার ধরে। এই খাবার চ্যানেলের মধ্যে দিয়ে নীচের অংশটাতে আসে। তারপর বিপাকের বাকি প্রক্রিয়া চলতে থাকে। এর উদ্দেশ্য হল, কম খাবার পাকস্থলীতে ঢোকানো।
ল্যাপারোস্কোপিক স্লিভ গ্যাসট্রেকটমি—এই সার্জারিতে সরাসরি পাকস্থলীর একটা বড় অংশ কেটে ফেলা হয়। পাকস্থলী অনেকটা থলির মতো দেখতে, এর বড় অংশ যদি কেটে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়, তখন বাকিটা একফালি পাইপের মতো দেখায়। এই সরু অংশে স্বাভাবিকভাবে কম খাবার ঢোকে। এই ধরনের সার্জারি করলে খাওয়ার পরিমাণ অর্ধেকের বেশি কমে যায়।
ম্যালঅ্যাবসর্পটিভ বেরিয়াট্রিক সার্জারি (Malabsorptive Bariatric Surgery): এই পদ্ধতিকে বলে গ্যাসট্রিক বাইপাস সার্জারি। শরীরে অপুষ্টি ঘটিয়ে ওজন কমানো হয়। সহজ করে বললে, আমাদের পাকস্থলীতে খাবার জমা হয় ও পাচন শুরু হয়। অর্ধেকটা পাচিত খাবার ক্ষুদ্রান্তে গিয়ে পৌঁছয়। সেখানে খাবারের পরিপাক ও শোষণ দুই হয়। ক্ষুদ্রান্তের ভেতরে আন্ত্রিক গ্রন্থি থেকে যে রস বের হয় তার মধ্যে এনজাইম বা উৎসেচক থাকে। এগুলি খাবারের মধ্যে থাকা কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন, খনিজ লবণ ইত্যাদিকে ভেঙে ফেলে। এই ভগ্ন উপাদানগুলো তখন অন্ত্রে শোষিত হয়ে যায়, যা থেকে শরীর পুষ্টি পায়। বেরিয়াট্রিক সার্জারির কাজ হয়, এই গোটা প্রক্রিয়াকে কমিয়ে দেওয়া। মানে হল খাবার বিপাক হবে ঠিকই, কিন্তু ওই প্রোটিন, ভিটামিন, ফ্যাট ইত্যাদি উপাদানগুলোর শোষণ বা অ্যাবসর্পশন কম হয়ে যাবে। এইভাবে পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি হবে শরীরে, ওজন কমবে ধীরে ধীরে।
বেরিয়াট্রিকের সবচেয়ে কার্যকরী পদ্ধতি হল আরওয়াইজিবি (RYGB) গ্যাসট্রিক স্লিভ রিসেকশন।
এটা কী? এক, পাকস্থলীর আকার কমিয়ে ২০% করে দেওয়া হয়, দুই, ক্ষুদ্রান্ত বা স্মল ইন্টেসটাইনকে বাইপাস করে দেওয়া হয়। এই বাইপাস করে দেওয়া ব্যাপারটা কী? ধরা যাক জলের পাইপ দিয়ে জল যাচ্ছে। এখন মেন পাইপটার সঙ্গে যদি আরও একটা নতুন ছোট পাইপ জুড়ে দেওয়া হয়, তাহলে দুটো চ্যানেল তৈরি হয়। একটা মেন চ্যানেল যেখান দিয়ে জল যাচ্ছিল, অন্যটা বাইপাস চ্যানেল। এবার যদি মেন চ্যানেলটা বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে জল বাইপাস চ্যানেল দিয়েই যাবে। এই সার্জারিটাও তেমনই। পাকস্থলীকে ছোট করে তার সঙ্গে ক্ষুদ্রান্তের একটা ছোট অংশ বাইপাস করে জুড়ে দেওয়া হয়। এর কাজ হয় দুটো—এক, কম খাবার পাকস্থলীতে ঢোকে, দুই—ক্ষুদ্রান্তের ছোট পাইপে কম পুষ্টি উপাদানের শোষণ হয়। এই ধরনের সার্জারিতে খুব দ্রুত ওজন কমতে থাকে।
অপুষ্টিতে ওজন কমছে? শরীর খারাপ হবে তো?
অনেকেই ভয় পান, অপুষ্টির কারণে শরীরে নানারকম রোগ দেখা দিতে পারে। কিন্তু তার জন্য ডাক্তারের ডায়েট চার্ট মানতে হয়। সার্জারি করার পরে সকলের শরীরে সমান প্রভাব পড়ে না। কারও প্রোটিন, কারও ক্যালসিয়াম বা কারও ভিটামিনের ঘাটতি হতে পারে। যেটা শরীরের ওপর নির্ভর করে। যার শরীরে যে উপাদানের ঘাটতি হচ্ছে সেই মতো তাকে সাপ্লিমেন্ট ও ডায়েট চার্ট বানিয়ে দেওয়া হয়। সেটা মেনে চললেই লাভ হয়।
অপারেশনের পরে অনেক নিয়ম মানতে হয়
অনেকেই প্রশ্ন করেন, বেরিয়াট্রিক সার্জারি করিয়ে পাকস্থলী তো ছোট হয়ে গেল, তাহলে যদি রোজ জাঙ্ক ফুড, বিরিয়ানি ইত্যাদি খাওয়া হয় তাহলে কি ওজন বাড়বে? ওজন বাড়তে পারে শুধু নয়, শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। বেশিরভাগ মানুষের ধারনা বেরিয়াট্রিক সার্জারি করালেই রাতারাতি রোগা হয়ে যায়। কিন্তু তা নয়। এই অপারেশনের পরে অনেক নিয়ম মেনে চলার সঙ্গে সঙ্গে পুষ্টিকর খাবার খেতে হয়। অনেকে খাওয়ার ব্যাপারে গুরুত্ব দেন না। এ ক্ষেত্রে অপুষ্টি জনিত মারাত্মক রোগের শিকার হতে হয়। সিভিয়ার ম্যালনিউট্রিশন হতে পারে। আবার অতিরিক্ত খেয়ে ফেললে বমি হতে পারে। পাকস্থলী কিন্তু ইলাস্টিকের মতো, বেশি খাবার ঢোকালে সেটা ফুলে উঠবে। এদিকে ধারণ ক্ষমতা নিয়ন্ত্রিত করে দেওয়ার জন্য বিপাক, শোষণ দুই কম হবে। যার ফলে বাড়তি খাবার জোর করে ঢোকালে তা শরীরের ক্ষতি করবে। তাই সার্জারির পর নিয়মিত ফলো আপ এবং সঠিক ডায়েট প্রোটোকল অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতে হবে।
লাইপোসাকশনের থেকে বেরিয়াট্রিক সার্জারি কী বেশি কার্যকরী?
লাইপোসাকশন ও বেরিয়াট্রিকের মধ্যে পার্থক্য আছে। লাইপোসাকশন শরীরের নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় করা হয়। আসলে প্লাস্টিক সার্জারি। বগলের ঠিক নীচের জায়গা, থাই, তলপেট, নিতম্ব ইত্যাদি জায়গায় অতিরিক্ত মেদ জমলে যেখানে সার্জারি না করে সাকশন করে ফ্যাট বের করে দেওয়া হয়। লাইপোসাকশনে ওজন সেভাবে কমে না, দেহের আকার-আকৃতিকে আরও সুন্দর করে তোলার জন্য নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় মেদের স্তরকে ভেঙে ফেলা হয়। রুপোলি জগতের অনেক তারকাই এই ধরনের প্লাস্টিক সার্জারি করান। কিন্তু বেরিয়াট্রিকে সারা শরীরের ওজন কমানো হয়। গ্যাসট্রিক বাইপাসে প্রায় ৪৬ শতাংশ ওজন কমে, আরওয়াইজিবি সার্জারিতে আরও বেশি প্রায় ৬০ শতাংশ।
বেরিয়াট্রিক সার্জারির একটা সুবিধা হল, স্থূলত্ব কমার কারণে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে। তাছাড়া ওভারি ক্যানসার, ব্রেস্ট ক্যানসার, লিভার ক্যানসারের ঝুঁকি অনেক কমে যায়। তবে সার্জারির পরে লাইফস্টাইল ম্যানেজমেন্ট বিশেষ করে দরকার। সঠিক সময় খাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুম আর ডাক্তারের পরামর্শ মেনে শরীরচর্চা, এইসব নিয়ম মেনে চললে তবেই ওজন ঠিকমতো কমবে এবং শরীরও ফ্যাটি থেকে একদম ফিট হয়ে যাবে।