
শরীর ঠিক রাখার জন্য ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ (Fitness) বা ওয়ার্কআউট করার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আমরা সবাই প্রায় কমবেশি জানি। নিয়মিত শরীরচর্চা একটি অত্যন্ত ভালো অভ্যাস। শরীরচর্চা করলে শরীর থাকে তরতাজা, তার সাথে মানসিক স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। দুশ্চিন্তা বা স্ট্রেস কমাতেও ব্যায়াম বা অল্প একটু আধটু এক্সারসাইজ (Exercise) ম্যাজিকের মতো কাজ করে। সারাদিনের কাজকর্মের ধকল সামলানোর জন্য প্রয়োজনীয় শক্তিরও জোগানও দিতে পারে নিয়মিত শরীরচর্চা। কিন্তু শুধু শরীরচর্চা করলেই হয় না, তার সঠিক পদ্ধতিগত দিক সম্মন্ধেও অবগত হওয়া প্রয়োজন।
শরীরচর্চার কিন্তু অনেক প্রকারভেদ, যেমন- কার্ডিও, পিলেটস, ওয়েট ট্রেনিং, যোগ ব্যয়াম, জুমবা আরও কত কী! তবে সবার জন্য সব কিছু নয়। নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক শরীরচর্চার পদ্ধতিটি বেছে নেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমাদের প্রত্যেকের শারীরিক গঠন আলাদা, এমনকি প্রত্যেকের ফিটনেস গোলও ভিন্ন রকমের। কেউ বাড়তি মেদ ঝরানোর জন্য জিমে ভর্তি হন, আবার কেউ শুধুমাত্র ফিট থাকার জন্য ব্যায়াম বা জিমে যোগ দেন। অনেকের আবার শুধুই দৃষ্টি থাকে নায়কোচিত বডি বানানোর দিকে। তাই নিজের চাহিদা অনুযায়ী সঠিক শরীরচর্চার পদ্ধতি ও ওয়ার্কআউট রুটিন বেছে নিতে হয়।
কোন ধরনের ওয়ার্কআউট (Fitness) করবেন, তা বেছে নেওয়ার আগে কিছু জিনিস ভাল ভাবে বুঝে নেওয়া খুব দরকার।
প্রথমত বুঝতে হবে, আপনার ওয়ার্কআউটের কারণ কী? দ্বিতীয়ত, আপনি যে ধরনের ওয়ার্কআউট করবেন তার প্রভাবগুলি সম্পর্কেও বিস্তারিত জানা উচিত। নিজের শরীর স্বাস্থ্য, অসুখ-বিসুখের ব্যাপারে ভালভাবে জেনেই শরীরচর্চা করা উচিত। নইলে হিতে বিপরীতও হতে পারে। আপনার বন্ধুর জন্য যে ব্যায়াম বা ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ, তা আপনার জন্য নাও হতে পারে। খামোখা চলতি ট্রেন্ডে গা ভাসাবেন না, তার আগে জানুন, কোন ব্যায়াম কিসের জন্য। এখানে ভীষন প্রচলিত ৪টি ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। কাদের জন্য কোনটা উপযোগী, আর কাদের জন্য নয়, সে বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা তৈরি হবে (Fitness)।
কার্ডিও – রোগা হওয়া বা বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ফেলতে সবথেকে কার্যকর ওয়ার্কআউট মেথড হলো কার্ডিও। হাঁটা, দৌড়নো বা গানের তালে ঘাম ঝড়িয়ে নাচা – এইগুলো সবই খুব ভালো কার্ডিও এক্সারসাইজ। তাই রোগা হওয়াই যদি আপনার ওয়ার্কআউটের উদ্দেশ্য হয়, তাহলে কার্ডিও বেছে নিতে পারেন। যারা অতিরিক্ত রোগা, তাদের কার্ডিও করলে সমস্যা হতে পারে। তাই করার আগে অবশ্যই একজন ফিটনেস ট্রেনারের পরামর্শ নিয়ে নেবেন।
পিলেটস – আমাদের কোরবডির জন্য সেরা ওয়ার্কআউট হল পিলেটস। পিলেটস পেট, তলপেট ও কোমর সংলগ্ন পেশিগুলোকে নমনীয় ও আরও বেশি কার্যকর করে তোলে। তাই নিজের কোর এরিয়াকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে পিলেটস ওয়ার্কআউট মেথডকে বেছে নিতে পারেন।
ওয়েট ট্রেনিং – আপনি যদি নিজের শরীরকে আরও শক্তিশালী ও কার্যক্ষম করে তুলতে চান, তাহলে ওয়েট ট্রেনিং ওয়ার্কআউট আপনার জন্য সঠিক। ওয়েট ট্রেনিং-এর ফলে আমাদের পেশি ও হাড় দু’টোই শক্তিশালী হয়।
যোগব্যায়াম – মনকে শান্ত ও শরীরকে ভেতর থেকে সুস্থ রাখার জন্য যোগব্যায়াম হল সবথেকে ভাল ও কার্যকর ওয়ার্কআউট। তাই বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার সমাধানে যোগব্যায়ামকে বেছে নিতে পারেন। যোগব্যায়াম মূলত সবার জন্যই কম বেশি ভাল। তবে যোগব্যায়ামেরও নানা ধরন আছে। আপনার জন্য কোনটা প্রযোজ্য বা কোনটা নয়, তা অবশ্যই কোনও একজন বিশেষজ্ঞের থেকে যাচাই করে নিতে ভুলবেন না।