
আমাদের পৃথিবীর মোট জনসখ্যার প্রায় ৩০% মানুষ স্থূলত্বের সমস্যায় ভোগেন। আমাদের মধ্যেও এমন অনেকজন আছেন যারা বাড়তি মেদ ঝরিয়ে (Weight Loss) স্লিম ট্রিম হতে চান। কিন্তু ওজন কমানোর অনেকরকম চেষ্টা করেও কিছুতেই ওজন কমাতে পারেন না , বরং উল্টে ওজন বেড়েই যায়।
অনেকেরই ধারণা থাকে কম খেলেই বুঝি ওজন কমানো সম্ভব, তবে এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। সত্যি বলতে এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তিই নেই। তাই খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া বা কম খাওয়ার মতো ভুল করবেন না।
ওজন কমানোর (Weight Loss) জন্য সবথেকে বেশী গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হল আমাদের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা ও ক্যালোরি ইনটেক কমানো। ঠিক এই কারণে কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। চলুন জেনেনি ডায়েটে ঠিক কী কী রাখলে চটজলদি ওজন কমবে।
১. ওটস: ওটস ওজন কমানোর ক্ষেত্রে (Weight Loss) খুবই উপকারী। আগে এ দেশে ওটসের তেমন জনপ্রিয়তা ছিল না। তবে স্বাস্থ্যগুণ জানার পর বহু মানুষ ঝুঁকেছেন ওটসে। ওটস প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও খনিজ সমৃদ্ধ, যাতে পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয়। ওটস দেহের ক্যালোরি ইনটেক কমাতে সাহায্য করে, যার ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
২. শসা : শসা খনিজ, ভিটামিন এবং ইলেক্ট্রোলাইটে পূর্ণ। প্রতি ১০০ গ্রাম শসাতে মাত্র ১৬ ক্যালোরি শক্তি উপস্থিত থাকে। তাই শসা খেলে কোনও ভাবেই বেশি ক্যালোরি ইনটেক হওয়ার সুযোগ নেই। তা ছাড়া শসা আমাদের শরীরকে হাইড্রেট করে ও গরমে শরীরকে ভিতর থেকে ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে।
৩. টক দই : টক দই প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন সমৃদ্ধ। অথচ টকদই-এ ক্যালোরি অত্যন্ত কম থাকে। প্রতি ১০০ গ্রাম টক দই-এ মাত্র ৫৯ ক্যালোরি পাওয়া যায়। তাই ওজন কমানোর জন্য প্রতিদিন ডায়েটে টক দই অবশ্যই রাখা উচিত।
COPD: ‘স্মোকিং ডিজিজ’! ফুসফুসকে ছারখার করছে সিওপিডি
৪. গাজর : প্রতি ১০০ গ্রাম গাজরে থাকে মাত্র ৪১ ক্যালোরি। এছাড়াও গাজর প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন (যেমন ভিটামিন এ, ভিটামিন সি , ভিটামিন কে) ও খনিজ ( যেমন পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম) সমৃদ্ধ।
৫. আমন্ড : আমন্ড ওজন নিয়ন্ত্রণে ম্যাজিকের মতো কাজ করে। খিদে পেলে অল্প করে আমন্ড খেয়ে নিলে সহজেই খিদে নিয়ন্ত্রণ হয়। এছাড়াও আমন্ড প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে শরীরও সুস্থ হয়ে, ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে। প্রতি ৫০ গ্রাম আমন্ডে প্রায় ২৮০ ক্যালোরি থাকে। তাই ওজন কমানোর জন্য প্রতিদিন ডায়েটে ৫-৬ টি আমন্ড রাখা উচিৎ। এর বেশি নয়।
তবে ওজন কমানোর জন্য শুধু কম ক্যালোরি যুক্ত খাবার খেলেই হবে না। ফাস্টফুড ও অতিরিক্ত তেল-মশলাযুক্ত খাবার খাওয়াও বন্ধ করতে হবে। নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। মনে রাখতে হবে, সুস্থ অভ্যেসই সুস্থ শরীরের দিশা দেখায়।