হাইপারঅ্যাকটিভ ডিসঅর্ডারে কি বেশি ভোগে মহিলারা? কী এই রোগ

সবসময় অস্থিরতা। ভুলে যাওয়ার প্রবণতা। একটা কাজে বেশিক্ষণ মনোযোগ দেওয়ার সমস্যায় বেশি ভোগে মেয়েরাই। এমনটাই দাবি গবেষকদের। একটা সময় মনে করা হত, বাচ্চারাই বেশি ভোগে ‘অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাকটিভ ডিসঅর্ডার’ (এডিএইচডি)-এ (ADHD), এখন দেখা যাচ্ছে মহিলাদের মধ্যে এর প্রবণতা সবচেয়ে বেশি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এডিএইচডি ক্রনিক হতে থাকলে তখন তাকে রোগ বলা যেতে পারে, আসলে এটি হল মনের এক বিচিত্র অবস্থা। মূলত মনোসংযোগের অভাব, অস্থিরতা, ভুলে যাওয়ার প্রবণতা এই মানসিক অবস্থার লক্ষণ। অনাবশ্যক চিন্তা, টেনশন, মানসিক উদ্বেগও এর উপসর্গ হতে পারে।

ADHD

কী কী লক্ষণ দেখে বুঝবেন (ADHD)?

সব কাজে অস্থিরতার লক্ষণ ছ’মাসেরও বেশি দেখা গেলে মনোবিদের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কোনও কাজে মন বসাতেই পারবেন না, সবসময় অস্থির লাগবে, মন চঞ্চল হবে।

অনেকের দেখা যায় শুধু মনোযোগের অভাব, কারও আবার অস্থিরভাব ও মনোযোগের অভাব দুটোই থাকে। সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। কেউ কথা বললে সেটা ঠিকমতো শুনে বোঝার ক্ষমতা থাকবে না, কিছুক্ষণ আগে বলা কথাও ভুলে যাবেন।

আচমকা কোনও বড় অঘটন ঘটলে বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তার থেকেও মনে প্রভাব পড়বে। আপনজনের মৃত্যু, সংসারে অশান্তি, শারীরিক বা মানসিক নিগ্রহের ঘটনা ঘটলে তার থেকে এডিএইচডি হতে পারে।

মানসিক অবসাদ থেকে হতে পারে এডিএইচডি।

খুব বেশি স্ট্রেস হলেও এমন সমস্যা হতে পারে।

এডিএইচডি-র নির্দিষ্ট চিকিৎসা রয়েছে। ওষুধ-থেরাপি রয়েছে। এ ছাড়াও চারপাশের পরিবেশ সুস্থ রাখা জরুরি। মনের ওপর খুব বেশি চাপ দেওয়া যাবে না, অহেতুক চিন্তাভাবনা বন্ধ করতে হবে।  নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমনোর অভ্যাস খুব জরুরি। ঘুমনোর এক ঘণ্টা আগে টিভি, কম্পিউটার, মোবাইল-সহ বাড়ির বিভিন্ন বৈদ্যুতিন যন্ত্র বন্ধ করে দিন। স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখুন। প্রোটিন, কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট এবং বিভিন্ন খনিজের মাত্রায় যেন ঘাটতি না হয়।