শীতে জমজমাট পার্টি, পর পর বিয়েবাড়ি মানেই ওজন বাড়ার ভয়, কী করবেন

গুড হেলথ ডেস্ক

শীত শুরু মানে পার্টি সিজন শুরু। বারবিকিউ পার্টি, ক্রিসমাস, বর্ষপূর্তির উৎসবে খাওয়াদাওয়া তো হবেই। আর শীতের মরসুম মানেই পিঠে, কেক তৈরি শুরু। তাছাড়া এই সময়ে একের পর এক বিয়েবাড়ি লেগেই থাকবে। এতে মন ভাল থাকলেও শরীরের উপর চাপ পড়ে বটে (Winter Health Care)। টানা বাইরে খাওয়াদাওয়া করলে ওজন তো বাড়েই, সঙ্গে পেটও ভাল থাকে না। এ সময়ে তাই চলতে হবে একটু বুঝেশুনে।

প্রথমেই আপনাকে একটা ব্যাপার মেনে নিতে হবে। নিজেকে বোঝান যে, সারা বছরের প্রতিটি দিনই সুস্থ থাকতে হবে। বছরের কয়েকটা দিন নতুন গুড়ের পায়েস, কেক, এক-আধ পাত্তর ওয়াইন, রোস্টেড চিকেন খেলে বিরাট মহাভারত অশুদ্ধ হবে না। যদি গ্যাস-অম্বল-বুকজ্বালা-পেটভারের মতো সমস্যা হয় বা ব্রণ দেখা দেয়, তা হলে বুঝতে হবে যে খাওয়াদাওয়ায় রাশ টানার সময় হয়েছে। সেটা কীভাবে সম্ভব?

 Eat Healthy

১) বিয়েবাড়ি যাওয়ার আগের দিন থেকে হাল্কা খাওয়াদাওয়া করুন। তার মানে পেট খালি রাখবেন, এমন নয়। কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার খেয়ে পেট ভরানোর (Winter Health Care) চেষ্টা করতে হবে।

২) সহজে হজম হবে, এমন খাবার খাওয়া জরুরি। বিশেষ করে সকালে আর দুপুরে বেশি করে সব্জি, ফল খান।

৩)  এক বারে অনেকটা খাবার খাবেন না। বিয়েবাড়ির ভোজ হোক, বা এ সময়ে রোজের খাওয়াদাওয়া— কিছু ক্ষণ অন্তর অল্প করে খাবেন। অনেকটা কার্বোহাইড্রেট খাবেন না। প্রোটিন খান। মাছ, মাংস, পনির খান। কম মশলাদার খাবারগুলিই বেছে নিন।

৪) ঠিক যতটা বিরিয়ানি বা ফ্রায়েড রাইস পাতে তুললে মনে শান্তি পেতেন, তার চেয়ে একটু কম তুলুন। গোটা জলভরা সন্দেশ খাবেন না, অর্ধেকটা খান।

Foods

৫) দিনের শুরুতে এক কাপ উষ্ণ জলে অর্ধেকটা লেবুর রস মিশিয়ে খেয়ে দেখতে পারেন – তা আপনার পাচনতন্ত্রকে অ্যালকালাইজ় করে, ফলে যে কোনও খাবারই হজম করতে সুবিধে হয়।

৬)  এই মরসুমে জল খাওয়া বাড়িয়ে দিন। জল শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বার করে দিতে সাহায্য করে। পরপর কয়েক দিন পার্টিতে মদ্যপান কিংবা বাইরে গিয়ে মশলাদার খাবার খাওয়া হলেও শরীর সতেজ রাখতে বেশি করে জল খাওয়া জরুরি।

কঠিন নিয়ম মানতে হবে না

কয়েকটি সহজ নিয়ম মেনে চললে আপনি কিন্তু এই পার্টির মরশুমেও সুস্থ থাকতে পারবেন। হাঁটাচলার পরিমাণ বাড়ান। দিনের শুরুতে বা শেষে যখন হোক অন্তত আধ ঘণ্টা হাঁটা মাস্ট।

বাড়িতে যখন খাবেন, তখন একেবারে হালকা, পুষ্টিকর খাবার খান। স্যুপ-স্যালাডই যে খেতে হবে তার কোনও মানে নেই কিন্তু! ঝোল-ভাতেও সুস্থ থাকা যায়।

খাদ্যতালিকা থেকে কার্বোহাইড্রেট পুরোপুরি ছেঁটে ফেলাটা মোটেই কাজের কথা নয়। বিশেষ করে রাতেও অল্প কার্বোহাইড্রেট অবশ্যই খান, তা না হলে কিন্তু অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়বে।

একই সঙ্গে খাদ্য ও পানীয়, দুটোর মধ্যে দিয়েই যদি শরীরে প্রচুর ক্যালোরি প্রবেশ করে, তা হলে মুশকিলে পড়বেন। তাই শরবত, ককটেল, মকটেল থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন।