জ্বালাপোড়ার ক্ষত দাগ, পুড়ে কালচে হয়ে গেছে চামড়া, চিন্তা নেই সারবে এই উপায়ে

গুড হেলথ ডেস্ক

রান্না করতে গিয়ে, হঠাৎ গরম জলে পড়ে গিয়ে, ছ্যাঁকা লেগে পুড়ে যাওয়ার (Burn Scars) ঘটনা প্রায়ই ঘটে। অনেক পোড়া গভীর ক্ষতও তৈরি করে। শরীরে পোড়া দাগ কেউই পছন্দ করেন না। তারওপর রয়েছে পোড়ার জ্বালা। জেনে নিন জ্বালা কমানোর কিছু উপায়।

দুর্ঘটনায় আগুন লাগার ফলে শরীরে যে পোড়া ক্ষত (Burn Scars) সৃষ্টি হয়, তা শুকিয়ে যাওয়ার পরও চামড়ার মেলানিন নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে সেই অংশে সাদা অস্বাভাবিক দাগ হয়ে যায়। আবার অনেক সময় পুড়ে যাওয়া জায়গায় হাইপারপিগমেন্টেশন (Hyperpigmentation) বা কালচে হয়ে যাওয়ার সমস্যা হয়, যা সার্বিক শারীরিক সৌন্দর্য নষ্ট করে।

Burn: What Are the Four Types of Burns? Complications

ছোটখাটো পুড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে যে সব ক্ষত সৃষ্টি হয়, তা চিকিৎসা না করে ফেলে রাখলে অনেক ক্ষেত্রেই ৫-৬ মাসের মধ্যে সেই ক্ষতস্থানের দাগ মিলিয়ে যায়। কিন্তু যদি তা না হয়, তবে ডাক্তারের পরামর্শমত ক্ষতস্থানে প্যারাফিনের মত ইমোলিয়েন্ট অয়েনমেন্ট বা ভেসলিন বেসড নন-অ্যান্টিবায়োটিক লাগানো যেতে পারে। এর ফলে ধীরে ধীরে পুড়ে যাওয়া জায়গাটা স্বাভাবিক হয়ে ওঠে।

Burn Scars

পোড়া ক্ষত কালচে হয়ে গেলে অনেক সময় তিন চার মাস অপেক্ষা করা উচিত। তবে এই ব্যবধানের পরেও কালচে ভাব না কমলে চিকিৎসকের পরামর্শে হাইড্রোকুইনোন বেসড মলম লাগানো যায়। এমন ওষুধগুলো কালচে ভাব কমাতে সাহায্য করে। কিন্তু পুড়ে যাওয়ার জায়গায় অ্যান্টিবায়োটিক মলম কখনওই লাগানো উচিত নয়। এর কারণ অ্যান্টিবায়োটিক মলম লাগালে সেই স্থানে হাইপারপিগমেন্টেশন বা কালচে হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।

বড় গভীর পোড়া ক্ষতস্থানের দাগ সহজে মেলায় না। যদিও প্লাস্টিক সার্জারির সাহায্য নিয়ে বড় গভীর পোড়া দাগকেও সম্পূর্ণ স্বাভাবিক করে তোলা সম্ভব।