
Celiac Disease: সিলিয়াক রোগে ভুগছেন বিশ্বসুন্দরী হরনাজ সান্ধু, বদলে গেছে চেহারা
গুড হেলথ ডেস্ক
২০২১ সালের মিস ইউনিভার্স হরনাজ সান্ধুকে মনে আছে?
সুন্দরী হরনাজ মিস ডিভা ২০২১ হয়েছিলেন। ২০১৯ সালে ফেমিনা মিস পাঞ্জাবের মুকুট উঠেছিল তাঁর মাথায়। ওই বছরই ফেমিনা মিস ইন্ডিয়ার সেরা দ্বাদশের মধ্যেও ছিলেন তিনি। মিস ইউনিভার্স হওয়ার পরে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন হরনাজ বড্ড রোগা। আর এখন তাঁকে নিয়েই ফের চর্চা শুরু হয়েছে। হরনাজ নাকি মোটা হয়ে গিয়েছেন (Celiac Disease)। একজন বিশ্বসুন্দরীর চেহারার আচমকা বদল নিয়ে চর্চা সর্বত্র।
হরনাজ অবশ্য তাতে রেগে যাননি। তিনি বুঝিয়ে বলেছেন, সিলিয়াক ডিজিজ ধরা পড়েছে তাঁর। আর এই অসুখে ভুগেই তাঁর চেহারায় বদল এসেছে। সিলিয়াক রোগ হলেই যে ওজন বাড়বে তেমনটা নয়, ওজন কমেও যায়, আবার অ্যানিমিয়া ধরা পড়ে অনেকের। আরও নানা রকম শারীরিক সমস্যা হতে শুরু করে। পরিবারে এই রোগের ইতিহাস থাকলে ঝুঁকি বাড়ে। আবার জিনগত কারণেও রোগ হয়। সবচেয়ে বড় কারণ খাদ্যাভ্যাস। সে কথায় আসা যাক।
সিলিয়াক ডিজিজ (Celiac Disease) কী?
গ্লুটেন সেনসিটিভিটি বলে একে। গ্লুটেন আছে এমন খাবার দীর্ঘদিন ধরে খেলে এই রোগের ঝুঁকি বাড়ে। বিশেষ করে গম, রাই, বার্লি থেকে গ্লুটেন সেনসিটিভিটি হতে পারে। সিলিয়াক রোগ (Celiac Disease) ধরা পড়লে আটা, ময়দা, বার্লি, রাই থেকে তৈরি খাবার খেতে বারণ করা হয়।
পরিপাকতন্ত্রের দফারফা করে দেয় রোগ
পাচনতন্ত্রেই আসল সমস্যাটা হয়। অন্ত্রের দফারফা করে দেয় এই রোগ। ফলে খাবার হজম হতে সমস্যা হয়। ঘন ঘন অম্বল, বুক জ্বালা, পেট খারাপ হতে শুরু করে। এই রোগের কয়েকটা লক্ষণ আছে যা ঘন ঘন হলেই সাবধান হতে হবে।
পেট খারাপ
গ্যাস, অম্বল-বুক জ্বালা
পেটে ব্যথা, বমি
কোষ্ঠকাঠিন্য ভোগাবে
তাছাড়াও রোগের (Celiac Disease) বাড়াবাড়ি হলে অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা, স্কিন র্যাশ, মুখে আলসার, মাথাযন্ত্রণা-ব্ল্যাক আউট, গাঁটে গাঁটে ব্যথা, হাড়ের সমস্যা, দাঁতের এনামেল নষ্ট হয়ে যাওয়া ইত্যাদির মতো উপসর্গ দেখা দেয়। স্নায়ুর ওপরেও প্রভাব পড়তে পারে।
Heart Failure: বাথরুমে বেশি হার্ট অ্যাটাক হয় কেন? স্নানের সময়েই থেমে যায় হৃদস্পন্দন
চিকিৎসা কী?
প্রথমত গ্লুটেন আছে এমন খাবার পুরোপুরি বন্ধ করতে বলা হয় রোগীকে। আটা, ময়দা, পাঁউরুটি, বার্লি, রাই, বিয়ার খাওয়া চলবে না। টাইপ ১ ডায়াবেটিস, আলসার, মৃগী রোগ, থাইরয়েড থাকলে সিলিয়াক ডিজিজের ঝুঁকি বাড়ে। তাই রোগ ধরা পড়লে এই টেস্টগুলো করিয়ে নিয়ে চিকিৎসা শুরু করা হয়। অন্ত্রের বায়োপসি করে দেখা হয় কতটা ক্ষতি হল, সেই মতো ওষুধের থেরাপি করেন ডাক্তারবাবুরা।
সেরোলজিক্যাল টেস্ট করে দেখা হয় গ্লুটেনকে নষ্ট করার মতো অ্য়ান্টিবডি শরীরে আছে কিনা। হিউম্যান লিউকোসাইট অ্যান্টিজেন টেস্টও করা হয়। রোগ ধরা পড়লে গ্লুটে জাতীয় সমস্ত খাবার, ওষুধ, সাপ্লিমেন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। গ্লুটেন নেই এমন খাবার যেমন ভুট্টা, কর্নমিল, রাইস, সাবু দানা, অ্যারারুট, সবুজ শাকসব্জি, ডিম-দুধ, মাংস এইসব খেতে বলা হয়।