
এমন অনেকেই আছেন, শেষপাতে একটু মিষ্টিমুখ না করলে যাঁদের মোটেই তৃপ্তি হয় না। কিন্তু ইদানীং মিষ্টি খাওয়ার আগে হাজারো চিন্তা মাথায় ঘোরে, তাই না? মিষ্টির সঙ্গে আমাদের মোটের উপর বৈরিতাই তৈরি হয়ে গিয়েছে! মিষ্টি খেলেই ডায়াবেটিসের আশঙ্কা বাড়ে, বাড়তে আরম্ভ করে ওজন। কিন্তু এটা জানেন তো, খাওয়ার সঙ্গে যদি অপরাধবোধ লুকিয়ে থাকে, তা হলেও আপনার ওজন বাড়তে পারে? তাই কোন মিষ্টি খাবেন, তা বুদ্ধি করে বেছে নিন।
তবে ডায়াটেশিয়ান বা ডায়াবেটিক বিশেষজ্ঞ কেউই মিষ্টির বিষয়ে একেবারে ‘না’ করে দেন না। বরং শরীরে বাড়বাড়ি রকমের সমস্যা না থাকলে অনেক রোগীর পাতেই দিনে একটি মিষ্টি দেওয়ার পক্ষপাতী তাঁরা। তবে রাতের খাবারে নয়, বরং দিনের আলোয় মিষ্টি কেয়ে ফেললে শরীরের পক্ষে বিপাককাজ সহজ হয়, বলছেন তাঁরা।
শেষপাতে মিষ্টি ছাড়া একেবারেই মন ওঠে না যাঁদের, তাঁদের প্রধান সহায় হতে পারে মিষ্টি ফল। যে কোনও তাজা মরশুমি ফলই মিষ্টি হয়, এবং নেহাত ডাক্তারের বারণ বা শারীরিক কোনও অসুবিধে না থাকলে দিনের যে কোনও সময়ে ইচ্ছেমতো মিষ্টি খেতে পারেন প্রত্যেকেই। আম, কলা,আপেল, সবেদা, আঙুর, কমলা, খেজুর, স্ট্রবেরি, কিউয়ির মধ্যে পছন্দমতো এক বা একাধিক ফল বেছে নিন।
ডার্ক চকোলেটে ফ্ল্যাভিনয়েড নামক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীরে ক্লান্তি কাটিয়ে তরতাজা ভাব আনে। রাত জেগে পড়াশোনা করলে এই ডার্ক চকোলেট জেগে থাকতে সাহায্য করবে। হৃদরোগ প্রতিরোধেও এর ভূমিকা রয়েছে।
ছানা কাটানোর পাউডার সহজেই দোকানে পাবেন। তা দিয়ে বা দুধে লেবু চিপে ছানা বানিয়ে নিন ঘরেই। এ বার এই ছানা মেখে নিয়ে তাতে দু’-এক চামচ মধু মিশিয়ে নিন। আমন্ড, কাজু, কিশমিশ, আখরোট ইত্যাদি মিশিয়ে দিন এতে। এটি খেলে পেট ভরা থাকবে যেমন, তেমনই মিষ্টি খাওয়ার সাধও মিটবে।
নারকেলের মিষ্টি আপনার রসনা তৃপ্ত করবে। ঘরে তৈরি ক্ষীর আর মিষ্টি নারকেল বাটা জ্বাল দিন। শেষে এক চিমটে ছোট এলাচের গুঁড়ো আর খুব অল্প চিনি মেশাতে পারেন। ঘি মাখানো থালায় ঢেলে ঠান্ডা করে নিয়ে বরফির আকারে কেটে নিন। উপর থেকে বাদামের কুচি ছড়িয়ে নিলেই আপনার নারকেল বরফি তৈরি।
আমন্ড ও খেজুর (বীজ বাদ দিয়ে) একসঙ্গে পিষে বেটে নিন। জমাট বেঁধে গেলে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে খেতে পারেন।