
ডায়াবেটিস, হার্টের রোগীরা নিশ্চিন্তে খেতে পারেন এই কফি, সাধারণ কফির থেকে কিন্তু আলাদা
গুড হেলথ ডেস্ক
স্বাস্থ্য সচেতনরা চিনি ছাড়া কালো কফি খেতেই পছন্দ করেন। অনেকে আবার ওয়ার্কআউটের আগে ব্ল্যাক কফি শট দিয়ে ফিটনেস রুটিন শুরু করেন। দুধ-চিনি দিয়ে রসেবশে ক্যাপুচিনো কফি যাঁদের পছন্দ, তাঁরা ভাবেন ডায়াবেটিস হলে কি কফি খাওয়া যাবে? পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ডায়াবেটিসেও কফি (Green Coffee) খাওয়া যায়, কিন্তু ক্যাপুচিনো বা ল্যাটে কফি নয়, কালো কফিও নয়। খেতে হবে গ্রিন কফি।
গ্রিন টি এখন বেশ জনপ্রিয়, এর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও অন্যান্য উপাদানের কারণে ডায়েটিশিয়ানরা গ্রিন টি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে গ্রিন টি যতটা জনপ্রিয়, গ্রিন কফি কিন্তু এখনও ততটা নয়। গ্রিন কফিরও রয়েছে প্রচুর গুণ। আর এখন ফিটনেস ড্রিঙ্ক হিসেবে ক্রমশই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে গ্রিন কফি। কাঁচা গ্রিন কফির পাশাপাশি গ্রিন কফি পাউডার, গ্রিন কফি মিক্সচারও পাওয়া যাচ্ছে বাজারে।
গ্রিন কফি (Green Coffee) কতটা উপকারি?
কফি বিনসের প্রাকৃতিক রঙ হল সবুজ। সেটা রোস্ট করে খয়েরি বা বাদামি করা হয়। কফির ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড খুব উপকারি। রোস্ট করার সময় এই অ্যাসিডই উবে যায় কফির থেকে। কিন্তু গ্রিন কফি রোস্ট করা হয় না, তাই এতে ব্রাউন কফি বিনসের তুলনায় বেশি পরিমাণে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড থাকে।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে ক্যাফেইন মেটাবলিজম রেট ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে পারে। ক্লোরোজেনিক অ্যাসিডের সাহায্যে ক্যাফেইন কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। রক্তে ইনসুলিনের পরিমাণ বাড়িয়ে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। বিভিন্ন প্রকার ট্যাবলেট ও ক্যাপসুল ফর্মে গ্রিন কফি পাওয়া যায়। অনেক প্রি-ওয়ার্কআউট ফ্যাট বার্নার হিসেবে গ্রিন কফি ক্যাপসুল খেয়ে থাকেন। কিন্তু ন্যাচারাল গ্রিন কফিই সবচেয়ে বেশি উপকারি। গ্রিন কফি বিনস কিনে ফুটিয়ে নিয়ে সাধারণ কফির মতো খাওয়াই সবচেয়ে ভাল। যদি রোগা হওয়ার কথা ভেবে থাকেন তা হলে অবশ্যই রোজ এক কাপ করে গ্রিন কফি রাখুন ডায়েটে। গ্রিন কফি হাইপারটেনশনও কমাতে পারে।