
Essential Drugs: এপ্রিল থেকেই দাম বাড়ছে জীবনদায়ী ওষুধের, মাথায় হাত মধ্যবিত্তের
গুড হেলথ ডেস্ক
জ্বালানির দামেই শুধু ছ্যাঁকা লাগছে না, ওষুধ কিনতে গেলেও পকেট খালি হয়ে যাচ্ছে। এ বার বাড়তে চলেছে অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের দামও (Essential Drugs)। সূত্রের খবর, এ ব্যাপারে কেন্দ্রের তরফে ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। ফলে জীবনদায়ী ও জরুরি ওষুধের দাম এপ্রিল মাস থেকে আরও বাড়বে। জানা গেছে, প্রায় ৮৫০টি ওষুধের দাম বাড়বে ১ এপ্রিল থেকে।
কোভিডের সময় থেকেই ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি জরুরি ওষুধের (Essential Drugs) দাম বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছিল। নীতি-নির্ধারক সংস্থা ‘ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি’ (এনপিপিএ) জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার গত আর্থিক বছরের পাইকারি মূল্য সূচকের অনুপাতে দাম বাড়ানোর অনুমতি দিয়েছে। শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রকের তরফে পাইকারি মূল্য সূচকের যে তালিকা দেওয়া হয়েছে, তাতে দেখা গেছে কুড়ি সালের তুলনায় একুশে জিনিসপত্রের পাইকারি মূল্য বেড়েছে ১০.৭৬৬০৭ শতাংশ। তাই জরুরি ও জীবনদায়ী ওষুধের (Essential Drugs) দামও ১০ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পেন কিলার, অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টি ইনফেকটিভ সহ প্রায় প্রতিটি জরুরি ওষুধের দাম বাড়বে এপ্রিল মাস থেকে। ওই ওষুধগুলি ন্যাশনাল লিস্ট অব এসেন্সিয়াল মেডিসিন (এনএলইএম)-এর আওতায় পড়ে। আগে কখনও ওষুধের দাম একসঙ্গে এত বেশি বাড়ানো হয়নি।
Mental Health: মুড ঠিক নেই? চূড়ান্ত অবসাদ, হতাশা থেকেই এই রোগের শুরু
কী কী গ্রুপের ওষুধের (Essential Drugs) দাম বাড়বে? জ্বর, হার্টের ওষুধ, অ্যানিমিয়া, উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের দাম বাড়ছে। তাছাড়াও তালিকায় রয়েছে, প্যারাসিটামল, ফেনিটয়েন সোডিয়াম, অ্যাজিথ্রোমাইসিনের মতো অ্যান্টিবায়োটিক।
কোভিডের সময়েই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছিল, জীবনদায়ী কিছু ওষুধের দাম সাধ্যের মধ্যে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এতে উপকার পাবে সাধারণ মানুষ। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের অধীনে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করেছে এই প্রয়োজনীয় ওষুধগুলির তালিকা। এই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে চূড়ান্ত মূল্য নির্ধারণ করবে নীতি-নির্ধারক সংস্থা ‘ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি’ (এনপিপিএ)। কিন্তু করোনার সময় বিভিন্ন ওষুধের উপাদানের দাম বাড়ায় ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি জরুরি ওষুধের দাম বাড়ানোর আর্জি জানায়।
শিল্পমহলের বক্তব্য, গত দু’বছরে ওষুধের বিভিন্ন উপাদানের দাম বহুগুণে বেড়েছে। গত নভেম্বরে ১০০ টি ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা সরকারের কাছে আর্জি জানান, শিডিউলড ড্রাগগুলির দাম ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে অনুমতি দেওয়া হোক। আর বাকিগুলির (নন-শিডিউলড) দাম ২০ শতাংশ বাড়ানো হোক। এবার এপ্রিল থেকেই মধ্যবিত্তের চিন্তা বাড়িয়ে ওষুদের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল সরকার।