
বাগান করার শখ! তাহলে ক্যানসারের মতো মারণ রোগের ঝুঁকি কমবে, দাবি ল্যানসেটের
গুড হেলথ ডেস্ক
বাগান (Gardening) করার খুব শখ! নিজের বাগানে পিটুনিয়া, গোলাপ লাগিয়ে আনন্দ পান? নতুন কুঁড়ি এলে আনন্দে ভরে ওঠে মন–প্রকৃতির সঙ্গে মিশে গিয়ে যদি ভাল থাকেন, তাহলে আপনার জটিল অসুখবিসুখ হওয়ার ঝুঁকি কম। এমনটাই দাবি করেছে দ্য ল্যানসেট প্ল্যানেটারি আর্থ (Lancet Planetary Health)।
মন ভাল রাখতে, স্ট্রেস কমাতে গার্ডেনিং করতে বলেন মনোবিদেরা। সবুজ গাছপালা মনকে সতেজ, আর্দ্র রাখে, অবসাদ-চিন্তা-উদ্বেগ ক্ষণিকের জন্য হলেও দূরে পালায়। দীর্ঘ সময় ধরে প্রকৃতির মাঝে থাকলে অবসাদ একেবারেই দূর হয়, পরীক্ষায় এমনটাই প্রমাণিত হয়েছে। তবে মারণ রোগের (Cancer Risk) কবল থেকে মুক্ত হওয়া যায় কিনা সেটা গবেষণাসাপেক্ষ ছিল। বিশ্বের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মেডিক্যাল জার্নাল দ্য ল্যানসেটে বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা লিখেছেন, বাগান করলে এবং সবুজ প্রকৃতির মাঝে থাকলে ক্যানসারের মতো মারণ রোগ হওয়ার আশঙ্কাও অনেক কমে যায়।
আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির (American Cancer Society) রিপোর্ট বলছে, বাগান করেন (Gardening) বা গাছপালার নিয়মিত পরিচর্যা করেন এমন মানুষজনকেনিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে পরীক্ষা করা হচ্ছিল। দেখা গেছে, এই ধরনের মানুষজনের মানসিক চাপ কম। তাঁরা বেশি পরিমাণে ফাইবার জাতীয় খাবার খেতে পছন্দ করেন। এমনও দেখা গেছে, তীব্র অবসাদ ও নানা রোগে ভুগছেন এমন মানুষজন গার্ডেনিং শুরু করার পরে তাঁদের লাইফস্টাইলে অনেক মডিফিকেশন করেছেন। আরও বেশি নিয়ন্ত্রিত ও সংযত জীবন কাটাচ্ছেন। তাঁরা ডায়েট মেনে চলেন, শরীরচর্চা করেন এবং শরীর-মনে তরতাজা থাকেন। ফলে জটিল অসুখবিসুখের ঝুঁকি তাঁদের ক্ষেত্রে অনেকটাই কম।
বার্সেলোনা ইনস্টিউট অব গ্লোবাল হেলথের ক্যানসার বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে হার্ট ও শরীরের অন্যান্য অঙ্গের সরাসরি যোগ আছে। মেন্টাল স্ট্রেস, ট্রমা, আচমকা পাওয়া কোনও মানসিক আঘাত, অ্যাংজাইটি, ঘন ঘন মুড সুয়িং নানারকম জটিল রোগের রিস্ক ফ্যাক্টর (Mental Stress) হয়ে উঠতে পারে।
মানসিক চাপ বাড়লে শরীরে অ্যাড্রিনালিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। তার প্রভাবে বাড়তে থাকে রক্তচাপ। রক্তচাপ অতিরিক্ত বেড়ে গেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। রক্তচাপ বেড়ে হার্ট অ্যাটাক বা ব্রেন স্ট্রোকে প্রতি বছরই ৭০-৮০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়।
আপনি কি মানসিক চাপে আছেন? স্ট্রেস বাড়ছে? কোন কোন লক্ষণে টের পাবেন
তাছাড়া মনের (Mental Stress) ওপর বেশি চাপ পড়লে কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এর ফলে রক্তে কোলেস্টেরল এবং শর্করার মাত্রা বাড়ে। ধীরে ধীরে অন্যান্য অসুখের ঝুঁকি বাড়তে থাকে।