
অ্যালার্জির শ্বাসকষ্টে হাঁসফাঁস, আপস নয় রইল উপশমের দাওয়াই
গুড হেলথ ডেস্ক: দখিনা বাতাস সবেমাত্র বইতে শুরু করেছে। আর তাতেই বাড়ছে বিপত্তি। যে সমস্ত মানুষের হাঁপানি বা অ্যাজমা রয়েছে, শীতকালটা তাঁদের খুব সাবধানে থাকতে হয়। কারণ ধোঁয়াশা-কুয়াশা- দূষণ সে সময় সমস্যা বাড়ায় বহুগুণে। বসন্ত এলে প্রকৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে সব জরাজীর্ণতা কাটিয়ে উঠে এসব মানুষ একটু খোলা হওয়ায় শ্বাস নেবেন ভাবেন, কিন্তু বাধ সাধে অ্যালার্জি। কারণ, সকলেই জানেন, এই ঋতু পরিবর্তনের সময় ব্যাপক হারে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়ার বাড়বাড়ন্ত হয়। এদের দাপটে নানা রকম অ্যালার্জি ও সংক্রমণ লেগেই থাকে। ফলে বাড়তে পারে শ্বাসকষ্টের সমস্যা। একটু সচেতন থাকলে কিন্তু এই সমস্যা থেকে রেহাই মিলতে পারে। সঙ্গে খাবার তালিকায় যোগ করতে হবে কয়েকটি বিশেষ খাবার। যে গুলো শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা নিতে পারে।
ভিটামিন সি
এ সময়ে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খান। আমলকি, স্ট্রবেরি, আপেল, আঙুরের মতো ফলে ভিটামিন সি ঠাসা। এখন বাজারে এসব ফলের রমরমাও বটে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও শ্বাসকষ্ট থেকে রেহাই পেতে ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ সবজি ও শাকপাতাকে দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন।
ভিটামিন এ ও ই
অলিভ অয়েল, সূর্যমুখী বীজ, বাদাম, হ্যাজেলনাট, অ্যাভোকাডো এসবই ভিটামিন ই সমৃদ্ধ। অন্যদিকে গাজর, বেল, মিষ্টি আলু ও অ্যাপ্রিকট হল ভিটামিন এ-র উৎস৷ এই খাবারগুলি বায়ু দূষণ ও অ্যালার্জির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা দিতে পারে।
ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড
বিভিন্ন গবেষণায় জানা গিয়েছে, ওমেগা-ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার শ্বাসনালীর প্রদাহ, এমনকি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সক্ষম। আখরোট, ফ্ল্যাক্সসিড, চিয়া বীজ এবং স্যামন খান। এগুলোতে ভরপুর ওমেগা রয়েছে।
আদা
শ্বাসনালী থেকে দূষক অপসারণ করতে এবং ফুসফুসের জ্বালা কমাতে আদার বিকল্প নেই। তাই রোজ অন্তত ১ টুকরো আদা খাওয়ার অভ্যাস করুন।
গ্রিন টি
অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ঠাসা। তাই এ সময়ে অ্যালার্জির বাড়বাড়ন্তকে ঠেকাতে পারে গ্রিন টি। পর্যাপ্ত পরিমাণে পান করলে শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতেও সাহায্য করে সবুজরঙা এই চা।
তুলসী
গলার মধ্যে জ্বালা ধরা বা খুসখুস করলে তুলসীর রস বেশ কার্যকরী। তুলসীর চা তৈরি করে পান করতে পারেন। কাঁচা তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলেও শ্বাসকষ্টতে উপকার পাবেন।
অ্যালার্জিজনিত শ্বাসকষ্ট এড়াতে জাঙ্ক ফুড, প্রসেসড ফুড, তৈলাক্ত ও স্পাইসি খাবার যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। এইসব খাবারে শরীরকেও ব্যস্ত করা হয় আর ফুসফুসেরও সমস্যা বাড়তে পারে।