মশার কামড়ে ডেঙ্গির মতোই ছড়াচ্ছে নাইল ভাইরাস, মস্তিষ্ক বিকল করে দিতে পারে

গুড হেলথ ডেস্ক

করোনার মতোই ছড়াচ্ছে ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস (West Nile Virus)। ২০১৯ সালে কেরলে এই ভাইরাসের সংক্রমণের কথা শোনা গিয়েছিল। মৃত্যুও হয়েছিল কয়েকজনের। ফের নাকি ফিরে এসেছে এই ভাইরাসের সংক্রমণ। এখন ফ্লোরিডায় ওয়েস্ট নাইল ভাইরাসের প্রকোপ বেড়েছে। বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশে এই ভাইরাস (West Nile Virus) ছড়িয়ে পড়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। ভারতে এখনও অবধি কারও শরীরে এই ভাইরাস পাওয়া যায়নি, তবে নাইল ভাইরাস নিয়ে সতর্ক করেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

নাইল ভাইরাস কী?

ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস (West Nile Virus) বা ডব্লিউএনভি মশার কামড়ে ছড়ায়। এটি মশাবাহিত রোগ। সাধারণত কিউলেক্স মশা এই ভাইরাসের বাহক। মূলত পাখির দেহ থেকে মশার মাধ্যমে এই ভাইরাস ঢোকে মানুষের শরীরে। আফ্রিকা, ইউরোপ, নর্থ আমেরিকা ও পশ্চিম এশিয়ায় এই রোগের প্রাদুর্ভাব সবথেকে বেশি। ভারতেও এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছিল কেরলে। মশার মাধ্যমে এই ভাইরাস শুধু মানুষের মধ্যে ছড়ায় না, পাখি ও প্রাণীদের মধ্যেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে।

West Nile Virus

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রসূতি মা নাইল ভাইরাসে সংক্রমিত হলে, গর্ভস্থ শিশুর শরীরেও সংক্রমণ ঢুকতে পারে।

West Nile Virus Infections

উপসর্গ কী কী?

ওয়েস্ট নাইল ভাইরাসের (West Nile Virus) সংক্রমণ হলে ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় রোগী উপসর্গহীন। ভেতরে ভেতরে রোগের প্রকোপ বাড়ে।

হঠাৎ মাথা ঘুরছে, চোখের সামনে অন্ধকার! ব্ল্যাকআউট থেকে বাঁচতে কী করবেন

উপসর্গ যাদের ধরা পড়ে তাদের প্রাথমিক লক্ষণ হল জ্বর। তারপর মাথা ব্যথা-গায়ে হাত-পায়ে ব্যথা শুরু হয়।

র‌্যাশও বেরোতে দেখা যায় কারও কারও ক্ষেত্রে।

এই ভাইরাসের সংক্রমণে গ্ল্যান্ড ফুলে যেতে পারে।

উদ্বেগের ব্যাপার হল, মস্তিষ্ক সাঙ্ঘাতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় এই ভাইরাসের সংক্রমণে। স্নায়ুতন্ত্রের ওপরে প্রভাব পড়ে। ওয়েস্ট নাইল এনকেফেলাইটিস, মেনিনজাইটিস অথবা ওয়েস্ট নাইল পোলিওমাইলাইটিস হতে পারে, অথবা ফ্ল্যাসিড প্যারালাইসিস হতে পারে।

West Nile Virus

কারা বেশি ঝুঁকিতে?

শিশু ও বয়স্করা রয়েছে হাইরিস্ক গ্রুপে। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে বা অন্যান্য অসুখ থাকলে ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক আকার নিতে পারে।

নাইল ভাইরাসের প্রতিরোধী কোনও ভ্যাকসিন বা ওষুধ সেভাবে নেই।  স্নায়ুতন্ত্র যাতে পুরোপুরি বিকল হয়ে না পড়ে সে জন্য নিউরো-ইনভেসিভ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। ডাক্তারবাবুরা বিভিন্ন লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমের ব্যবহারও করেন।