যক্ষ্মার নতুন টিকা বানিয়েছে বেঙ্গালুরুর আইআইএসসি, বিসিজি-র থেকেও বেশি কার্যকরী

গুড হেলথ ডেস্ক

যক্ষ্মার জন্য ‘ব্যাসিলাস ক্যালমেট গেরান’ তথা বিসিজি ভ্যাকসিনই এতদিন ছিল একচেটিয়া। করোনার সময়েও বিসিজি টিকা নিয়ে সংক্রমণ রোখার চেষ্টা হয়েছিল। এবার যক্ষ্মা বা টিউবারকিউলোসিসের জন্য নতুন এক ধরনের ভ্যাকসিন (TB Vaccine) বানালেন বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স (আইআইএসসি)-র গবেষকরা। বিজ্ঞানীদের দাবি, নতুন তৈরি ভ্যাকসিন নাকি বিসিজি-র থেকেও বেশি কার্যকরী হবে।

সেন্টার ফর বায়োসিস্টেম সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-এর গবেষক রচিত আগরওয়ালের তত্ত্বাবধানে এই গবেষণা হয়েছে। বিজ্ঞানী বলছেন, মাইকোব্যাকটেরিয়ামের নিষ্ক্রিয় অংশ নয়, বরং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রাম্ক স্ট্রেনের কিছু অংশ নিয়েই এই ভ্যাকসিন (TB Vaccine) বানানো হয়েছে। টিকা এমনভাবে তৈরি হয়েছে যাতে মানুষের শরীরে ব্যাকটেরিয়ার ক্ষতিকর অংশটা না ঢুকতে পারে। তার জন্য ব্যাকটেরিয়ার স্ট্রেন বিশেষভাবে ন্যানোপার্টিকল দিয়ে মুড়ে দেওয়া হয়েছে।

TB Vaccine

বিসিজি ভ্যাকসিন একই সঙ্গে ইননেট ও অ্যাডাপটিভ ইমিউনিটিকে জাগিয়ে তোলে। ইননেট ইমিউনিটি হল জন্মগত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যা শ্বেত রক্তকণিকা করে থাকে। শরীরে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা প্যাথোজেন ঢুকলেই শ্বেত রক্তকণিকার নিউট্রোফিল, ম্যাক্রোফাজ ও মোনোসাইট প্রতিরোধ গড়ে তোলে। আর অ্যাডাপটিভ ইমিউনিটি হল বি-কোষ (B-Cell)টি-কোষকে (T-Cell) সক্রিয় করে তোলা। মেমরি বি-সেল তৈরি করা যা ভাইরাল অ্যান্টিজেনকে চিনে রাখতে পারে। সেই অ্যান্টিজেনের প্রতিরোধে অ্যান্টিবডিও তৈরি করতে পারে

নতুন তৈরি ভ্যাকসিনে (TB Vaccine) যে অ্যান্টিজেন থাকে তা নাকি শরীরে ঢুকলেই ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পার। যেহেতু ব্যাকটেরিয়ার সক্রিয় অংশ নিয়েই ভ্যাকসিন ক্যানডিডেট তৈরি হয়েছে তাই শরীরে ঢুকে ইমিউন সিস্টেমকে অ্যাকটিভ করে তোলে। ঘাতক টি কোষ তৈরি হয় যা ক্ষতিকর প্যাথোজেনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।