Kidney Stone: মূত্রথলিতে এত বড় পাথর? ওজন দেখেই অবাক ডাক্তাররা

গুড হেলথ ডেস্ক

বিরাট বড় গোল বলের মতো। মূত্রথলিতে যে এত বড় পাথর (Kidney Stone) হতে পারে তা দেখেই চমকে গেলেন ডাক্তারবাবুরা। অস্ত্রোপচার করার পরে পাথর বের করে তার ওজন মেপে দেখা গেছে ৩০০ গ্রাম। কিডনি স্টোন একেই ভয়ের ব্যাপার। কিছুদিন আগেই শোনা গিয়েছিল হায়দরাবাদের এক প্রৌঢ়ের কিডনি থেকে ২০৬টি পাথর বেরিয়েছে। সেটাও ছিল অ্যালার্মিং। এবার পশ্চিমবঙ্গের পুরশুড়ায় এক বৃদ্ধের কিডনি থেকে ৩০০ গ্রাম ওজনের পাথর বের করলেন ডাক্তাররা।

পুরশুড়ার বাসিন্দা ৬৮ বছরের শেখ মেহের আলি বেশ কয়েক মাস ধরে প্রস্রাবের সমস্যায় ভুগছিলেন।
বর্ধমান মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক এ কে খানের পরামর্শে আলটাসোনোগ্রাফি পরীক্ষা করান। তাই ধরা পড়ে কিডনিতে স্টোন আছে। তারকেশ্বরের চাঁপাডাঙ্গা এলাকার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা করা হয়। প্রায় ঘণ্টা দুয়েকের অস্ত্রোপচারের পরে ৩০০ গ্রাম ওজনের বড় গোল পাথর (Kidney Stone) বের হয়। পাথরের মাপ দেখে হতবাক হয়ে যান চিকিৎসকরাই।

Norovirus: কেরলের মারাত্মক ভাইরাস শরীরে কী কী ক্ষতি করে? কেন একে বলা হয় ভমিটিং ভাইরাস?

Kidney Stone patient

চিকিৎসক এ কে খান জানিয়েছেন, কিডনিতে স্টোন অনেকেরই হয়, তবে এত বড় ও এত বেশি ওজনের স্টোন বিরল ব্যাপার। অপারেশনের পরে রোগী সুস্থ আছেন বলেই জানিয়েছেন তিনি। ডাক্তারবাবু বলছেন, অতিরিক্ত ধূমপানের অভ্যাস ও পরিমাণ মতো জল না খেলে কিডনি স্টোনের ঝুঁকি বাড়ে।

কিডনি স্টোন (Kidney Stone) বলে কয়ে আসে না, আগে থেকেই সতর্ক থাকুন

নেফ্রোলজিস্টরা বলেন, কিডনির রোগ অনেকসময়েই জানান দিয়ে আসে না। চুপিসারে বাসা বাঁধে, একদিন আচমকাই বিস্ফোরণের মতো ছড়িয়ে পড়ে। তবে কিছু উপসর্গ দেখে সচেতন হওয়াই যায়। যেমন–কারও উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার সমস্যা থাকলে তার প্রভাব পড়ে কিডনিতেও। সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। হঠাৎ করে জাঁকিয়ে বসা অবসাদ, ঘুম ঘুম ভাব, মনঃসংযোগের সমস্যা, খিদে নষ্ট, অল্প পা ফোলা, শরীরে রক্ত কমে যাওয়া এইসব রোগের আগমন হলে আগেভাগেই সতর্ক হওয়া উচিত।

কিডনির সমস্যা হলে সবচেয়ে আগে প্রভাব পড়ে মূত্রে। কোমরে বা তলপেটে ব্যথা, মূত্রে জ্বালা, রঙের বদল হলে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হওয়া উচিত (Kidney Stone)। প্রায়ই যদি মূত্রথলি ও প্রস্রাবে সংক্রমণ হয় তাহলেও ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার।

Kidney Stones

৭০ বছর বা তার বেশি বয়সী প্রবীণরা, গর্ভবতী মহিলা, যাঁরা প্রচণ্ড মানসিক চাপে ভুগছেন তাঁদের কিডনিতে পাথর জমার প্রবণতা বেশি। প্রাণিজ প্রোটিন অর্থাৎ ডিম, দুধ, মাছ, মাংস বেশি যাঁরা খান, তাঁরাও রয়েছেন ঝুঁকিতে।

পর্যাপ্ত তরল কিডনি স্টোন রুখে দিতে পারে। যতটা জল আমাদের প্রয়োজন, সেটুকু জল যাতে শরীর পায়, সে বিষয়ে নজরদারি বাড়ান।  প্রতিদিন অল্প করে লেবুর রস মূত্রের সাইট্রেটের মাত্রা বাড়িয়ে ক্যালসিয়াম স্টোন তৈরির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে। তাই রোজের ডায়েটে এক চামচ লেবুর রস রাখুন। গরম জলে মিশিয়ে খেতে পারেন। ভাল ফল পাবেন। বেশি নুন খেলে প্রস্রাবে ক্যালসিয়াম বাড়ে। তাই খাদ্যে নুন তথা সোডিয়ামের মাত্রা কমিয়ে প্রস্রাবে ক্যালসিয়াম নিয়ন্ত্রণে রাখুন।