
রোজ লিপস্টিক লাগিয়ে বাইরে বেরোন?
এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা গাঢ় লিপস্টিক ছাড়া বাড়ির বাইরে পা রাখতে চান না (Lip Care)। পার্টি, বিয়েবাড়িতে তো বটেই, রোজকার সাজেও গাঢ় লিপস্টিক ছাড়া বাড়ির বাইরে পা রাখতে চান না। তবে ভয় একটাই। ট্রেন্ডের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঠোঁট রাঙাতে গিয়ে ঠোঁটের ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে না তো? নামী কোম্পানির লিপস্টিক ও লিপগ্লস ব্যবহার করলেও সকলের ত্বকে সব কিছু খাপ খায় না। তাছাড়া লিপস্টিক লাগালেও পরে ঠিকমতো ঠোঁট পরিষ্কারও (Lip Care) করেন না অনেকে। লিপস্টিক লাগানোর আগে ঠোঁট ময়শ্চারাইজার করাও হয় না। ফলে ঠোঁট রুক্ষ হয়ে যায়, দাগছোপ পড়তে থাকে।
ঠোঁটের কালচে দাগের পিছনে এটাই একমাত্র কারণ নয়। আর্দ্রতা হারালেও ঠোঁট বিবর্ণ হয়ে যায়। ঠোঁট কালো হয়ে যায়। কোন ব্র্যান্ডের বিউটি প্রোডাক্ট ব্যবহার করছেন সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। আবার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরেও সেই প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে থাকেন অনেকে। ঠোঁটে দাগছোপ পড়ার পেছনে সেটাও একটা কারণ।
ঠোঁটের যত্ন নিতে হলে ঠোঁটের আর্দ্রতায় কোনও ঘাটতি যেন না পড়ে সেদিকে নজর দিতে হবে। প্রথমে লিপ বাম লাগান, তার পর লিপস্টিক টাচ আপ করুন। আপনার ঠোঁটে এমন লিপ বাম ব্যবহার করতে হবে যার মধ্যে সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর বা এসপিএফ আছে। কারণ ত্বকের মতো আপনার ঠোঁটেও কালচেভাব ফেলতে পারে সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি। সেই সঙ্গে ত্বকের পাশাপাশি ঠোঁটেরও এক্সফোলিয়েশনও খুব জরুরি। তার জন্য কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি আছে।
দুধের সর, মধু আর লেবুর রসের মিশ্রণ তৈরি করে ঠোঁটে (Lip Care) লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে সামান্য চিনি আঙুলের ফাঁকে নিয়ে ঠোঁটের উপর চক্রাকারে ঘষুন। এর ফলে সমস্ত মৃত কোষ সরে যাবে।
ঘুমোনোর আগে সামান্য মধু ঠোঁটে লাগিয়ে রেখে দিন সারা রাত। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ঠোঁটের রঙে পার্থক্য চোখে পড়বে।
যে কোনও দাগের উপর বরফ ঘষলে সেই দাগ হালকা হয়ে যায়। বরফের এই গুণ সম্পর্কে অনেকেরই কোনও ধারণা নেই। প্রতিদিন একবার করে ঠোঁটে বরফ ঘষুন। এতে ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হবে। বরফ ঠোঁটের আদ্রতার মাত্রা বজায় রেখে রুক্ষতা দূর করে।
পাতিলেবু আর মধু মিশ্রণ বানিয়ে প্রতিদিন একবার করে ঠোঁটে লাগিয়ে দেখতে পারেন, ব্যবহার করা যায় অ্যালোভেরাও।
শসার রস আর বেদানার রসও ঠোঁটের স্বাভাবিক রং ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।