
ঘরে-বাইরে স্ট্রেস-টেনশনে জেরবার? মেডিটেশন করতে চাইলে নিয়মগুলো জেনে নিন
গুড হেলথ ডেস্ক
চাকরির টেনশন, আর্থিক টেনশন, অফিস, ব্যক্তিগত সম্পর্ক সবেতেই টানাপড়েন। আত্মবিশ্বাস একবারে তলানিতে। ঘুম নেই, দিনরাত মাথায় চিন্তার (Meditation ) পাহাড়। বিছানায় এপাশ ওপাশ করেই রাত কাবার। এদিকে ভাবনাচিন্তায় মেজাজ খিটখিটে, ঘন ঘন মুড সুয়িং লেগেই আছে। আপনি বেশ টের পাচ্ছেন, ‘জীবন চলছে না আর সোজা পথে…’। কাজেই মন-মাথা ঠান্ডা রাখতে মেডিটেশন করার কথা ভাবছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন দশ থেকে পনের মিনিট করে মেডিটেশন করুন। দেখবেন সপ্তাহ খানেক বাদে অনেকটাই ফল পাচ্ছেন। টেনশন কমছে, আত্মবিশ্বাস ফিরে পাচ্ছেন। মেডিটেশনের সময় আপনার মন এবং চিন্তাভাবনা ধীর-স্থির হয়, ফলে সুবিধে হয় মনঃসংযোগে। সবচেয়ে বড় কথা, ঘুম আসে সহজে। ধীরে ধীরে কমতে থাকে স্ট্রেস, ক্রমশ আপনি নিয়মানুবর্তিতায় অভ্যস্ত হয়ে উঠবেন।
কখন করবেন মেডিটেশন (Meditation )?
সকাল, সন্ধে বা রাত যে কোনও সময় আপনি মেডিটেশন করতে পারেন। যে সময় আপনার চারপাশের পরিবেশ শান্ত থাকে সেই সময়টা মেডিটেশনের জন্য বেছে নিন। কাজ সেরেই মেডিটেশনে বসুন। আর ধ্যানের সময় চিন্তাভাবনা সরিয়ে রাখুন।
মেডিটেশন কীভাবে করবেন?
সবচেয়ে আগে দরকার শান্ত পরিবেশ। হই হট্টগোলের মধ্যে মেডিটেশন হবে না। যেখানে মেডিটেশনে বসবেন সেখানে যেন হাওয়া চলাচল ঠিকভাবে হয়। বদ্ধ পরিবেশ না হলেই ভাল।
হাল্কা পোশাক পরে মেডিটেশন (Meditation ) করুন। পরিচ্ছন্ন পোশাক পরা দরকার।
মেডিটেশনে বসার আগে মুখ-চোখ ভাল করে জল দিয়ে ধুয়ে নিন। এতে অনেক বেশি তরতাজা লাগবে।
বজ্রাসন বা সুখাসনে বসে মেডিটেশন করতে পারেন। তবে যেভাবে আপনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন, সেভাবেই করুন।
চোখ বন্ধ করলেই মাথায় চিন্তারা এসে ভিড় করবে স্বাভাবিকভাবেই। সেই সময় নিজের ভাল কোনও অভিজ্ঞতা, সুন্দর কোনও মুহূর্ত স্মরণ করুন। তাতেও যদি খারাপ চিন্তা আসে তাহলে দু’ চোখ বন্ধ করে নিজের শ্বাস-প্রশ্বাসের উপর মনকে নিবদ্ধ করুন।
দশ থেকে ১৫ মিনিট — সবটাই নির্ভর করছে নিজের উপর। কতক্ষণ আপনি মানসিক ভাবে স্থির হয়ে বসে থাকতে পাচ্ছেন। সময়টা বাড়িয়ে এক ঘণ্টাও করতে পারেন।
চেষ্টা করুন হাল্কা খাবার খেয়ে মেডিটেশন করার। একগাদা খেয়ে হাঁসফাঁস করতে থাকলে আর যাই হোক, মেডিটেশন ঠিকমতো হবে না।