
Monkeypox: মাঙ্কিপক্স সারাবে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ? কোন দুই ড্রাগের কথা বলছে ল্যানসেট
গুড হেলথ ডেস্ক
স্মলপক্স বা গুটিবসন্তের জাতভাই। কিন্তু আরও বেশি সংক্রামক মাঙ্কিপক্স ভাইরাস (Monkeypox)। বিশ্বের ২০টি দেশে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। ইউরোপেই আক্রান্ত শতাধিক। ভারতে এখনও ঢোকেনি ঠিকই, কিন্তু এখন থেকেই ভাইরাস প্রতিরোধী ব্যবস্থা রাখতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। একেই করোনা নিয়ে নাকাল, তার মধ্য়ে মাঙ্কিপক্স ছড়ালে কী বিপদ হবে সে নিয়ে চিন্তা বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থাও (হু) মাঙ্কিপক্স ভাইরাসকে কাবু করার উপায় ভাবছে। নানারকম ভ্যাকসিন ও ওষুধপত্র নিয়ে গবেষণা চলছে। এর মধ্যেই বিশ্বের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মেডিক্যাল জার্নাল ‘দ্য ল্যানসেট’ জানিয়েছে, অ্য়ান্টিভাইরাল দুই ওষুধেই সারতে পারে মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের সংক্রমণ।
দ্য ল্যানসেট ইনফেকশিয়াস ডিজিজ জার্নাল (The Lancet Infectious Diseases journal) -এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল অবধি ব্রিটেনে মাঙ্কিপক্স সারাতে দু’রকম অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ নিয়ে গবেষণা চলছিল। সাতজন ভাইরাস আক্রান্তের ওপর ওই দুই ওষুধের থেরাপি করে সুফল পাওয়া যায়। কুড়ি সাল অবধি মাঙ্কিপক্সের কথা শোনা গেলেও আক্রান্তের সংখ্যা ছিল হাতেগোনা। আফ্রিকাতেই মূলত এই রোগ ছড়াত। পক্সের মতোই ছোট ছোট র্যাশ বের হত সারা গায়ে। এখন এই রোগই বড় আকারে ফিরে এসেছে।
ল্যানসেটের প্রতিবেদন বলছে, ব্রিনসিডোফোবির ও টেকোভিরিম্যাট নামে দু’ধরনের ওষুধ নির্দিষ্ট ডোজে খাওয়ানো হয়েছিল সাতজন রোগীকে। তাঁদের মধ্যে চারজন পুরুষ ও তিনজন মহিলা। আক্রান্তদের মধ্য়ে স্বাস্থ্যকর্মীরাও ছিলেন। ক্যাপসুলের মতো ওষুধ খাওয়ানো হয়েছিল, কোনও ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়নি। সেই ওষুধেই কাজ হয়। তাড়াতাড়ি সংক্রমণ সেরে যায়। তাই এখন ফের ওই দুই ওষুধ আক্রান্তদের ওপর প্রয়োগ করা যাবে কিনা সে নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন বিজ্ঞানীরা।
NEW—Study reports first use of antivirals in patients with #monkeypox, highlighting challenges in understanding and treating this rare disease. https://t.co/LM5Q4rZOmR @TheLancetInfDis pic.twitter.com/ndNPmxKZA5
— The Lancet (@TheLancet) May 24, 2022
ব্রিনসিডোফোবির হল টেমবেক্সা ব্র্যান্ড নামে বিক্রি হয়। অ্য়ান্টিভাইরাল ওষুধ যা স্মলপক্স সারাতে কাজে লাগে। মাঙ্কিপক্সের (Monkeypox) সংক্রমণ যেহেতু স্মলপক্সের মতোই, তাই এই ওষুধেই কাজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সাইটোমেগালোভাইরাস, অ্য়াডেনোভাইরাস, হার্পিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস, বিকে ভাইরাসের সংক্রমণ সারাতে এই ওষুধ কাজে লাগে। এমনকি ইবোলা আক্রান্ত রোগীকেও এই ওষুধ খাইয়ে কাজ হয়েছিল বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।
Cancer-Killing Virus: ক্যানসার-খেকো ভাইরাস আসছে, টিউমার কোষগুলোকে গপ গপ করে গিলে ফেলবে
টেকোভিরিম্যাট ওষুধ নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে। আমেরিকায় তৈরি হয় এই ওষুধ। অর্থোপক্সভাইরাস যেমন স্মলপক্স ও মাঙ্কিপক্স (Monkeypox) সারাতে কাজে আসতে পারে বলেই দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। TPOXX এই ব্র্যান্ড নামে বিক্রি হয় টেকোভিরিম্যাট। বিজ্ঞানীদের দাবি, কোষে ভাইরাসের ট্রান্সমিশন বা ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে পারে এই ওষুধ।
এই ভাইরাসের ইনকিউবেশন পিরিয়ড ২-৩ দিন। সংক্রমণ ছড়ানোর তিন দিনের মাথায় ধূম জ্বর আসবে রোগীর। কাঁপুনি দিয়ে জ্বর হতে পারে। সেই সঙ্গেই সারা শরীরে বড় বড় ফোস্কার মতো র্যাশ বের হবে (Monkeypox)। ত্বক শুকিয়ে খসখসে হয়ে যাবে, প্রচণ্ড চুলকানি, জ্বালা হবে র্যাশের জায়গায়। একই সঙ্গে অসহ্য় মাথাব্যথা, পেশির খিঁচুনিও হতে পারে। শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে। প্রায় দুই থেকে চার সপ্তাহ ভোগাবে এই রোগ।