
খাদ্যাভ্যাস, বংশগত কারণ ও লিভারের নানা সমস্যা থেকে চুল পেকে যেতে পারে অকালেই। চিকিৎসকদের মতে, অনিয়মিত ঘুম, অতিরিক্ত মানসিক চাপ, কর্মব্যস্ততা ও পেটের নানা সমস্যা থেকেও চুল পেকে (Grey Hair) যাওয়া অস্বাভাবিক নয়।
শরীরে ভিটামিন এ, জিঙ্ক ও কপারের অভাব হলেও অকালে চুলে পাক ধরতে পারে। মেলানিন কমে যাওয়ায় চুলের রঙ কালো থেকে ধূসর বা সাদা হওয়ার (Grey Hair) দিকে ঝোঁকে। অকালে চুল পেকে গেলে অনেকেই অবসাদে ভোগেন। কালো চুল রঙ হারিয়ে তার সৌন্দর্যও হারায়। জারচলতি হেয়ারডাইয়ের রাসায়নিক ব্যবহার করে চুলে রঙ করেন অনকেই। কিন্তু এই সব রাসায়নিক চুল ও ত্বকের ক্ষতি করে। কারও কারও ক্ষেত্রে চুল ঝরে যাওয়া, মাথায় ঘা হওয়া, এমনকি রাসায়নিক মেশানো নানা হেয়ারডাই ব্যবহার করে অ্যালার্জিও হয় অনেকে।
অকালে চুল কেন পাকে?
● বেশিরভাগই পারিবারিক কারণে। বংশে যদি চুলের অকালে পাক (Grey Hair) ধরার অতীত ইতিহাস থাকে, তবে আপনারও চুল অকালে পাকার সম্ভাবনা খুব বেশি।
● স্ট্রেস চুল পাকার অন্যতম কারণ। অত্যাধিক স্ট্রেস, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন যেমন সার্বিক স্বাস্থ্যের পক্ষে খারাপ, তেমন চুলের জন্যও।
● এখন অনেক মহিলা ধূমপান করেন। সমীক্ষায় দেখা গেছে, ধূমপায়ীদের চুলে বেশি তাড়াতাড়ি পাক ধরে (Grey Hair)।
● খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে চুলের স্বাস্থ্যের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রয়েছে। নিয়মিত জাঙ্ক ফুড, ফাস্ট ফুডে মজে থাকলে আমাদের শরীরের পুষ্টির সঠিক চাহিদা পূরণ হয় না। এতে চুলের পুষ্টিতেও ঘাটতি হয়। ফলে দ্রুত চুল পাকে।
● দূষণ চুলের ভীষণ ক্ষতি করে। চুলের কেরাটিন প্রোটিন অত্যাধিক বায়ুদূষণের ফলে নষ্ট হয়ে গিয়ে চুলে অকালপক্কতা আসতে পারে।
● বাজারচলতি হাজারো প্রসাধনী দ্রব্য কিন্তু চুলের জন্য কাল হয়ে উঠতে পারে। বাজারচলতি রাসায়নিকযুক্ত দ্রব্য ব্যবহারে চুলের মেলানিন নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
চুলে পাক ধরা আটকাতে কী করবেন?
● স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন।
● পরিমিত জল খান।
● দূষণ ও কড়া রোদের থেকে বাঁচাতে চুল ঢেকে রাখুন।
● মাঝে মাঝে চুলে (Grey Hair) ভাল মানের হেনা বা মেহেন্দি লাগান। এতে চুল পুষ্টি পাবে। অকালপক্কতার প্রবণতা কমবে।
● ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার রাখুন খাদ্যতালিকায়।
● চুলে অয়েল মাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালন ভাল থাকে। চুলের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি হয়।
● চুল শুকোতে বা চুল সোজা করতে অনেকেই ড্রায়ার বা স্ট্রেটনার ব্যবহার করে থাকেন। এই ধরনের যন্ত্রের বেশি ব্যবহারে চুল বেশি সাদা হয়ে যায়। তাই যতটা পারবেন, কম হিট দিন। ড্রায়ার বা স্ট্রেটনার ব্যবহার করার পর হেয়ার সিরাম ব্যবহার করুন। এতে চুল সুরক্ষিত থাকবে।