
Powassan Virus: পশুর গায়ের পোকা থেকে ছড়াচ্ছে প্রাণঘাতী ভাইরাস, ক্ষতি করতে পারে ব্রেনের
গুড হেলথ ডেস্ক
পশুদের গায়ের লোমে যে ধরনের পোকা (Powassan Virus) হয় তার থেকেও ছড়াচ্ছে ভাইরাস। এই পোকাগুলোকে বলে টিক। এরাই পোয়াসান নামে একধরনের প্রাণঘাতী ভাইরাসের বাহক। পোকা কামড়ানোর ১৫ মিনিটের মধ্যে ভাইরাসের সংক্রমণ হতে পারে। পশুর শরীর থেকে মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। কানেক্টিকাট, মিনেসোটা, পেনসিলভানিয়ায় এই ধরনের ভাইরাস বাহিত রোগ ছড়িয়েছে। মার্কিন সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) জানিয়েছে, পোয়াসান ভাইরাসের সংক্রমণ হলে ব্রেনেরও ক্ষতি হচ্ছে।
২০২০ সালে আমেরিকায় ২০ জনের শরীরে এই ভাইরাস (Powassan Virus) পাওয়া গিয়ছিল। ১৯৫৮ সালে ওন্টারিওতে প্রথম মানুষের শরীরে পোয়াসান ভাইরাস খুঁজে পাওয়া যায়। বিজ্ঞানীরা তখন পরীক্ষা করে দেখেন, পশুদের গায়ে হওয়া টিক পোকা থেকেই এই বাইরাস ছড়াচ্ছে। ওই পোকারাই এই ভাইরাসের বাহক। বাড়িতে পোষ্যের থেকেও ভাইরাস ছড়িয়েছে অনেকের শরীরে।
কী এই টিক পোকা?
একটু ভাল করে লক্ষ্য করলেই দেখবেন, কুকুর, বেড়ালের গায়ে ছোট ছোট কালচে লাল রঙের এক ধরনের পোকা হয়। এগুলি কুকুর, গোরু, ছাগল, বেড়াল, বন্য প্রাণীদের শরীরেও হয়। পশুদের গায়ের নরম লোমের মধ্যে বাসা বাঁধে এরা। পশুর রক্তে ভরণ পোষণ করে, বংশবিস্তার করে। চামড়ার সঙ্গে (অনেকটা আঁচিলের মতো) এঁটে থাকে বলেই বাংলায় এই পোকা বা কীট ‘এঁটুলি’ নামেই বিশেষ পরিচিত। ইংরেজিতে এই পোকাগুলিকে ‘টিক’ বলে।
Malaria: লজেন্স খেলেই কমবে ম্যালেরিয়া! বাচ্চাদের জন্য কড়া ওষুধের বদলে ক্যান্ডি বানাল জেএনইউ
টিক পোকা থেকে লাইম ডিজিজও ছড়িয়েছে অনেকের মধ্য়ে। ১৯৯০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টিক পোকা থেকে বোরেলিয়া বার্গডোরফেরি নামক ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করেছিল। প্রবল জ্বর, মাথাব্যথা, খিঁচুনি, মাইগ্রেন হতে পারে এই সংক্রমণে। পোকা কামড়ানোর ৩৬-৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ব্যাকটেরিয়া ছড়াতে পারে।
বিপজ্জনক ভাইরাস পোয়াসান (Powassan Virus)
পোয়াসান ভাইরাসের সংক্রমণ হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগী উপসর্গহীন থাকে। যে লক্ষণগুলো দেখা দেয় সেগুলো সাধারণ মনে করেই এড়িয়ে যান রোগী। ফলে ভাইরাস বাড়তে থাকে নিঃশব্দে। বিভাজিত হয়ে একসময়ে সংখ্যায় বেড়ে প্রাণঘাতী রোগ তৈরি করতে পারে। প্রভূত ক্ষতি হতে পারে মানুষের ব্রেনে।
সিডিসি জানাচ্ছে, এই ভাইরাসের সংক্রমণ হলে আগে জ্বর আসে। সেই সঙ্গে ক্লান্তি, বমি, মাথাব্যথা, খিঁচুনি হতে পারে। মাইগ্রেন থাকলে সেই ব্যথা আরও বাড়ে। এক সপ্তাহ পর থেকে নার্ভের সমস্যা শুরু হয়। মনোযোগের অভাব, ভুল বকা, মাথা ঘোরা, কথা বলায় সমস্যা হয় রোগীর। প্রতি দশজনের মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে রোগ প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। মুখে ঘা, পক্ষাঘাতও হতে পারে রোগীর। হতে পারে চর্মরোগও। শরীরে অন্যান্য রোগ থাকলে ভাইরাসের সংক্রমণ বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।