জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে বাচ্চারা, ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার মধ্যে চিন্তা বাড়াচ্ছে আরএসভি

গুড হেলথ ডেস্ক

জ্বর, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, সর্দি-কাশি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে অনেক বাচ্চা। টেস্ট করিয়ে ডেঙ্গি বা ম্যালেরিয়া ধরা পড়ছে না। জেলার দিকে অনেক হাসপাতালই বলছে অজানা জ্বর (respiratory syncytial virus) ছড়িয়েছে।  উত্তরবঙ্গে একটা সময় এই ভাইরাসের সংক্রমণে অনেক বাচ্চাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। 

শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাচ্চাদের উপসর্গ দেখে বোঝা যাচ্ছে, রেসপিরেটারি ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। প্রতি বছরই ঋতু বদলের এই সময়টাতে রেসপিরেটারি ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ায়। বাচ্চারাই বেশি আক্রান্ত হয়। ইদানীংকালে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া ও কোভিড ভাইরাসের মধ্যে এই ভাইরাসও (respiratory syncytial virus) দ্রুত তার ডালপালা মেলছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

 RSV

বাচ্চাদের জ্বর-শ্বাসকষ্ট-ডায়েরিয়া হলে সাবধান

শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের জন্য দায়ী এই ভাইরাস। নাম হিউম্যান রেসপিরেটারি সিনসিটিয়াল ভাইরাস (hRSV) বা আরএসভি (RSV)। ডেঙ্গি সংক্রমণের মধ্যেই বেশ কিছু শিশুর শরীরে বাসা বেঁধেছে এই ভাইরাস (respiratory syncytial virus)। খাস কলকাতা শহরের কয়েকটি হাসপাতালে এই ভাইরাসে আক্রান্ত অন্তত ৫০টি শিশুর চিকিৎসা হয়েছে। 

সদ্যোজাত থেকে পাঁচ বছর বয়স অবধি শিশুরা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। আমেরিকার একটি গবেষণা সংস্থা জানাচ্ছে, প্রতি ৫০ জন শিশুর মধ্যে ১ জনের মৃত্যু হয় এই ভাইরাসের সংক্রমণে। 

RSV in Babies

লক্ষণ কী কী?  ধুম-জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট, শ্বাসনালীতে প্রদাহ হলে দেরি না করিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে নেওয়া ভাল। কারণ বেশি বাড়াবাড়ি হলে অসুখ নিউমোনিয়ার পর্যায়ে চলে যেতে পারে। আরএসভি-র সংক্রমণ হলে বাচ্চাদের ব্রঙ্কিওলাইটিসও হতে পারে।

১) বাচ্চাদের জ্বর ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা তিন দিনের বেশি থাকলেই হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।

২) সর্দি-কাশি, ক্রমাগত নাক দিয়ে জল পড়া, গলা শুকিয়ে যাওয়া, গলায় ব্যথা হলে দেরি করা ঠিক হবে না।

৩) পেট খারাপ, ডায়েরিয়া, ঘন ঘন বমি, সারা গায়ে ব্যথা হতে পারে।

৪) দ্রুত শ্বাস নেওয়া, শ্বাসপ্রশ্বাসের সময় বুক ধড়ফড় করা, এই ভাইরাস সংক্রমণের (respiratory syncytial virus) লক্ষণ।

৫) বাচ্চাদের প্রস্রাব দিনে পাঁচ বারের কম হচ্ছে কিনা খেয়াল রাখতে হবে।

জানা গেছে, গত কয়েকমাসে অনেক বাচ্চার নমুনা পরীক্ষা করে রেসপিরেটারি ভাইরাস পজিটিভ পাওয়া গেছে। ডেঙ্গি-ম্য়ালেরিয়ার মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণ যাতে না বাড়ে, সেদিকে নজর দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

বাচ্চাদের কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ডেঙ্গি-কোভিড-ম্যালেরিয়া না অন্য কিছু, বুঝবেন কী করে?