
আপনার চারপাশে সংক্রামক ভাইরাস ঘুরছে কি? চট করে চিনে নেবে এই স্মার্ট মাস্ক
গুড হেলথ ডেস্ক
আপনার চারপাশে বাতাসের মধ্যে করোনা, ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো সংক্রামক ভাইরাস ঘুরে বেড়াচ্ছে কি? আশপাশে কেউ হাঁচলে বা কাশলে কতটা জীবাণু বেরিয়ে আসছে সবটাই ধরে দেবে এই বিশেষ মাস্ক। শুধু চিনে নেবে তাই নয়, আপনার মোবাইলে হাই অ্যালার্টও দেবে। আপনিও সেই সিগন্যাল বুঝে চট করে সেখান থেকে সরে যাবেন।
এমনই স্মার্ট ফেস মাস্ক বানিয়েছেন চিনের বিজ্ঞানীরা। এক ধরনের বায়োইলেকট্রিক মাস্ক (bioelectric mask) যার যোগাযোগ থাকবে আপনার মোবাইল বা কোনও ইলেকট্রনিক গ্যাজেটের সঙ্গে। খুব তাড়াতাড়ি রিয়েল টাইম ডেটা দিতে পারবে এই মাস্ক। আপনার চারপাশের বাতাসে ভাইরাস ড্রপলেট আছে কিনা, কী ধরনের ভাইরাস রয়েছে, সেইসব ভাইরাস পার্টিকল সংক্রামক কিনা সবকিছুই নাকি খুব দ্রুত চিনে নেবে এই মাস্ক। যদি করোনা, ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো সংক্রামক ভাইরাসকে চিহ্নিত করতে পারে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে আপনার মোবাইল বা ইলেকট্রনিক গ্যাজেটে সিগন্যাল দেবে।
শাংহাইয়ের টংজি ইউনিভার্সিটির ভাইরোলজিস্টরা এই ধরনের বায়োইলেকট্রিক মাস্ক (bioelectric mask) বানিয়েছেন। পিয়ার-রিভিউড জার্নালে এই গবেষণার খবর প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষকরা বলছেন মানুষের থুতু, লালা বা কাশির মাধ্যমে যে ভাইরাল স্ট্রেন বেরিয়ে আসছে সেটা ওই রেসপিরেটারি ড্রপলেটে করেই অন্তত ১৩ ফুট অবধি ভেসে যেতে পারে। তবে ভাইরাস বাতসে কতটা ছড়াবে এবং কতক্ষণ টিকে থাকবে অর্থাৎ তার ইনকিউবেশন পিরিয়ড কতটা হবে সেটা নির্ভর করে অনেকগুলো বিষয়ের উপরে যেমন বাতাসের গতি, তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, পারিপার্শ্বিক পরিবেশ, কতজন মানুষ রয়েছেন এবং কত কাছাকাছি রয়েছেন ইত্যাদি।
দেখা গেছে, যে কোনও ভাইরাস ড্রপলেটই কম করেও ১৩ ফুট দূরত্ব যেতে পারে। তবে আকার ও আয়তনের উপরে এই ড্রপলেটের ভেসে যাওয়াও নির্ভর করে। বিজ্ঞানীদের মতে, পারস্পরিক শারীরিক দূরত্ব ৬ ফুট খুব একটা নিরাপদ নয়। সংক্রমণ ঠেকাতে হলে পরস্পরের মধ্যে কম করেও ১৩ ফুট দূরত্ব রাখা দরকার। প্রয়োজনে তার বেশি।
এমনকি রোগীর শরীর থেকে রেসপিরেটারি ড্রপলেটে যে ভাইরাস বেরচ্ছে সেটাও ঘন হয়ে জমে থাকতে পারে কোনও সারফেসে। সেই সারফেসের কাছাকাছি গেলে সংক্রমণ আপনারও হতে পারে। ভাইরাস ড্রপলেটের পরিমাণ বাড়লে বাতাসে ৩ ফুট উচ্চতা অবধি ভাইরাস-ক্লাউড তৈরি হতে পারে। নতুন রকমের মাস্ক (bioelectric mask) এইসবই চিহ্নিত করতে পারবে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের।