
বাচ্চা ঘুমোলেই নাক ডাকে? বাবা-মায়েরা দেরি করবেন না ডাক্তার দেখিয়ে নিন
গুড হেলথ ডেস্ক
ঘুমোলে কমবেশি সকলেই নাক ডাকে। এখন নাক ডাকা (Snore ) যদি বিকট আর ঘন ঘন হয় তাহলে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অনেকের আবার ঘুমের মধ্যে শ্বাস আটকে যায়, তখনও নাক ডাকা হতে পারে। নাকে পলিপ থাকলেও নাক ডাকতে পারেন। অন্যান্য কারণও অনেক আছে। সাধারণত বড়রাই নাক ডাকে, কিন্তু যদি দেখেন আপনার বাড়ির শিশুটিও নাক ডাকছে তখন সাবধান হতে হবে।
ইএনটি বিশেষজ্ঞরা গত ৬ বছরে প্রায় ১০০০ জন শিশুকে পর্যবেক্ষণ করেছেন। তাতেই তাঁরা দেখেছেন, এইসব শিশুদের কারও ঘুমের মধ্যেই শ্বাস আটকে যাওয়ার প্রবণতা আছে, কারও অ্যাকিউট স্লিপ অ্যাপনিয়া আছে যা আগে বোঝা যায়নি। কাজেই রোগটা কী বা কোন শারীরিক অবস্থার কারণে বাচ্চাটি নাক ডাকছে তা বুঝে নেওয়া জরুরি। বিশেষজ্ঞদের মত, অনেক সময়েই জটিল কোনও অসুখ তলে তলে বাসা বাঁধলে তার প্রতিক্রিয়ায় এমন হতে পারে, শ্বাসের কোনও রোগ হলেও নাক ডাকা হতে পারে। সময় থাকতে চেকআপ করালে বড় বিপদ এড়ানো যায়।
নাক ডাকা (Snore ) কেন হয়? কী ক্ষতি হতে পারে?
শরীরেরই নানা কারণ থাকতে পারে। যেমন ধরা যাক, মুখের ভিতরে গলার কাছের নরম মাংসপিণ্ড বা উভুলা যদি বাতাস চলাচলের রাস্তাটা সরু করে দেয়, তাহলে নাকে আর হাওয়াবাতাস খেলতে পারে না। তখনই শ্বাস নিতে সমস্যা হয়। তবে শ্বাস নেওয়ার সমস্যা আরও নানা কারণে হতে পারে। নাক থেকে ভোকাল কর্ড বা স্বরযন্ত্র পর্যন্ত রাস্তা যদি সরু হয় বা কোনওকারণে মেদবৃদ্ধির জন্য চর্বির স্তর জমে যায়, তাহলেও বাতাস চলাচল ঠিক মতো হয় না। আসলে নাক, গলা ও আল-জিভের পিছন দিয়ে বাতাস শ্বাসনালিতে ঢোকে। তাই সে রাস্তা যদি সরু হয় বা কোনওভাবে বাধা পায়, তাহলে শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা হয়। আবার নাকের মধ্যে পলিপ বা টিউমার থাকলেও এই বিপত্তি দেখা দেয়। ডেভিয়েটেড সেপ্টামের ( deviated septum/ নাকের হাড় বাঁকা) জন্যও অনেক সময় শব্দ (Snore) হতে পারে।
স্লিপিং ডিসঅর্ডার থাকলে নাক ডাকার সমস্যা বেশি হতে পারে। তাই বাচ্চার স্লিপিং ডিসঅর্ডারের সমস্যা আছে কিনা সেটা চেকআপ করিয়ে নেওয়া জরুরি।
সম্প্রতি নাক ডাকাকে ক্যানসারেরও একটা কারণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। মনে করা হয় কম অক্সিজেনের ফলে অক্সিজেনের মাত্রা পূরণ করার জন্য আরও বেশি রক্তজালিকা তৈরি হয়। টিউমার হওয়ার অনেক কারণের মধ্যে এটাও কিন্তু একটা কারণ।নাক ডাকা থেকে টাইপ টু ডায়াবেটিস হতে পারে। শরীরে অক্সিজেন কমে যাওয়ার ফলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়, যার থেকে বিশেষত মহিলাদের টাইপ টু ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই বাবা-মায়েরা একদম দেরি করবেন না।